
দৈনিক জনকণ্ঠ
টানা ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে।। হালদা, ধুরুং, শর্তা নদীসহ বিভিন্ন খাল-নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
দুই দিনের লাগাতার বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে দাঁতমারা, নারায়নহাট, ভুজপুর, সুয়াবিল, লেলাং, রোসাংগিরী, সমিতিরহাট ও ধর্মপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম পানির নিচে চলে গেছে। এসব এলাকার বহু মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। পাহাড়ি ঢলে রামগড় সড়কে পানি উঠায় উত্তর ফটিকছড়ির সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
পানিতে তলিয়ে গেছে গহিরা-হেঁয়াকো সড়কের একাধিক অংশ। বিভিন্ন গ্রামীণ সড়কেও চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। এছাড়া নাজিরহাট পৌরসভা ও সুন্দরপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী হালদা নদীর ওপর নির্মিত কাঠের সেতুটি স্রোতে ভেসে গেছে।
এতে পারাপারে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন দু’পাড়ের বাসিন্দারা। স্থানীয়দের মতে, হালদা ও ধুরুং সহ বিভিন্ন খাল-নদীর পানি ক্রমেই বাড়ছে, যা বড় ধরনের বন্যার শঙ্কা তৈরি করেছে। উত্তর ফটিকছড়ির বিভিন্ন ইউনিয়নের অন্তত ৪২ টি গ্রাম বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।এখানে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে লক্ষাধিক মানুষ।এতে খালের বাঁধ ভেঙে ধর্মপুর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়ে পড়েছে।
এদিকে, বিভিন্ন এলাকায় মাছের ঘের ও ফসলের জমিও পানিতে তলিয়ে গেছে বলে জানা গেছে।পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি বিজ্ঞান শাখার উপসহকারী প্রকৌশলী আরিফা নাসরিন জানান, হালদা নদী বর্তমানে নারায়নহাট পয়েন্টে বিপদসীমার কাছাকাছি দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বর্ষণ অব্যাহত থাকলে তা রাতেই বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
ফটিকছড়ি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু নাছের বলেন, বন্যা মোকাবিলায় পর্যাপ্ত পরিমাণ চাল মজুতসহ অন্যান্য প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
এদিকে,হাটহাজারীর উপজেলার ৭ ইউনিয়নের গ্রামীণ অবকাঠামো পানির নিচে তলিয়ে গেছে। মেখল,গড়দুয়ারা, ছিপাতলী সহ কয়েকটি ইউনিয়নের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
হ্যাপী