ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২

আমতলীতে ভেঙে পড়েছে  নরবড়ে সেতুটি

নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী, বরগুনা

প্রকাশিত: ২১:০৯, ১১ মে ২০২৫

আমতলীতে ভেঙে পড়েছে  নরবড়ে সেতুটি

অবশেষে এভাবেই বাজে সিন্ধুক খালের সেতু

অবশেষে কারণ ছাড়াই আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের গাজীপুর-কাঁঠালিয়া সড়কের বাজে সিন্ধুক খালের নরবড়ে আয়রণ সেতু ভেঙে পড়েছে। স্থানীয়রা সেতুর নরবড়ে অবস্থা দেখে ২৫ এপ্রিল স্বেচ্ছাশ্রমে সেতুর পাশে বাঁধ নির্মাণ করছেন। বাঁধ নির্মাণ শেষ না হতেই শনিবার রাতে সেতু ভেঙে পরেছে। এতে আমতলী, কলাপাড়া ও গলাচিপা উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের অন্তত এক লাখ লোকের চলাচলের মারাত্মক সমস্যা হবে।
জানা গেছে, আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের গাজীপুর- কাঁঠালয়া সড়কের বাজে সিন্ধুক খালে ২০১০ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কোটি টাকা ব্যয়ে আয়রণ সেতু নির্মাণ করে। তৎকালীন হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি শহীদুল ইসলাম মৃধা ওই সেতু নির্মাণ করেন। নি¤œমানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে ঠিকাদার সেতু নির্মাণ করায় পাঁচ বছরের মাথায় বিম ভেঙে সেতু নরবড়ে হয়ে যায়।

গত ১০ বছর ওই নরবড়ে সেতু দিয়ে আমতলী, কলাপাড়া ও গলাচিপা উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের অন্তত এক লাখ মানুষ ও যানবাহন চলাচল করেছে। বর্তমানে ওই সেতুটি চলাচলের সম্পূর্ণ অনুপোযোগী হয়ে পরে। কিন্তু স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ সেতু নির্মাণে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। এতে মানুষ ও যানবাহনের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।

ফলে স্থানীয়রা মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে গত ২৫ এপ্রিল স্বেচ্ছাশ্রমে সেতুর পাশের খালে বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। গত ১৫ দিন ধরে ওই  সেতুর পাশে বাঁধ নির্মাণকাজ করেন স্থানীয়রা। কাজ শেষ না হতেই শনিবার রাতে সেতু ভেঙে পরে যায়।  
হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আবু সালেহ বলেন, স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমে বাজে সিন্ধুক খালে বাঁধ নির্মাণকাজ শুরু করে। গত ১৫ দিন ধরে কাজ চলছে। কাজ শেষ হতে না হতেই সেতু ভেঙে পড়েছে। এতে লক্ষাধিক মানুষ ও যানবহানের চলাচলে সমস্যা হবে।  
আমতলী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবুল আলম মৃধা বলেন, ঠিকাদার শহীদুল ইসলাম মৃধা ২০১০ সালে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে বাজে সিন্ধুক খালে আয়রণ সেতু নির্মাণ করেছেন। গত পাঁচ বছর আগে ওই সেতু অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ চিহ্নিত করেছেন।

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ওই সেতু দিয়ে মানুষ ও যানবাহন চলাচল করত। ওই সেতু চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে যায়। গত ১৫ দিন ধরে এলাকাবাসী সেতুর পাশে বাঁধ নির্মাণ করছিল। কাজ শেষ না হতেই সেতু    ভেঙে পড়েছে। ওই খালে সরকারিভাবে গাডার সেতু নির্মাণের দাবি জানান তিনি।
হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ঠিকাদার শহীদুল ইসলাম মৃধার সঙ্গে তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
আমতলী উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী ইদ্রিস আলী বলেন, সেতু  ভেঙে যাওয়ার খবর পেয়েছি। আগেই ওই সেতু ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। ওই খালে গাডার সেতু নির্মাণের প্রস্তাব অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। প্রকল্প পাশ হলেও দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।

×