ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৮ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

বড়লেখা-বিয়ানীবাজার সীমান্তে "পুশইন" ঠেকাতে বিজিবির কঠোর অবস্থান

নিজস্ব সংবাদদাতা, মৌলভীবাজার

প্রকাশিত: ২২:৪২, ১৭ মে ২০২৫

বড়লেখা-বিয়ানীবাজার সীমান্তে 

ছবি: সংগৃহীত

বড়লেখা উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের পাল্লাথল ও দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়নের বোবারথল গান্ধাই সীমান্তকে অবৈধ বাংলাদেশি অবৈধ নাগরিক পুশইনের ট্রানজিট রোড হিসেবে ব্যবহার করছে বিএসএফ।

বিএসএফের পুশইন ঠেকাতে বিজিবির টহল জোরদারের পরও গত দুইদিনে বিএসএফ আরো ৬০ বাংলাদেশি নাগরিককে পুশইন করেছে। বিএসএফের ক্রমাগত অবৈধ অনুপ্রবেশ বৃদ্ধিতে বিজিবি-৫২ ব্যাটালিয়ন সীমান্তে বাড়িয়েছে কড়া নজরদারি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা। জোরদার করেছে দিবা ও নৈশকালিন টহল। সতর্ক ও সচেতন করছে সীমান্তঘেষা বাসিন্দাদের। বড়লেখা সীমান্তের নিউ পাল্লাথল, বোবারথল, গান্ধাইসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বিজিবিকে বিএসএফের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে থাকতে দেখা গেছে। টহল জোরদার ও বিভিন্ন সড়কে চেকপোষ্ট বসিয়ে যানবাহন তল্লাশি চালাচ্ছে বিজিবি। ৬ ও ৭ মে শতাধিক অবৈধ বাংলাদেশি নাগরকিকে বিএসএফ ঠেলে পাঠালেও বিজিবি ৫৯ জনকে আটক করতে সক্ষম হয়। এরপর পুশইন ঠেকাতে বিজিবি সীমান্তের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও টহল জোরদার করে। বিজিবির সতর্কাবস্থানের চারদিনের মাথায় একই সীমান্ত দিয়ে বিএসএফ গত বুধবার ৪৪ জনকে ও বৃহস্পতিবার ১৬ জনকে পুশইন করে। ক্রমাগত পুশইন বৃদ্ধি ও সীমান্তের ওপারে হাজার হাজার বাংলাদেশি পুশইনের অপেক্ষায় রয়েছে আটককৃতদের দেওয়া এমন তথ্যে সীমান্ত এলাকায় উদ্বেগ ও আতঙ্ক বিরাজ করে। বিএসএফের পুশইন প্রতিরোধে বৃহস্পতিবার রাত থেকে বিজিবি আরো কঠোরভাবে টহল দেওয়া শুরু করেছে। বিজিবির সতর্কাবস্থান ও টহল জোরদারের কারণে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বড়লেখা উপজেলার কোনো সীমান্ত দিয়েই বিএসএফের পুশইনের ঘটনা ঘটেনি।

বিজিবি-৫২ ব্যাটালিয়নের (বিয়ানীবাজার) অধিনায়ক লে. কর্ণেল মেহেদী হাসান পিপিএম জানান, বিএসএফের পুশইন প্রতিরোধে বৃহস্পতিবার রাত থেকে বিজিবির টহল কার্যক্রম আগের চেয়ে আরো জোরদার করা হয়েছে। তার ব্যাটালিয়ানের আওতাধীন ১১৩.৫০ কিলোমিটার সীমান্তের প্রত্যেক টহল টিম বিশেষ সকর্তাবস্থায় দায়িত্ব পালন করছেন এবং তিনি সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন। বিএসএফের পুশইন রোধে তিনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সীমান্তবাসির সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।   

আসিফ

×