
ছবি: জনকণ্ঠ
প্রচণ্ড দাবদাহে অতিষ্ঠ জনজীবনে খানিক স্বস্তি এনে দিচ্ছে মধুমাসের সুস্বাদু ও শীতল ফল—তাল শাঁস। গ্রীষ্মের এই সময়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার, স্কুল-কলেজের পাশের রাস্তার মোড়ে মোড়ে দেখা মিলছে তাল শাঁস বিক্রেতার। তৃষ্ণার্ত পথচারী থেকে শুরু করে শিক্ষার্থী, রিকশাচালক ও দিনমজুর—সবাই একটুখানি ঠান্ডার স্বাদ পেতে ভিড় করছেন।
শুধু শহরেই নয়, উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের মানুষ ভ্যানে করে পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে বিক্রি করছেন তাল শাঁস। কেউ কেউ আবার দূর-দূরান্তের গ্রাম থেকে তাল শাঁস সংগ্রহ করে এনে বাজারে বিক্রি করছেন জীবিকার আশায়। এভাবে প্রায় শতাধিক পরিবার গরমকালীন এই মৌসুমি ফল বিক্রি করে আয় করছেন।
উপজেলার মাওলাগঞ্জ বাজারের বিক্রেতা আবুল বাশার বলেন, “প্রতি বছর মধুমাসে আশপাশের এলাকা থেকে তাল শাঁস কিনে এনে বিক্রি করি। তবে এবার ফলন কম হওয়ায় জোগান কম, আর দামও তুলনামূলক বেশি।” বর্তমানে প্রতিটি তাল শাঁস ২০ থেকে ২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এতে প্রতিদিন তার আয় হচ্ছে প্রায় ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা।
উপজেলার বিভিন্ন স্থানে দেখা গেছে, গাড়ি থামিয়ে তাল শাঁস কিনে নিচ্ছেন অনেকে। কেউ আবার পরিবারের জন্য বোটা ধরে একাধিক তাল শাঁস কিনছেন। দুপুর গড়ানোর আগেই অনেক জায়গায় শেষ হয়ে যাচ্ছে এই চাহিদাসম্পন্ন ফলটি।
তাল শাঁস শুধু স্বস্তিই দেয় না, পুষ্টিগুণেও সমৃদ্ধ। এতে রয়েছে প্রচুর পানি, ভিটামিন বি ও সি, ফাইবার, পটাশিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান, যা গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে, পানিশূন্যতা রোধে, হজমে সহায়তা এবং ত্বকের সুস্থতায় কার্যকর ভূমিকা রাখে।
গরমের ক্লান্তিকর সময়ে প্রাকৃতিকভাবে শরীরকে চাঙা ও সতেজ রাখতে তাল শাঁস হতে পারে একটি উপকারী ও স্বাস্থ্যকর বিকল্প।
এম.কে.