
উত্তরাঞ্চলসহ সারাদেশের অসংখ্য মানুষকে জ্বীনের বাদশা, সোনার মূর্তি, বাদশাহী মোহর, পুরাতন দলিলসহ বিভিন্ন মাধ্যমে দীর্ঘ দিন ধরে প্রতারণা করে আসা প্রতারকচক্রের উর্বর ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে উপজেলার নতুন সংযোজন হ্যাকারচক্রকে ধরতে মাঠে নেমেছে প্রশাসন। শুক্রবার (১৬ মে) গভীর রাতে যৌথবাহিনীর অভিযানে চিহ্নিত দুই হ্যাকারের বাড়ি থেকে বিপুল সংখ্যক সিমকার্ড, মোবাইল ফোন, কম্পিউটার ও নগদ টাকা উদ্ধার হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের উত্তরসিংগা গ্রামে এ অভিযান চালায় যৌথবাহিনী।
এ সময় অভিযুক্ত হ্যাকার জুয়েলের বাড়িতে অভিযানকালে ল্যাপটপ, ডেক্সটপ কম্পিউটার ও মনিটর, অ্যান্ড্রয়েড ফোন, বাটন ফোনসহ গ্রামীণ ফোনের সিম, স্কিটো সিম, এয়ারটেল-রবি সিম, বাংলা লিঙ্ক সিম এবং নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়। তবে আলোচিত হ্যাকার জুয়েল পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
অন্যদিকে একই এলাকার আরেক অভিযুক্ত হ্যাকার রনির বাড়িতেও অভিযান পরিচালনা করা হয়। এখানে বেশ কিছু সিম কার্ড, হার্ডডিক্স, পেনড্রাইভ, পিসি, মনিটর, প্রিন্টার, রাউটার, সিসি ক্যামেরা ও ডায়েরি খাতা উদ্ধার করা হয়। হ্যাকার রনিকেও বাড়ি না থাকায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য, উত্তরাঞ্চলসহ সারাদেশের অসংখ্য মানুষকে সোনার মূর্তি, বাদশাহী মোহর, পুরাতন দলিলসহ বিভিন্ন মাধ্যমে দীর্ঘ দিন ধরে প্রতারণা করে আসা প্রতারকচক্রের উর্বর ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত উপজেলার এই এলাকায় নতুন চক্র হিসেবে সম্প্রতি আভির্ভূত হয়েছে এই হ্যাকারচক্র। তারা বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধীসহ বিভিন্ন সরকারি ভাতাপ্রাপ্ত অসহায় সরল মানুষকে টার্গেট করে তাদের মোবাইল হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে ভাতার টাকা আত্মসাৎ করে আসছিল। আলোচিত ও চিহ্নিত জুয়েল ও রনি এর মধ্যে অন্যতম হ্যাকার বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
মুমু