ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৮ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

গভীর সমুদ্রগামী জাহাজ ও নাবিকদের পথ দেখাচ্ছে কুতুবদিয়ার নবনির্মিত বাতি

আবদুল্লাহ আল নওশাদ, কুতুবদিয়া

প্রকাশিত: ০০:১৯, ১৮ মে ২০২৫

গভীর সমুদ্রগামী জাহাজ ও নাবিকদের পথ দেখাচ্ছে কুতুবদিয়ার নবনির্মিত বাতি

ছবি: দৈনিক জনকন্ঠ

১৮৪৬ সালে চট্টগ্রাম বন্দরের অর্থায়নে নির্মিত হয় কুতুবদিয়ায় প্রথম বাতিঘর।তৎকালীন চান্স এন্ড বার্মিংহাম টিকাদারি প্রতিষ্ঠান এর মাধ্যমে ৮ তলা ও ৮ কক্ষ বিশিষ্ট বাতিঘরের মোট ব্যয় হয়েছিল ৪ হাজার ৪২৮   টাকা। কর্ণফুলি নদীর মোহনা থেকে ৪০ মাইল দূরে কুতুবদিয়ায় বাতিঘরটি নির্মাণ করা হয়। প্রাচীন কালে জাহাজে ছিল না উন্নত প্রযুক্তি বঙ্গোপসাগরে খারাপ আবহাওয়ার সময় রাতের বেলা জাহাজকে সঠিক পথ দেখাতো, দিক নির্ণয়ে সহায়তা করতো প্রচাীন  এ বাতিঘর। 


১৯৬০ সালের ঘূর্ণিঝড় ও সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসে স্থায়ী ভাঙনে বিলীন হওয়ার আগপর্যন্ত এ বাতিঘর বিরামহীন আলো দেখিয়ে সমুদ্রগামী জাহাজের নাবিকদের প্রায় ৩০- ৩৫ কিলোমিটার দূর থেকে দিকনির্দেশনা দিত। পুরোনো সেই বাতিঘর সমুদ্রে বিলীন হয়েছে অনেক আগে। এর পর কুতুবদিয়ার দক্ষিণ ধূরুং আলী ফকির ডেইল পুরাতন বাতিঘর এলাকায় ১৯৭২ একটি লোহা নির্মিত বাতিঘর নির্মাণ করা হয়। ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে একমাত্র ওয়্যারলেস যন্ত্রটি নষ্ট হয়ে যায়। 


অবশেষে ২০২৩ সালে নির্মাণ করা হয় আরো একটি বাতিঘর। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রকল্প বাতিঘর ও নেভাল রেডিও স্টেশনটি শেষপর্যন্ত ব‌্যয় ৬০ কো‌টি থে‌কে বে‌ড়ে ৭'শ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন বাতিঘর নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। কুতুব‌দিয়া নবনির্মিত বাতিঘরের ইনচার্জ মো: র‌ফিকুল ইসলাম জানান , আন্তর্জা‌তিক মানের  এ লাইটহাউজ গত ৩০ এপ্রিল অনাআনুষ্ঠা‌নিক উদ্বোধন করা হয়েছে । নেভাল রে‌ডিও স্টেশনসহ পু‌রো কার্যক্রম সু‌বিধা থাকায় সমু‌দ্রে বিদেশি, দেশী জাহা‌জের রাজস্ব এখন থে‌কে বাংলা‌দেশ পা‌বে ব‌লে তি‌নি ম‌নে ক‌রেন।

সাব্বির

×