
ছবি: জনকণ্ঠ
জামালপুরের সরিষাবাড়ীর তারাকান্দিতে অবস্থিত দেশের বৃহত্তম ইউরিয়া সার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান যমুনা সার কারখানায় ডিলারদের মাঝে চলতি মে মাসের বরাদ্দ সার বিতরণে চরম অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এতে ইউরিয়া বঞ্চিত সাধারণ ডিলারদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে।
কারখানাসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, মে মাসে জামালপুর জেলার তালিকাভুক্ত ২১৮ জন ডিলারের জন্য মোট ১,৫২৮ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর মধ্যে ৯৯৬ মেট্রিক টন যমুনা উৎপাদিত সার বিতরণ করা হলেও বাকি ৫৩২ মেট্রিক টন সার ‘বস্তাবন্দি হয়নি’—এমন অজুহাতে ডেলিভারি দেওয়া হয়নি এবং সময়ক্ষেপণ করা হয়।
শুক্রবার (৩০ মে) হঠাৎ করেই বাকি ডিলারদের যমুনার উৎপাদিত সার না দিয়ে আমদানিকৃত সার নিতে চাপ প্রয়োগ করা হয়। তবে কোনো সাধারণ ডিলার প্রতিনিধি তা নিতে রাজি হননি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ডিলার বলেন, “আমদানিকৃত সার নিতে আমাদের প্রতি বস্তায় প্রায় ১০০ টাকা লোকসান গুনতে হয়। অথচ আমাদের বরাদ্দকৃত যমুনার উৎপাদিত সার দিচ্ছে না। অদৃশ্য কারণে আমাদের উপর চাপ সৃষ্টি করছে।”
অন্য এক ডিলার অভিযোগ করে বলেন, “কর্তৃপক্ষ কৌশলে প্রভাবশালী ডিলারদের যমুনার সার বুঝিয়ে দিয়েছে। আমাদের জন্য রেখেছে কম চাহিদার আমদানিকৃত সার। আমরা তা নিতে নারাজ।”
আরও জানা যায়, কিছু প্রভাবশালী ডিলার স্থানীয় প্রশাসন ও ঠিকাদারের সঙ্গে যোগসাজশ করে বিতরণ শুরুতেই যমুনার উৎপাদিত সার বুঝে নিয়েছেন। তারা সাধারণ ডিলারদের গাড়ির ক্রম বাদ দিয়ে প্রভাব খাটিয়ে সার সংগ্রহ করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে যমুনা সার কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবু সালেহ মোঃ মোসলেহ উদ্দিন বলেন, “আপনি তো সব তথ্যই পেয়েছেন, তাহলে আবার আমাকে ফোন দিয়েছেন কেন? আমি কোনো মন্তব্য করতে পারব না। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কিছু বলা যাবে না।” জেলার সার পরিবেশনে এমন অনিয়ম ও বৈষম্য স্থানীয় কৃষি খাতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
শহীদ