
গাইবান্ধা সদরের বাধের মাথা (নতুন ব্রিজ) এলাকা থেকে কাউন্সিলের বাজার পর্যন্ত রাস্তাটির সংস্কার অভাবে বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এ রাস্তা পাকাকরণ না করার ফলে জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।
রাস্তাটির সংস্কার করার জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করেও কোন কাজ হচ্ছে না। তাই জনমনে চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বর্তমানে পুরো রাস্তা জু্ড়ে কাঁদা আর ছোট ছোট গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। দুবছর আগে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধিনে রাস্তাটি সংস্কার কাজ করা হলেও শুধু মাটি কেটে উঁচু করার ফলে রাস্তাটি দিয়ে যাতায়াতে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে। তবে এলাকাবাসী বারবার কতৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেও কোন কাজ হচ্ছে না। রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন নয়াগ্রাম, ধুতিচোরা, কাটিহারা, মালতলা, পঁচারকুড়া, আকন্দপাড়া, মিয়া পাড়া, বকসিপাড়া, মধ্যপাড়া, মাদ্রাসাপাড়া,চরের গ্রাম, দারিয়ারবাতা, মুক্তার পাড়া, মাস্টারপাড়াসহ বিশ গ্রামের হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। বর্তমানে রাস্তাটির বেশ কিছু স্থানে খানাখন্দের কারণে ২০ এসব গ্রামের মানুষের চলাচলে মারাত্মক বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে।
গ্রাম্য ডাক্তার আব্দুল হালিম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বাধের মাথা থেকে কাউন্সিলের বাজার পর্যন্ত পাকা রাস্তা না হওয়ার ফলে জনদুর্ভোগ চরম আকারে ধারণ করেছে। বিশেষ করে বর্ষাকালে রাস্তাটি চলাচলে একেবারে অনুপযোগী হয়ে পরে। একজন গর্ভবতী মহিলাকে হাসপাতালে নিতে গেলে বিকল্প রাস্তা দিয়ে যেতে হয়।
স্কুল শিক্ষক মোঃ আব্দুর রশিদ বলেন, রাস্তার এই বেহাল দশার কারনে গ্রামের ভেতরে প্রবেশ করতে পারে না জরুরি সেবার কোন এমনকি গোরস্থানে যেতেও চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় এলাকাবাসীর। কাঁদা মাড়িয়েই স্কুল-কলেজে যেতে হয় শিক্ষার্থীদেরকে।
গাইবান্ধা সামাজিক সংগ্রাম পরিষদের সদস্য সচিব হাসান মোর্শেদ দীপন বলেন, দীর্ঘদিন থেকে রাস্তাটি সংস্কার না করার ফলে পথচারীদের চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। রাস্তাটি মাটি ও বৃষ্টির পানির সংমিশ্রণে কাদার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। বর্ষাকালের আগেই রাস্তাটি সংস্কার করা হলে জনসাধারণ বড় ধরনের ভোগান্তি থেকে রেহাই পাবে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী মোঃ কুতুব উদ্দিন বলেন, প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়ে শতাধিক শিক্ষার্থী বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করে। তাদের চলতে খুবই সমস্যা হয়। ব্যবসায়ী শহর থেকে মালামাল আনতে পারেন না এ রাস্তা দিয়ে। যার কারনে কয়েক কিলোমিটার ঘুরে বেশী টাকা যানবাহনের ভাড়া দিয়ে আনতে হয়। অসুস্থ কোনো ব্যক্তিকে দ্রুত হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। অতি প্রাচীন রাস্তাটি পাকাকরণ এখন সময়ের দাবি।
এ বিষয়ে গিদারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ হারুনুর রশিদ ইদু বলেন, রাস্তাটি অনেক পুরাতন, সংস্কার করার জন্য আমি বারবার উপজেলা মিটিংয়ে বিষয়টি উপস্থাপন করেছি, রাস্তাটি সংস্কারের জন্য ইউএনও সাহেব আশ্বাস দিয়েছে।
এ বিষয়ে এলজিইডি গাইবান্ধা সদর উপজেলা প্রকৌশলী মো. বাবলু মিয়া বলেন, আমরা রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য উর্ধতন কতৃপক্ষের কাছে আবেদন পাঠিয়েছি আশা করছি রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য আগামী জুলাই মাসে এস্টিমেট করতে পারবো।
নোভা