
ছবি: জনকণ্ঠ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে ২০২২ সালের ১৯ নভেম্বর পুলিশের গুলিতে নিহত সোনারামপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি নয়ন মিয়ার (২২) পরিবারের দায়িত্ব নিয়েছে জেলা বিএনপি। নয়ন বাঞ্ছারামপুর উপজেলার চরশিবপুর গ্রামের রহমত উল্লাহর ছেলে।
শনিবার (১৭ মে) দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যেও জেলা বিএনপির নবনির্বাচিত সভাপতি প্রকৌশলী খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম এবং সহ-সভাপতি কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল শান্তিপুর গ্রামে নয়নের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন।
এক সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা বিএনপির সভাপতি প্রকৌশলী শ্যামল বলেন, “আজ থেকে শহীদ নয়নের পরিবারের সম্পূর্ণ দায়িত্ব জেলা বিএনপি বহন করবে। নয়নের একমাত্র সন্তানকে মানুষের মতো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার দায়িত্ব আমরা নিচ্ছি।” সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, “নয়ন হত্যার বিচার দ্রুত নিশ্চিত করতে হবে। তাহলেই নয়নের আত্মা শান্তি পাবে।”
অনুষ্ঠানে নয়নের স্ত্রীর হাতে জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি জহিরুল হক খোকন, সহ সভাপতি মমিনুল হক, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এমএ খালেক পিএসসি, মেজর (অব.) সাইদুল ইসলাম পিএসসি প্রমুখ।
নয়নের বাবা রহমত উল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, “গত আড়াই বছরে অনেক বিএনপি নেতা আমাদের পরিবারের দায়িত্ব নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন, কিন্তু বাস্তবে কেউ পাশে থাকেননি। শুধু ডা. মো. সাইদুজ্জামান কামাল ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি মেহেদী হাসান পলাশ ছাড়া কেউ খোঁজও নেননি। আজ পাশের গ্রামে আমার ছেলের স্ত্রীর হাতে নগদ টাকা দেওয়া হলো, অথচ আমাকে অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য কেউ জানায়নি। এটা খুবই কষ্টদায়ক।”
তিনি আরও বলেন, “আমার ছেলে শহীদ হয়েছে দলীয় রাজনীতির জন্য, আজ তার পরিবারকে নিয়ে দল রাজনীতি করছে। তবু আমি পাশে দাঁড়ানোর আন্তরিকতা দেখি না।”
উল্লেখ্য, নয়ন হত্যা মামলার প্রায় আড়াই বছর পেরিয়ে গেলেও শতাধিক আসামির মধ্যে মাত্র ৪ জন গ্রেপ্তার হয়। তাদের মধ্যে ৩ জন জামিনে মুক্ত, কারাগারে রয়েছেন কেবল সাবেক এমপি ক্যাপ্টেন (অব.) তাজুল ইসলাম। মামলাটি বর্তমানে ডিবির তদন্তাধীন রয়েছে।
শহীদ