ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ৯ কার্তিক ১৪৩১

ভূমধ্যসাগরে নিহত ১১ জনের ৩ জনই মাদারীপুরের

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর  

প্রকাশিত: ১১:১৩, ২০ জুন ২০২৪

ভূমধ্যসাগরে নিহত ১১ জনের ৩ জনই মাদারীপুরের

নিহত দুই ব্যক্তি।

ইউরোপে অভিবাসন প্রত্যাশীদের বহনকারী দুইটি নৌকা ডুবে ইতালির দক্ষিণ উপকূলে অভিবাসন প্রত্যাশী নিহত ১১ জনের মধ্যে ৩ জনই মাদারীপুরের বলে জানা গেছে। পরিবারগুলোতে চলছে আহাজারি। এ ঘটনায়  নিখোঁজ ৬৪ জন রয়েছে বলে জানা গেছে। তাদের মধ্যে ২৬ জন শিশু রয়েছে। নিহতদের দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন স্বজনরা। 

জান গেছে, মাদারীপুরের শিবচর পৌরসভার খানকান্দি এলাকার ইউনুস হাওলাদারের ছেলে আলী হাওলাদার সম্প্রতি দুবাই হয়ে লিবিয়া পৌঁছায়। এর আগেও একবার সমুদ্র পথে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে ব্যর্থ হয়। মঙ্গলবার (১৮ জুন) আলী অন্যদের সঙ্গে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গেলে দুর্ঘটনায় মোট ১১ জনের মৃত্যু হয়। 

এই ১১ জনের মধ্যে ৩ জন মাদারীপুরের বিভিন্ন এলাকার বলে নিহত আলীর স্বজনরা নিশ্চিত করেছে। এদের মধ্যে অপর দুইজন সজিব ও সাব্বির বলে নিশ্চিত করে পরিবারটি। তবে সাব্বিরের ছবি পাওয়া যায়নি। মাদারীপুরের এই ৩ জনসহ নিহত ১১ জন ডুবে যাওয়া ট্রলারটির ইঞ্জিন রুমে ছিল বলে জানা গেছে। 

নিহত আলী হাওলাদার ঈজিবাইক চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তার রাফিন (৬) ও রাবেয়া (১) নামের দুই সন্তান রয়েছে। দরিদ্র আলী হাওলাদার ধার দেনা করে পরিবারের স্বচ্ছলতার আশায় প্রায় ১৫ লাখ টাকা খরচ করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাগরপথে ইতালি যাত্রা করে। কিন্তু আলীর মর্মান্তিক মৃত্যুতে পরিবার জুড়ে চলছে শোকের মাতম। 

নিহত আলীর স্ত্রী রোমেনা আক্তার কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আমার বাচ্চা দুটো বুঝেও না ওর  বাবা নেই। ওরা এতিম হয়ে গেল । প্রথম গেম দিতে গিয়ে সে ধরা খায়। তখন অনেক টাকা দিয়ে তাকে ছাড়াই। আমি আমার স্বামীর লাশ ফেরৎ চাই।

নিহত আলীর বাবা ইউনুস হাওলাদার বলেন, আমার ছেলের লাশটি ফেরৎ আনতে আমি সরকারের কাছে জোর দাবি জানাই।

শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, নিহতদের ৩ জনের বাড়ি মাদারীপুরে এটা নিশ্চিত হওয়া গেছে। 
এর মধ্যে শিবচরের ২ জনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। আরো একজন শিবচরের হতে পারে। 
 

 এসআর

×