
ছবি: জনকন্ঠ
কুড়িগ্রামের উলিপুরে করলার ফলন ভালো হওয়ায় দ্বিগুন লাভের আশা করছেন চাষিরা। কম খরচে লাভ বেশি হওয়ায় করলার চাষ বাড়ছে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। অন্যান্য ফসলে লোকসান গুনলেও করলা চাষে খরচের দ্বিগুণ লাভ হচ্ছে চাষিদের। এছাড়া বাজারে করলার দর ও চাহিদা ভালো থাকায় খুশি তারা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবারে উপজেলায় চাষযোগ্য জমি প্রায় ৫ শত ৬৫ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৯.৬০ মেট্রিকটন। এর মধ্যে করলা চাষও রয়েছে। অল্প খরচে কম সময়ে দ্বিগুন লাভ পাওয়ায় করলা চাষের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে চাষিদের। এছাড়া উপজেলা কৃষি অফিস থেকে করলা চাষিদের বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেয়া অব্যহত রয়েছে বলে জানান তারা।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, করলার ক্ষেত পরিচর্যা ও করলা উঠাতে ব্যন্ত সময় পার করছেন চাষিরা। বাজারে করলার বাজার দর ভালো থাকায় তাদের হাসি মুখে দেখা গেছে। তারা জানান, অল্প সময় ও অল্প খরচে দ্বিগুন লাভ করা যায় করলা চাষে। করলার চাহিদা বাজারে থাকায় বাজার দর ভালো আছে। তবে সার, কীটনাশক, তেল ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় করলা চাষে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তা না হলে আরও বেশি লাভবান হওয়া সম্ভব হতো। এছাড়া এবারে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় করলার ফলন অনেক ভালো হয়েছে।
উপজেলার দক্ষিন দলদলিয়া টাপুরকুটি এলাকার করলা চষি এরশাদুল হক জানান, এবারে ১৪ শতাংশ জমিতে করলার চাষ করেছেন। তিনি করলা বাজারজাত করা পর্যন্ত খরচ করেছেন প্রায় ১০ হাজার টাকা। এ পর্যন্ত করলা বাজারে বিক্রি করেছেন ৬ মণ। যার মূল্য পেয়েছেন ১০ হাজার টাকা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ওই ক্ষেতে আরও করলার আশা করছেন প্রায় ১০ থেকে ১২ মণের। যার থেকে আয়ের আশা করছেন ১৬ হাজার থেকে ১৯ হাজার টাকা। বর্তমান কেজি প্রতি করলা বাজারে পাইকেরিতে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। যা খরচের দ্বিগুন লাভ হবে বলে জানান তিনি।
এছাড়া বিভিন্ন এরাকার করলা চাষিদের মধ্যে মতিয়ার রহমান, মোকলেছুর রহমান, সরিফুল ইসলাম, জব্বার আলী ও অছির উদ্দিন সহ আরও অনেকে জানান, করলার চাষ লাভজনক। এই ফসল থেকজে অল্প খরচে অল্প সময়ে দ্বিগুন লাভ করা যায়। এবারে আবহাওয়া ভালো থাকায় করলার বাম্পার ফলন হয়েছে। করলার চাহিদা ও বাজারদর ভালো থাকায় অনেক লাভবান হবেন কৃষকেরা।
উলিপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন জানান, করলা চাষিদের বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেয়া অব্যহত রয়েছে। করলার বাজারদর ভালো থাকায় চাষিরা অনেক লাভবান হচ্ছে।
মুমু