
সরকারি তিতুমীর কলেজে শহীদ মামুন হল সংক্রান্ত আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে আহত শিক্ষার্থীরা ছয় দফা দাবি তুলে ধরেছেন।
মঙ্গলবার (২৮ মে) কলেজ প্রাঙ্গণে উপস্থিত হয়ে এই দাবি উত্থাপন করেন তারা।
আহত শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, ২৬ মে সকালে মেধার ভিত্তিতে সিট বরাদ্দের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে ছাত্রদল পরিকল্পিতভাবে তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন। ঘটনার কয়েক দিন পার হলেও এখনো প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি বলে অভিযোগ তাদের।
এই পরিস্থিতিতে আহত শিক্ষার্থীরা কলেজ প্রশাসনের প্রতি ছয় দফা দাবি জানিয়েছেন। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে-
১. হামলার সময়কার সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করে প্রকৃত হামলাকারীদের শনাক্ত করা।
২. আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার পূর্ণ দায়িত্ব কলেজ প্রশাসনের গ্রহণ ও প্রয়োজনে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা।
৩. ছিনতাই হওয়া মোবাইল ও অন্যান্য জিনিসপত্র উদ্ধার কিংবা ক্ষতিপূরণ প্রদান।
৪. হামলায় জড়িত শিক্ষার্থীদের ফৌজদারি বিচার সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিতের ব্যবস্থা।
৫. শহীদ মামুন হলের মেরিট লিস্ট নির্ধারিত তারিখে প্রকাশ না করে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে সহিংসতার সুযোগ সৃষ্টি করায় হল সুপারের পদত্যাগ।
৬. ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা জোরদার ও একটি সিসিটিভি মনিটরিং ইউনিট গঠন।
হামলায় আহত শিক্ষার্থী আলী আহমেদ বলেন,আহত শিক্ষার্থী আলী আহমেদ বলেন, অধ্যক্ষ স্যার বলেছেন তারা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন, কমিটির প্রতিবেদন পেলে তারা ব্যাবস্থা নিবেন৷ আমরা ক্যাম্পাসে নিরাপত্তার বিষয়ে কোন সদুত্তর পাইনি৷ আমরা মনে করছি ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোন নিরাপত্তা নেই৷
ছয় দফা দাবির বিষয়ে তিতুমীর কলেজের উপাধ্যক্ষ ড. মিজানুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, তাদের সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা বলা হয়েছে৷ সেই রিপোর্ট হাতে পেলে বোঝা যাবে কি ঘটনা ঘটেছে৷
মুমু