
ছবিঃ জনকণ্ঠ
ঝালকাঠিতে সম্প্রতি একটি ব্যতিক্রমী রেস্তোরাঁ দারুণ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে – একটি ভাসমান রেস্তোরাঁ।গ্রামীণ মনোরম পরিবেশে নির্মল বাতাস এবং প্রকৃতির মাঝে হেঁটে বেড়ানোর সুযোগের সাথে মুখরোচক খাবারের স্বাদ নিতে প্রতিদিন ভিড় করছে অসংখ্য মানুষ।
বাঁশ ও কাঠের কারুকার্যে তৈরি এই ঝুলন্ত রেস্তোরাঁয় পা রাখতেই যেন মনে হয় এক নতুন জগতে প্রবেশ করেছেন।
ভেতরে প্রবেশ করলে মনে হবে যেন কোনো নৌকায় বসে আছেন। ড্রামের উপর ভাসমান এই নান্দনিক রেস্তোরাঁটি অল্প সময়েই সকলের পছন্দের জায়গা হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন বিকেল থেকে এখানে দর্শনার্থীদের আনাগোনা বাড়তে থাকে এবং ছুটির দিন বা উৎসবে এই ভিড় কয়েকগুণ বেড়ে যায়। এখানে বাঙালি খাবারের পাশাপাশি ফাস্টফুড, চা ও কফির ব্যবস্থাও রয়েছে। ভোজনরসিকরা দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন এই স্বাদ নিতে।
প্রায় ৬০ জন একসাথে বসে খাবার উপভোগ করতে পারেন এই রেস্তোরাঁয়। ঈদুল ফিতরের দিন আনুষ্ঠানিকভাবে চালুর মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এটি ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। প্রতিদিন আশেপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষজন আসছেন এই নতুন অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য।
এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগটি নিয়েছেন তাজুল ইসলাম সুজন। দীর্ঘ প্রবাস জীবন শেষে দেশে ফিরে চাকরি করলেও তিনি বেশিদিন সেই পথে হাঁটেননি। উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন বুকে নিয়ে তিনি ঝালকাঠির বাউকাঠিতে এই ভাসমান রেস্তোরাঁটি তৈরি করেছেন। বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ২০ হাজার টাকারও বেশি বিক্রি হচ্ছে এখানে।
এই ভাসমান রেস্তোরাঁটি শুধু ঝালকাঠির মানুষের কাছেই নয়, বরং জেলার বাইরে থেকেও আগত পর্যটকদের কাছে একটি নতুন আকর্ষণীয় গন্তব্য হয়ে উঠেছে। যারা প্রকৃতির শান্ত পরিবেশে মুখরোচক খাবার উপভোগ করতে চান, তাদের জন্য এই ভাসমান রেস্তোরাঁটি এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা দিতে প্রস্তুত।
আলীম