
প্রতীকী ছবি
জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ১৪ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের পর অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় গর্ভপাত করানো মামলার আসামি জাহিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার টাওয়ার মার্কেট এলাকা থেকে আটক করা হয়। জাহিদুল সরিষাবাড়ী উপজেলার নাথেরপাড়া আওনা গ্রামের সাইদুর রহমানের ছেলে।
ডিবি সূত্র জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় জামালপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজমুস সাকিবের তত্ত্বাবধানে এসআই মো. আসাদুজ্জামান, মো. আতিকুর রহমান এবং মো. আব্দুল্লাহ আল আজাদের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে আসামি জাহিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত বছরের ১২ আগস্ট সরিষাবাড়ী থানায় ধর্ষিতার বাবা সোহেল রানা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় বলা হয় ১৪ বছরের নাবালিকাকে প্রতিবেশী মো. জাহিদুল ইসলাম (২৩) ভয়ভীতি দেখিয়ে তার নির্মাণাধীন ভবনের ভিতর নিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের বিষয়টি কাউকে জানালে খুন করার হুমকি দেয়া হয়। ভয়ভীতি দেখিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে একাধিক বার জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। ধর্ষিতা তার ভয়ে কাউকে কিছু জানায়নি।
একপর্যায়ে ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। সাত মাস পর ধর্ষিতা বিষয়টি জাহিদুল ইসলামকে জানালে গর্ভের সন্তানটি নষ্ট করার জন্য চাপ দিতে থাকেন। সুকৌশলে ধর্ষক তার বোনকে দিয়ে গর্ভপাত করানোর ঔষধসহ তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। ওষুধ সেবনের পর গত ১১ এপ্রিল সকাল ৯টায় কিশোরী গর্ভপাত হলে মৃত ছেলে সন্তান প্রসব করে। গর্ভপাতের পর কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
জামালপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজমুস সাকিব জনকণ্ঠকে বলেন, আসামি জাহিদুলকে সরিষাবাড়ী থানায় পাঠানো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
আবুবকর