
শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের লক্ষ্যে ঢাকায় লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির ৫ম দিনে শিক্ষক নেতার উপর অতর্কিত হামলা, লুটপাট ও ছিনতাই সংঘটিত হয় এবং শিক্ষক নেতার উপর হামলার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২২ মে) কুড়িগ্রাম জেলার বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মবিরতি পালন করেছেন বেসরকারি শিক্ষক সমাজ।
শিক্ষক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ শিক্ষা সমিতি (বিটিএ) এর সভাপতি শেখ কাওছার আহমেদের উপর ন্যাক্কারজনক হামলার প্রতিবাদে শিক্ষক সমিতি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে বৃহস্পতিবার পূর্ণদিবস কর্ম বিরতি পালনের নির্দেশ প্রদান করেন ।
এরই ধারাবাহিকতায় কুড়িগ্রাম জেলায় বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা কর্মবিরতি পালন করেন। শিক্ষক নেতার উপর ন্যাক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং অনতিবিলম্বে আটককৃত নেতাদের মুক্তির দেওয়ার জন্য শিক্ষা উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সেই সাথে হামলারকারীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ব্যবস্থার জোর দাবি জানান।
নাগেশ্বরী উপজেলার গাগলা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো: খায়রুল আলম বলেন, শিক্ষকদের দাবি দাওয়া একটি যৌক্তিক আন্দোলন। যারা এই আন্দোলনকে নস্যাৎ করার চেষ্টা করছে এবং শিক্ষক নেতার উপর হামলা করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বিটিএ) কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি মোঃ আব্দুল মালেক বলেন, শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ সকল শিক্ষকের প্রাণের দাবি। দীর্ঘদিন ধরে এই দাবি করে আসলেও বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের নিলিপ্ত ও স্বেচ্ছাচারিতার জন্য শিক্ষকদের জীবনমান উন্নয়নে তেমন কোন ব্যবস্থাই গ্রহণ করেননি।
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোশারফ হোসেন ফারুক বলেন, সরকারি বেসরকারি বৈষম্য যতদিন নিরসন না হবে ততদিন কেন্দ্রের নির্দেশ মোতাবেক কুড়িগ্রাম জেলায় সকল কর্মসূচিতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ শামসুর আলম বলেন, আমি ট্রেনিং এর বিষয়ে ব্যস্ত ছিলাম আমাকে কেউ এই বিষয় জানায়নি তবে শিক্ষকের উপর যে হামলা হয়েছে তা দুঃখজনক।
মিমিয়া