
ছবি: সংগৃহীত
রংপুর নগরীর বেতপট্টি এলাকায় 'লক্ষ্মী জুয়েলার্স' নামের একটি স্বর্ণের দোকানে ক্রেতা সেজে ঢুকে অভিনব কৌশলে প্রায় এক কোটি টাকার স্বর্ণালংকার চুরি করেছেন পাঁচ নারী। দিনদুপুরে সংঘটিত এই চুরির ঘটনাটি জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের মধ্যে চরম উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
দোকানের মালিক জানান, চুরি হওয়া স্বর্ণের পরিমাণ প্রায় ১০০ ভরি, যার বাজারমূল্য আনুমানিক দেড় কোটি টাকা। চেইন, আংটি, রিসলেট ও লকেটসহ বিভিন্ন ধরনের স্বর্ণালংকার ছিল চোরদের লক্ষ্যবস্তু।
দোকান কর্মচারীরা জানান, দুপুরবেলা পাঁচজন নারী দুটি দলে বিভক্ত হয়ে দোকানে প্রবেশ করেন। তারা গহনা দেখার নাম করে নানা কৌশলে কর্মচারীদের ব্যস্ত করে তোলেন। একাধিকবার গহনা পরিষ্কার করানোর অজুহাতে এক কর্মচারীকে দোকানের বাইরে পাঠানো হয়। এ সময় সুযোগ বুঝে ক্যাশ কাউন্টারের পাশের সোনার স্টক বক্সটি কৌশলে চুরি করে নিয়ে যান তারা।
সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনায় দেখা যায়, চোরচক্রের একজন দোকানের একটি অংশে উঠে পড়ে সোনা সংগ্রহ করতে থাকেন এবং বাকিরা তাকে সহযোগিতা করেন। দোকানে প্রবেশের পর তারা এমন অভিনয় করেন যে, কর্মচারীদের কোনো সন্দেহই হয়নি। কেউ গহনা হাতে নিয়ে সেটি থেকে একটি পোকা বের করে আবার ঢুকিয়ে দেন, কেউ দামাদামি করে কিছু গহনা কিনে নেন, আবার কেউ কানের দুল পরখ করতে গিয়ে চুপ থাকেন—মনে হয় যেন বোবা। এমনকি একজন নারী পছন্দের লকেট রেখে টাকা মিটিয়ে যান, কিন্তু পরে তা আর নিতে আসেন না।
রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতাউর রহমান জানান, ঘটনার পরপরই পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে এবং শহরের বিভিন্ন স্থানে থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ যাচাই করে চোরদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
রংপুর জুয়েলার্স ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি এনামুল হক সোহেল বলেন, “সোনার দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নিরাপত্তা ঝুঁকিও বাড়ছে। নগরীতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা এবং সিসি ক্যামেরা স্থাপন এখন সময়ের দাবি। নিরাপত্তা জোরদার করা গেলে এ ধরনের চুরি প্রতিরোধ করা সম্ভব।”
ভিডিও দেখুন: https://www.youtube.com/watch?v=ZMCbaMZEDes
এম.কে.