
মহাসড়কে যেন গ্রামীণ কাঁচা রাস্তার চিত্র ছোট-বড় অসংখ্য গর্তে ভরা কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের প্রায় ৫ কিলোমিটার অংশের খানা-খন্দে চলছে ইট বিছিয়ে সংস্কার কাজ। ফলে জনসাধারণের দুর্ভোগ বেড়েছে বহু গুণ। যানবাহন চলাচল করছে চরম ঝুঁকি নিয়ে। প্রতিনিয়ত সড়কে বিকল হয়ে পড়ছে যানবাহন, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে যন্ত্রপাতি।
পরিদর্শনে দেখা গেছে, কুষ্টিয়া জেলার লক্ষীপুর বাজার এলাকাসহ বিভিন্ন অংশে সড়কের অবস্থা একেবারেই বেহাল। খানাখন্দে ভরা রাস্তার ধুলোর কারণে সড়কের পাশে থাকা দোকানপাট ও বসতবাড়িতে বসবাস করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে টেকসই সংস্কারের উদ্যোগ না থাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ইট বিছিয়ে সাময়িকভাবে রাস্তা চলাচলের উপযোগী করা হলেও তাতে সমস্যার প্রকৃত সমাধান হচ্ছে না। বরং বৃষ্টির সময় এই ইটের সলিং আরও বিপজ্জনক হয়ে ওঠে।
সাজ্জাদ নামের এক স্থানীয় ব্যক্তি জানান, এই রাস্তা আগেই ভালো ছিল। ইট দিয়ে হেরিং করে রাস্তা আরো ব্যবহার অনুপযোগী হয়েছে। এতে সড়ক দুর্ঘটনার আশঙ্কা বেড়েছে। আরো বৃদ্ধি পেয়েছে ধুলাবালি।
বাস চালক রাশিদুল ইসলাম বলেন, এমনি ভাঙ্গা রাস্তা থেকে হেরিং রাস্তায় সমস্যা বেশি । রাস্তা থেকে হেরিং এর ওপর ওঠার সময় ঝাকি লেগে গাড়ির স্প্রিং ভাঙা সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া গাড়ির ছোটখাটো সমস্যা হতেই থাকে। আমরা সময় মত গন্তব্যে পৌছাতে পারি না ফলে আমাদের জরিমানা দিতে হয়।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মনজুরুল করিম জানান, বর্তমান সংস্কার কার্যক্রম সাময়িক। পুরোপুরি মেরামতের জন্য প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। কিছুটা সময় লাগবে, তবে সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে।
জনসাধারণ বলছে, বারবার এমন সাময়িক মেরামত’ আর আশ্বাস নয়, দ্রুত প্রয়োজন একটি টেকসই মহাসড়ক—যেটি উন্নয়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যাতায়াত সুবিধা নিশ্চিত করবে।
রিফাত