
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে দরিদ্র জেলে-মৎস্যজীবীদের মাঝে গবাদিপশু বিতরণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগে দৈনিক জনকণ্ঠে সংবাদ প্রকাশের পর বোয়ালমারী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনকে বদলি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) সন্ধ্যায় জেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার সরকার ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন জনকণ্ঠকে এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত ১৫ মে দৈনিক জনকণ্ঠে "বোয়ালমারীতে মৎস্যজীবীদের মাঝে গবাদি পশু বিতরণ, অনিয়মের অভিযোগে মৎস্য কর্মকর্তার অপসারণ দাবি' শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। এ নিয়ে উপজেলা-জেলা জুড়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা-সমালোচনা ও তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়।
জানতে চাইলে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন জনকণ্ঠকে বলেন, দৈনিক জনকণ্ঠে নিউজের কারনেই এ অবস্থা হলো। চরভদ্রাসন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে বোয়ালমারীতে অতিরিক্ত দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আর আমাকে মাগুরায় বদলি করা হয়েছে। তবে কত তারিখে বদলির চিঠি ইস্যু করা হয়েছে তা তিনি বলেননি। তবে ঈদের আগেই নতুন কর্মস্থল মাগুরায় যোগদান করতে হবে বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার সরকার জনকণ্ঠকে বলেন, বোয়ালমারী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনকে মাগুরায় বদলি করা হয়েছে। গরু বিতরনে অনিয়মের অভিযোগ সম্পর্কে পত্রিকা ও বিভিন্নভাবে জানতে পেরেছি। কিন্তু এ বিষয়ে কেউ কোন লিখিত অভিযোগ দেননি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য : গত বুধবার (১৪ মে) দুপুরে বোয়ালমারী উপজেলার স্বীকৃত ৭৫ মৎস্যজীবীর হাতে একটি করে বকনা বাছুর তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর হাসান চৌধুরী। অসহায় জেলেদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থান নিশ্চিতে বাংলাদেশ মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃক গৃহীত দেশীয় প্রজাতির মাছ ও শামুক সংরক্ষণ- উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় মৎস্যজীবীদের মাঝে এই গবাদিপশু বিতরণ করা হয়। এ সময় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ জসিম উদ্দিন সহ অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এই গবাদি পশু বিতরণ কর্মসূচিকে ঘিরে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। গো-ছানা বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা, দূর্নীতি ও স্বজন প্রীতি,ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ তুলে এর কঠোর সমালোচনা করেন স্থানীয় সাধারণ মানুষ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা।
মিমিয়া