
আগামী অর্থবছরের বাজেটে নারীদের সৌন্দর্যবর্ধনে ব্যবহৃত লিপস্টিক আমদানিতে শুল্ক দ্বিগুণ বাড়ানোর প্রস্তাব রাখা হয়েছে। বর্তমানে প্রতি কেজি লিপস্টিকে শুল্ক ধার্য করা হয় ২০ ডলার, যা আগামীতে বাড়িয়ে ৪০ ডলারে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
এই শুল্ক বৃদ্ধির ফলে দেশের বাজারে আমদানি হওয়া লিপস্টিকের দাম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা সরাসরি ভোক্তাদের ওপর প্রভাব ফেলবে। বিশেষ করে, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিদেশি লিপস্টিকের দাম বৃদ্ধির ফলে সাধারণ ক্রেতাদের পক্ষে কিফায়েতি পণ্য কেনা কঠিন হয়ে পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শুধু লিপস্টিক নয় অন্যান্য কসমেটিক্সের ক্ষেত্রেও ন্যূনতম মূল্য বাড়ানোর প্রস্তাব রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
এই তালিকায় রয়েছে লিপ লাইনার, লিপগ্লস, লিপজেল, আইশ্যাডো, আইলাইনার, আইব্রো পেন্সিল, মাশকারা, মেনিকিউর-পেডিকিউরে ব্যবহৃত জেল, ফেস ক্রিম, ময়েশ্চার লোশন, ফাউন্ডেশন, ফেসওয়াশ, মেহেদি এবং মেকআপ কিট-যা বর্তমানে মূলত আমদানি নির্ভর।
সূত্র বলছে, বাংলাদেশে এখনো কসমেটিক্স ও স্কিন কেয়ার পণ্যের বেশিরভাগই আমদানি নির্ভর। দেশীয় উৎপাদকদের সুরক্ষা দিতে এবং বাজারে একধরনের ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ আনতেই আমদানিশুল্ক বাড়ানোর এই পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। অর্থ মন্ত্রণালয় বলছে, এই সিদ্ধান্ত মূলত ‘বিলাসপণ্য’ হিসেবে চিহ্নিত সামগ্রী থেকে রাজস্ব আহরণ বাড়ানোর কৌশল।
সানজানা