ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০২ জুন ২০২৫, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

দীর্ঘ ১০ মাস পর কুষ্টিয়া মডেল থানার কার্যক্রম পুনরায় শুরু

আইন প্রয়োগে নয়, মানায় সৌন্দর্য: ডিআইজি রেজাউল হক

সাগর হোসেন, কুষ্টিয়া

প্রকাশিত: ২১:০৫, ৩১ মে ২০২৫

আইন প্রয়োগে নয়, মানায় সৌন্দর্য: ডিআইজি রেজাউল হক

ছ‌বি: জনকণ্ঠ

দীর্ঘ প্রায় দশ মাস বন্ধ থাকার পর শনিবার বিকেলে কুষ্টিয়া মডেল থানার পুনরায় কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে। খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল হক (পিপিএম) প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে থানার নতুন কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ডিআইজি বলেন, আইন প্রয়োগের মধ্যে কোনো সৌন্দর্য নেই, বরং আইন মানার মাঝেই সৌন্দর্য নিহিত। পুলিশের পক্ষে সকল মানুষকে সন্তুষ্ট করা খুবই কঠিন। আল্লাহ কাউকে যদি ঐশ্বরিক ক্ষমতা দেন, তবেই হয়তো তা সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, পুলিশ সদস্যদের দ্বারা কোনো অপরাধ সংঘটিত হলে তা ব্যক্তিগত দায় হিসেবে বিবেচিত হবে, গোটা প্রতিষ্ঠানকে দায়ী করা উচিত নয়। আমাদের কাজ করতে গিয়ে ভুল হতে পারে। তবে যদি ইচ্ছাকৃতভাবে কেউ ভুল করে, তাহলে সেখানে আমাদের সহনশীলতা নেই।

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে বিক্ষুব্ধ জনতা কুষ্টিয়া মডেল থানায় অগ্নিসংযোগ করে। এতে থানার দ্বিতল ভবন পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ঘটনার পর পুলিশ অস্থায়ীভাবে সদর ফাঁড়িতে কার্যক্রম চালু করে। প্রায় এক বছর পর সংস্কার, রং ও মেরামতের মাধ্যমে থানাটি পুনরায় সচল হলো।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের আয়োজনে থানার চত্বরে সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য সোহরাব উদ্দিন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কুতুব উদ্দিন আহমেদ, সদস্য সচিব প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার, জনপ্রিয় ইসলামিক বক্তা মুফতি আমীর হামজা, কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবু মনি জুবায়ের রিপন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা মুস্তাফিজুর রহমান, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেক, নাগরিক কমিটির প্রতিনিধি আলমাস মামুন প্রমুখ।

সমাবেশ চলাকালীন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাদের বক্তব্যের সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এক পর্যায়ে তারা হট্টগোল শুরু করেন। পুলিশ ও স্থানীয়দের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

জেলা বিএনপির নেতা আল আমিন কানাই বলেন, ৫ আগস্টের ঘটনায় পুলিশকে আমরাই সহযোগিতা করেছি। অথচ আমাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি, আবার আমাদের বিরোধীদের মঞ্চে বসানো হয়েছে।

গণঅভ্যুত্থানে দায়ের হওয়া হত্যা মামলার অগ্রগতির বিষয়ে ডিআইজি বলেন, তদন্ত কার্যক্রম অনেকদূর এগিয়েছে। পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স সরাসরি মনিটরিং করছে। আমরা অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে বদ্ধপরিকর।

ঈদের পশুর চামড়া পাচার রোধে সীমান্তবর্তী এলাকায় সজাগ দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানান তিনি। এছাড়া চিহ্নিত শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন সম্পর্কে পুলিশের কাছে পূর্বে কোনো তথ্য ছিল না বলে জানান ডিআইজি। তবে গ্রেপ্তারের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

মেহেদী

×