ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৮ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

শেখ হাসিনার মধু খেয়ে রাজনীতি করেছি কিনা তার জবাব জনগণই দিবে: ইশরাক

প্রকাশিত: ২০:৩৬, ১৭ মে ২০২৫

শেখ হাসিনার মধু খেয়ে রাজনীতি করেছি কিনা তার জবাব জনগণই দিবে: ইশরাক

ছ‌বি: সংগৃহীত

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন অভিযোগ করেছেন, বর্তমান সরকার প্রশাসনের একটি অংশকে দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করছে। তিনি বলেন, "সরকারের ভেতরে আরেকটি সরকার রয়েছে, যারা দলীয় আচরণ করছে এবং একটি নির্দিষ্ট দলকে সুবিধা দিচ্ছে।"

শনিবার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সম্প্রতি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে প্রশাসক নিয়োগ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে চলমান বিতর্কের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন তাদের সিদ্ধান্তের পক্ষে আইনি ব্যাখ্যা দিয়েছে এবং গেজেট প্রকাশ করেছে। তারপরও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় আবারও চিঠি পাঠিয়ে বিষয়টি নিয়ে কালক্ষেপণ করছে। তিনি অভিযোগ করেন, কেউ বলছে এটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে, কেউ বলছে সলিসিটর অফিসে, যা স্পষ্ট করে দেয় যে প্রশাসনের একটি অংশ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করছে।

তিনি আরও বলেন, “এনসিপি একটি বিবৃতিতে বিচারকদের বিরুদ্ধে অবমাননাকর বক্তব্য দিয়েছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা অতীতে আওয়ামী লীগের দৃষ্টিভঙ্গিতেও দেখেছি, যেখানে রায় নিজেদের পক্ষে না গেলে তারা বিচারকদের হুমকি দিত এবং চাপ প্রয়োগ করত। এমন আলামত আমাদের কাছে রয়েছে এবং আমরা পরবর্তীতে তা প্রকাশ করব।”

নিজেকে সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থানকারী দাবি করে ইশরাক বলেন, “আমি কি শেখ হাসিনার পক্ষের কেউ ছিলাম? আমি তো বরং তার বিরুদ্ধেই আন্দোলন করেছি। তাহলে কেন আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে? কারণ একটাই—আমি বিএনপির প্রার্থী, ধানের শীষের মনোনীত প্রার্থী। সরকার তাদের দলীয় লোকদের প্রশাসক হিসেবে বসিয়ে নির্বাচনের সময় সুবিধা নিতে চায়।”

তিনি দাবি করেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন কেন্দ্রিক বিভিন্ন আর্থিক অনিয়ম ও লুটপাটকে অব্যাহত রাখার লক্ষ্যেই তাকে বাধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এ আন্দোলন ব্যক্তিগতভাবে তিনি শুরু করেননি বলেও উল্লেখ করেন। ইশরাক বলেন, “এটি ঢাকা দক্ষিণের জনগণ এবং ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত সিদ্ধান্ত। আমি তাদের কাছ থেকে জেনেছি, আন্দোলন চলমান থাকবে যতক্ষণ না দাবি পূরণ হয়। কর্পোরেশনের কর্মকর্তারাও এই আন্দোলনে অংশ নিচ্ছেন।”

তিনি বলেন, “শেখ হাসিনার মধু খেয়ে আমি রাজনীতি করেছি কিনা, তার জবাব জনগণ জানে এবং তারা সরকারকে প্রয়োজন অনুযায়ী সেই জবাব দেবে।”

ভিডিও দেখুন: https://www.youtube.com/watch?v=mlFQgQC2gBE

এম.কে.

×