ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

রাজধানীতে হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু

বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ

জনকণ্ঠ রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২৩:৫৩, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ

বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ

তীব্র তাপপ্রবাহে বৃষ্টির আশায় দেশব্যাপী বিশেষ মোনাজাত করা হয়েছে। রাজধানীসহ সারাদেশে ইস্তিস্কার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। রাজশাহীতে বৃষ্টি চেয়ে দেওয়া হয়েছে ব্যাঙের বিয়ে। পুঁথিপাঠ, চাল সংগ্রহ করে গীত গাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
আবহাওয়বিদরা বলছেন, আগামী তিনদিন তাপমাত্রা কমার কোনো সম্ভাবনা নেই। দেশব্যপী বৃষ্টির সম্ভাবনাও ক্ষীণ। বড়সড় পরিসরে ঝড়-বৃষ্টি না হলে এমন অবস্থার পরিবর্তন হবে না। এমন অসহনীয় গরমে হিটস্ট্রোকে মৃত্যু বাড়ছে।

জ¦র-ডায়রিয়ার প্রকোপে তিল ধারণের জায়গা নেই হাসপাতালগুলোতে। মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানী ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি। মঙ্গলবার সকালে গুলিস্তানে হিটস্ট্রোকে আলমগীর শিকদার (৫৬) নামে এক বক্তির মৃত্যু হয়েছে। বাস থেকে নেমে হেঁটে যাওয়ার সময় হঠাৎ জ্ঞান হারিয়ে তার মৃত্যু হয়।

রাজধানীতে ইস্তিস্কার নামাজ ॥ গরম থেকে বাঁচতে বৃষ্টির জন্য রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ নামাজ বা ইস্তিস্কার (পানির জন্য প্রার্থনা) নামাজ আদায় করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পূর্ব রামপুরার সালামবাগ জামে মসজিদ ও জামিয়া আনওয়ারুল উলুম মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এ বিশেষ নামাজে অংশ নেন বহু মুসল্লি। ইস্তিস্কার নামাজ আদায় করে গরম থেকে রক্ষা পেতে বৃষ্টি চেয়ে মোনাজাত করা হয়। আল্লাহর কাছে চাওয়া হয় পানাহ।

প্রায় একই সময়ে আফতাবনগরে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের আয়োজনে বিশেষ ইস্তিস্কার নামাজ আদায় করা হয়। শায়খ আহমাদুল্লাহ এ জামাতের ইমামতি করেন। এ সময় নিজেদের গুনাহ ক্ষমা চেয়ে আল্লাহর কাছে মাফ ও বৃষ্টি দেওয়ার জন্য দোয়া করা হয়।
ইস্তিস্কার নামাজ আদায় করা মো. মামুন নামে এক মুসল্লি বলেন, কয়েক দিনের অতিরিক্ত গরমে মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। বৃষ্টিও হচ্ছে না। তাই ইস্তিস্কার নামাজ আদায় করে গরম থেকে মুক্তি পাওয়া এবং বৃষ্টির জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া চেয়েছি। তিনি জানান, সকালে মসজিদ থেকে মাইকে ঘোষণা দেওয়া হয় বৃষ্টির জন্য ইস্তিস্কার নামাজ আদায় করা হবে। এ ঘোষণা শুনে মসজিদে যাই। সেখানে আমার মতো অনেকেই এ বিশেষ নামাজ আদায় করেন এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
রাজশাহীতে ব্যাঙের বিয়ে ॥ স্টাফ রিপোর্টার জানান, রাজশাহীর চারঘাটের তাতারপুর গ্রামে গত সোমবার বৃষ্টির জন্য ব্যাঙের বিয়ে দেওয়া হয়েছে ধুমধাম করে। দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বেলা সাড়ে তিনটা পর্যন্ত ৬০-৭০ বাড়িতে বৃষ্টির জন্য গান গাওয়া শেষে বিয়ের অনুষ্ঠান হয়। বিয়ে শেষে সন্ধ্যায় ছিল খাওয়া দাওয়ার আয়োজন। ইউসুফ আলী ও হাবিবা খাতুন নামে দুই শিক্ষার্থীর উদ্যোগে এই বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ব্যাঙের বিয়ের উদ্যোক্তা ইউসুফ আলী বলেন, বৃষ্টি নেই, তাপমাত্রা বাড়ছে। গাছের আম ঝরে পড়ছে। অন্য ফসলেরও ক্ষতি হচ্ছে। এই অবস্থায় গ্রামের লোকজনকে নিয়ে ব্যাঙের বিয়ে দেওয়ার আয়োজন করা হয়। গ্রামের ৬০-৭০টি বাড়িতে বৃষ্টির জন্য ‘আল্লাহ মেঘ দে, পানি দে, ছায়া দে রে’ গানটি গাওয়া হয়। পরে ব্যাঙের বিয়ে দিয়ে একটি প্রতীকী পুকুর খনন করে সেখানে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। সন্ধ্যায় ম-লপাড়ায় ওসিমুদ্দিন ম-লের আমবাগানে ভোজের আয়োজন করা হয়।
এদিকে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে পুঠিয়ায় ইস্তিস্কার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। পিএন মডেল উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এ নামাজ আদায় করা হয়। পুঠিয়া উপজেলা ওলামা পরিষদ এ আয়োজন করে। এতে ইমামতি করেন মাওলানা মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম। সেখানে দুই রাকাত নামাজ শেষে রাজশাহীসহ সারাদেশেই বৃষ্টির জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়।
খুলনায় বিশেষ নামাজ ॥ স্টাফ রিপোর্টার [RTF bookmark start: }_GoBack[RTF bookmark end: }_GoBackজানান, খুলনায় বিশেষ নামাজ সালাতুল ইস্তিস্কার নামাজ আদায় করা হয়েছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের উদ্যোগে এবং ইমাম পরিষদের সহযোগিতায় মঙ্গলবার সকাল ১০টায় শহীদ হাদিস পার্কে এই নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি এবং গরম থেকে মুক্তির জন্য মহান আল্লাহর রহমত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

নামাজে ইমামতি ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন নগরীর গোয়ালখালি ক্যাডেট স্কিম মাদ্রাসার মুহতামিম অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা আব্দুল আউয়াল। এ সময় মুসল্লিরা অঝোরে চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে তওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
কয়েক জেলায় ইস্তিস্কার নামাজ ॥ নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় চুয়াডাঙ্গা শহরের টাউন ফুটবল মাঠে জেলা সম্মিলিত উলামা কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে ইস্তিস্কার নামাজ আদায় করা হয়েছে। নামাজ শেষে আল্লাহর কাছে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করা হয়। নাটোরের লালপুরে অনাবৃষ্টি ও তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তির আশায় নাটোরের লালপুরে ইস্তিস্কার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে দুয়ারিয়া ইউনিয়নের কলসনগর কওমি মাদ্রাসা মাঠে প্রচ- রোদের মধ্যে এই নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে ইমামতি করেন কলসনগর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের  পেশ ইমাম মাওলানা  মো. হাফিজুর রহমান। নামাজে সব শ্রেণিপেশার শত শত মানুষ অংশ নেন।
স্টাফ রিপোর্টার জানান, দাবদাহ থেকে পরিত্রাণের জন্য মহান আল্লাহর কাছে বৃষ্টি চেয়ে ইস্তিস্কার নামাজ আদায় করেছেন নীলফামারী শহর এবং লালমনিরহাটের হাতীবান্ধার মুসল্লিরা। মঙ্গলবার সকালে নীলফামারী জেলা শহরের মুন্সিপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এই নামাজের আয়োজন করে আহলে হাদিছ আন্দোলন বাংলাদেশ।

সকাল ছয়টায় নামাজ শেষে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন মুন্সিপাড়া আহলে হাদিছ জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মো. আব্দুস সামাদ। অপরদিকে দুপুর ১২টায় লালমনিরহাটের বড়খাতা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ইস্তিস্কা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। নামাজের ইমামতি ও দোয়া পরিচালনা করেন বড়খাতা নূরানী জামে মসজিদের খতিব মাওলানা নাজমুল হুদা। হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা বাজার ব্যবসায়ী ও ওলামা সমিতির উদ্যোগে এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
চিকিৎসা ব্যবস্থায় বেড়েছে চাপ ॥ নীলফামারীর সৈয়দপুরে ১০ দিনে ১১ হাজার রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে তিল ধারণের জায়গা নেই। ব্রাহ্মণবাড়িয়াতেও শিশু রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। দেখা দিয়েছে ওষুধের সংকট। গরমে  মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় চিকিৎসকদের সেবা দিতে হিমশিম অবস্থা।
সৈয়দপুরে প্রখর তাপদাহে জ্বর ও ডায়রিয়াসহ নানান রোগের প্রকোপ বেড়েছে। এর প্রভাবে সৈয়দপুর ১০০ শয্য হাসপতালে তিল ধারণের জায়গা নেই। অতিরিক্ত রোগীর চাপে চিকিৎসা দিতে হিমশিম চিকিৎসকরা। হাসপাতাল সূত্র জানায়, গত দশ দিনে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে বহির্বিভাগ, জরুরি ও ভর্তি থেকে  চিকিৎসা নিয়েছে ১০ হাজার  ৯০৫ জন রোগী।

এর মধ্যে সর্দি, জ্বর, টাইফয়েড, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়াসহ অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হয়ে চার হাজার ৪৬৪ জন শিশু চিকিৎসা নিয়েছে। এ সব শিশুর মধ্যে ভর্তি ছিল ১৬৪ জন। বাকি পাঁচ হাজার ৪৪১ জন ছিলেন বিভিন্ন বয়সী নারী ও পুরুষ। এর মধ্যে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিয়েছে ৭৩২ জন, জরুরি বিভাগে এক হাজার ১১৯ জন ও বহির্বিভাগে তিন হাজার ৫৯০ জন। আর বর্তমানে মাত্র আটজন চিকিৎসক দিয়ে বিশাল সংখ্যক এ রোগীর সেবাদানে হিমশিম  খেতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে।
তীব্র গরমে শুধু এ হাসপাতালেই নয়, এ উপজেলার রেল হাসপাতাল, বিভিন্ন কমিউনিটি ক্লিনিক, সরকারি-বেসরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও প্রাইভেট ক্লিনিক ও চিকিৎসকদের চেম্বারে মারাত্মক হারে বেড়েছে রোগীর সংখ্যা। উচ্চ রক্তচাপ, হাঁপানি, জ্বর, টাইফয়েড, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে রোগের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় বেশিরভাগ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে।

হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. নাজমুল হুদা বলেন, গত দশদিন ধরে রোগীর চাপ মারাত্মক বেড়েছে। গরম যত বাড়ছে, ডায়রিয়া  রোগীও তত বাড়ছে। এ ক্ষেত্রে পানি ও তরলজাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ  দেন এই চিকিৎসক।
সিটি ও পৌরসভায় গাছ লাগানোর নির্দেশনা ॥ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে তীব্র গরম রোধ ও পরিবেশ সুরক্ষায় সারাদেশে গাছ লাগানোর নির্দেশনা দিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। বিশেষ করে সব সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা এলাকায় গাছ লাগাতে বলা হয়েছে।

এ নির্দেশনা দিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে দেশের সব সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং পৌরসভার মেয়রের কাছে চিঠি পাঠানো হয়। এতে বলা হয়, পরিবেশ সংরক্ষণ ও জলবায়ুর পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় দেশের সর্বত্র বিশেষ করে নগর এলাকায় উপযুক্ত স্থানে পর্যাপ্ত বৃক্ষরোপণ এবং তা পরিচর্যা ও সংরক্ষণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। আরও বলা হয়, গত কিছুদিন ধরে দেশের বেশিরভাগ অংশ জুড়ে তাপপ্রবাহ বইছে।

কোথাও কোথাও অতি তীব্র আকার ধারণ করেছে তাপপ্রবাহ। গত শনিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল যশোরে। ওইদিন ঢাকায়ও দিনের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হয়। প্রচ- গরমে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। চরম ভোগান্তিতে পড়ে মানুষ। গত দুদিন সামান্য কমার পর মঙ্গলবার থেকে ফের বাড়ছে তাপমাত্রা। আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা বাড়ার ধারা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
তাপমাত্রার চাপ সামলানো কঠিন হবে ॥ ঢাকার তাপমাত্রা বাড়ার পেছনে জনসংখ্যা, অপরিকল্পিত নগরায়ণ, জলাভূমি ভরাট ও গাছপালা কেটে ফেলাকেই দায়ী করেছেন গবেষকরা। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্লানার্স (বিআইপি) গরম বাড়ার অন্যতম কারণ হিসেবে বলছে, গত ২৮ বছরে ঢাকা থেকে ২৪ বর্গকিলোমিটার সম-আয়তনের জলাধার ও ১০ বর্গকিলোমিটারের সমপরিমাণ সবুজ কমেছে। গত ২০ বছরে ঢাকার তাপমাত্রা বেড়েছে প্রায় ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এ ধারা চলতে থাকলে আগামী ২০ বছরে ঢাকার তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রির বেশি বাড়ার শঙ্কা রয়েছে। গবেষকরা বলছেন, এমন হলে রাত ও দিনের তাপমাত্রার তারতম্য কমে আসবে। ফলে সব সময় গরম অনুভূত হবে। তাপমাত্রা বাড়ার জন্য অপরিকল্পিত নগরায়ণ, নগরে বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সমন্বয়ের অভাব ও পরিবেশ ব্যবস্থাপনা। প্রধানত বৈশ্বিক, আঞ্চলিক ও স্থানীয়– এ তিন কারণে ঢাকা নগরের তাপমাত্রা বাড়ছে বলে মনে করেন গবেষকরা।
আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ক্রমাগত গাছ উজাড়ের কারণে ঢাকা এখন ‘হিট আইল্যান্ড’। ঢাকায় গরম বাড়ার কারণের মধ্যে রয়েছে– জনবহুল নগরী, অপরিকল্পিত নগরায়ণ, ইটভাঁটির কার্বন, গাড়ির কালো ধোঁয়া ও অতিমাত্রায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের (এসি) ব্যবহার। রাতে ডিজেলচালিত ট্রাক চলাচল করায় ঢাকা দূষিত নগরীতে পরিণত হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, সারাদেশের মধ্যে রাজশাহী, পাবনা, খুলনা, বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার ও রাঙ্গামাটি জেলাসহ ঢাকা, রংপুর ও বরিশাল বিভাগ এবং রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
কলাপাড়া, পটুয়াখালী ॥ পায়রা বন্দর, কুয়াকাটাসহ গোটা উপকূলে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। ফলে মানুষের ভোগান্তি চরমে। তীব্র দাবদাহে রাস্তাঘাটে বের হওয়া মানুষের কষ্ট হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়ছেন শ্রমজীবী মানুষ। ঘরের বাইরের বাতাসে যেন আগুনের হল্কা বইছে। কৃষকরাও খেতখামারে স্বাভাবিক কাজ করতে পারছেন না। হাসপাতালে বাড়ছে গরমজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। ইতোমধ্যে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। তীব্র দাবদাহের কারণে কুয়াকাটায় পর্যটকের সংখ্যা আশঙ্কাজনকহারে কমে গেছে। দুই-তিনদিনের জন্য বুকিং দেওয়া পর্যটকরা প্রোগ্রাম বাতিল করছেন।

×