
বিখ্যাত কাঁচাগোল্লা, বনলতা সেন ও রানী ভবানীর শহর নাটোর
বিখ্যাত কাঁচাগোল্লা, বনলতা সেন ও রানী ভবানীর শহর নাটোর। আয়তনে ছোট হলেও ভৌগোলিক, রাজনৈতিকভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এই জেলা। জেলায় রয়েছে চারটি সংসদীয় আসন। চারটিতেই টানা তিনবার আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে চারটি আসনেই জমে উঠেছে কৌশলে আগাম নির্বাচনী প্রচার, গণসংযোগ। পাশাপাশি মনোনয়ন নিশ্চিত করতে উচ্চ পর্যায়ে চলছে দৌড়ঝাঁপ, তদ্বির। মনোনয়নপ্রত্যাশীরা যে যার মতো করে দলীয় হাইকমান্ডের সুনজরে আসার চেষ্টা করছেন। নির্বাচন কেন্দ্র করে বিএনপি এক দফা আন্দোলনে রয়েছে। অন্যদিকে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন করার জন্য আওয়ামী লীগ সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা মাঠে রয়েছেন।
নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) ॥ জেলা শহর থেকে দক্ষিণে অবহেলিত লালপুর ও বাগাতিপাড়া উপজেলা নিয়ে এই আসন। শহিদুল ইসলাম বকুল সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর পিছিয়ে পড়া জনপদ এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। সমাজ থেকে সন্ত্রাস দূর করে নানা উন্নয়ন কর্মকা- বাস্তবায়ন করে চলেছেন তিনি।
জানা যায়, এই আসনে বিএনপি নেতা ফজলুর রহমান পটল ছাড়া কোনো সংসদ সদস্য টানা ক্ষমতায় থাকতে পারেননি। আসনটিতে আওয়ামী লীগের একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী রয়েছেন। তারা কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন। নৌকার মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল, সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ, লালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আফতাব হোসেন ঝুলফু, সাধারণ সম্পাদক শামীম আহম্মেদ সাগর, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান ইসাহাক আলী, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি কর্নেল (অব) রমজান আলী সরকার, আওয়ামী লীগ নেতা মো. আনিসুর রহমান, আওয়ামী লীগের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপকমিটির সদস্য সিলভিয়া পারভিন লেনি প্রমুখ।
বিএনপি নির্বাচনে গেলে ধানের শীষের মনোনয়ন চাইতে পারেন একাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য কামরুন্নাহার শিরিন। বয়স বিবেচনায় তিনি মনোনয়ন না চাইলে বিএনপির মানবাধিকার বিষয়ক কমিটির সদস্য, বিএনআরসি এডিটরিয়াল বোর্ডের সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ফারজানা শারমিন পুতুলকে বেছে নেওয়া হতে পারে। এ ছাড়া আলোচনায় আছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সৈয়দা আসিফা আশরাফি পাপিয়া, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের সাবেক ভিপি ডা. ইয়াসিন আরশাদ রাজন এবং জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মনজুরুল ইসলাম বিমল। এসব নেতা প্রকাশ্যে তৎপরতা না চালালেও কৌশলে কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে দলকে চাঙ্গা রাখছেন।
প্রধান দুই দলের বাইরে এই আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে আলোচনায় রয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় সহসভাপতি এমএ তালহা। এলাকায় তাকে দেখা না গেলেও তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন তিনি। এর বাইরে জাপার মনোনয়ন চাইবেন জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আশিক হোসেন, সহসভাপতি আব্দুর রশিদ।
এ ছাড়া আলোচনায় আছেন ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সদস্য মুহাম্মদ খালেকুজ্জামান, ঢাকা মহানগর উত্তরের প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক মো. গিয়াস উদ্দিন পরশ, ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও নাটোর জেলা সভাপতি এবং উত্তরবঙ্গ আখ চাষি সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিল, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দলের (এনডিএম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো. মাকসুদুর রহমান এবং জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও নির্বাহী পরিষদ সদস্য তাসনিম আলম।
নাটোর-২ (নাটোর ও নলডাঙ্গা) ॥ এই আসনে টানা তিনবার আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন কেন্দ্র করে এই আসনের একাধিক হেভিওয়েট প্রার্থী সক্রিয় রয়েছেন। তারা কেন্দ্র ও তৃণমূলের নেতাদের কাছে ছুটে বেড়াচ্ছেন। এর আগে সদর আসনের হেভিওয়েট নেতাকর্মীদের একাধিক বলয়ের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়। কিন্তু সম্প্রতি একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশীকে বর্তমান সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে দেখা গেছে। সম্প্রতি তারা একটি অনুষ্ঠানে শিমুলের বাইরে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার দাবি তোলেন। দীর্ঘদিন এই আসনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকায় জেলা পর্যায়ে দলের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব ও কোন্দলের সৃষ্টি হয়।
আগামী নির্বাচনেও নৌকার মনোনয়ন চাইবেন এমপি শফিকুল ইসলাম শিমুল। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজানও নৌকার টিকিটের জন্য হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে অন্যতম। দুই প্রার্থীর মধ্যে দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করেছে। আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে আরও রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, জেলা মহিলা লীগের সভাপতি ও সংরক্ষিত আসনের এমপি রতœা আহম্মেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আহাদ আলী সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মালেক শেখ, নাটোর পৌরসভার মেয়র ও প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা বাবু শংকর গোবিন্দ চৌধুরীর মেয়ে উমা চৌধুরী জলি, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. এমরান সোনার প্রমুখ।
এদিকে এই আসনে অনেক আগে থেকেই বিএনপির শক্ত অবস্থান রয়েছে। কেন্দ্রীয় বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা না দিলেও তৎপর রয়েছে জেলা বিএনপি। জেলা বিএনপি ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। বিভিন্নভাবে জেলা বিএনপি দল গোছাতে ব্যস্ত। বছরজুড়েই নাটোরে জেলা বিএনপিকে কমবেশি দলীয় কর্মসূচি পালন করতে দেখা গেছে। বিএনপি নেতারা নানা কর্মসূচি কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত ও সংগঠিত করার চেষ্টা করেছেন। বিএনপি নির্বাচনে এলে নাটোর সদর আসনে ভোট হবে জমজমাট ও চ্যালেঞ্জিং।
বিএনপির সম্ভব্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর স্ত্রী, জেলা বিএনপির সদস্য সাবিনা ইয়াসমিন ছবি। মামলা থাকায় নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি দুলু।
নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপি নেতা দুলু জানান, কী হচ্ছে তা এখন আমাদের কাছে মুখ্য বিষয় নয়। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন আদায় করেই আমরা নির্বাচনে যাব। অন্যদিকে জাপার সম্ভাব্য প্রার্থী হতে পারেন জেলার সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুন্নবী মৃধা। জাপারও ভোটকেন্দ্রিক কোনো তৎপরতা নেই। আর জামায়াতে ইসলামী জেলার দুটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করলেও এ আসনে কোনো প্রার্থী দেবে না বলে জানা গেছে।
নাটোর-৩ (সিংড়া) ॥ আগামী নির্বাচন ঘিরে এই আসনে আওয়ামী লীগের অবস্থান ভালো হলেও এক নেতা দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকায় নেতাকর্মীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ ও কোন্দল বিরাজমান। এই আসনে আওয়ামী লীগ থেকে ফের মনোনয়ন চাইবেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি। ১৯৭৩ সালের পর ২০০৮ সালে নৌকার টিকিট পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সে সময়কার তরুণ নেতা জুনাইদ আহমেদ পলক। এরপর পলক টানা তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
বিএনপিতে বিভেদ থাকলে এই আসনে আওয়ামী লীগ একাট্টা। পলকের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ উজ্জীবিত হলেও একাধিক বলয় রয়েছে। পলকের বাইরে এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন তুলবেন টানা দুইবারের উপজেলা চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফিক।
নাটোর-৩ আসন বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। কিন্তু বর্তমানে বিএনপির নেতৃত্বে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে। নেতাকর্মীদের ভেতর দ্বন্দ্ব বিরাজমান। বিগত দিনে উপজেলা বিএনপির প্রথম সারির বেশ কয়েক নেতা মৃত্যুবরণ করায় এ অবস্থা তৈরি হয়েছে। নেতাকর্মীরা চেয়ে আছেন দলীয় সিদ্ধান্তের ওপর। এই আসনে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব দাউদার মাহমুদ ছাড়া বিকল্প হেভিওয়েট প্রার্থী নেই বললেই চলে। এ ছাড়া মনোনয়ন চাইতে পারেন এক ডজন বিএনপি নেতা। কিন্তু সবার চেয়ে দাউদার মাহমুদের অবস্থান ভালো।
বিএনপির অন্য সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন তিনবারের সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক কাজী গোলাম মোর্শেদ, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ারুল ইসলাম আনু, জেলা বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীন, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম দলের কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম ইউসুফ আলী, উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ডা. নজরুল ইসলাম। এ ছাড়া ওয়ার্কার্স পার্টি থেকে মিজানুর রহমান মিজান, ইসলামী আন্দোলন থেকে সিংড়া উপজেলার সেক্রেটারি শাহ্ মোস্তফা ওয়ালিউল্লাহ্ সেলিম, উপজেলা জাপার সভাপতি প্রকৌশলী আনিসুর রহমান মনোনয়ন চাইবেন বলে জানা গেছে।
নাটোর-৪ (গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম) ॥ এই আসনে সাতবারের নির্বাচনে পাঁচবার আওয়ামী লীগের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কুদ্দুস সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকায় এই আসনে নেতাকর্মীদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব-কলহ বিরাজমান। নেতাকর্র্মীদের একাধিক বলয় রয়েছে। চলতি বছরের ৩০ আগস্ট মারা যান আব্দুল কুদ্দুস। তার মৃত্যুর পরে গত ১১ অক্টোবর উপনির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি নির্বাচিত হন উপজেলা চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারি।
আগামী নির্বাচনে এই আসনে একাধিক সম্ভাব্য প্রার্থীর মধ্যে রয়েছেন গুরুদাসপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দুইবার নির্বাচিত পৌরসভার মেয়র শাহনেওয়াজ আলী মোল্লা, উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আহাম্মদ আলী মোল্লা, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহস¤পাদক রতন সাহা, প্রয়াত এমপি রফিক সরকারের ছেলে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহ্বায়ক আরিফ উদ্দিন সরকার, রাবি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আহাম্মদ আলী মোল্লা ও কৃষক লীগ নেতা ও জেলা মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার সাধারণ স¤পাদক আব্দুল ওয়াহাব।
অন্যদিকে এ আসনে সাংগঠনিক শক্তি ও যোগ্য প্রার্থীর অভাবে ভুগছে বিএনপি। বড়াইগ্রাম উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি একরামুল আলম ও সাবেক সংসদ সদস্য মোজাম্মেল হকের মৃত্যু এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ নুর বাবু সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হওয়ার পর উপজেলায় দলটির শক্তিশালী নেতৃত্বে ধস নামে। সে কারণে বিএনপিতে এক ধরনের শূন্যতা রয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দলটির কয়েক নেতা মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী। যদিও বিএনপির কোনো নেতাই এখন প্রকাশ্যে সেভাবে জনসংযোগে নামেননি। যদিও বিএনপি এক দফা আন্দোলনে রয়েছে। তবে বিএনপি নির্বাচনে এলে এই আসনে বিএনপি থেকে একাধিক নেতা দলীয় মনোনয়ন তুলতে পারেন। বিএনপি থেকে সম্ভাব্য মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন গুরুদাসপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল আজিজ, গুরুদাসপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র মশিউর রহমান বাবলু, সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত মোজাম্মেল হকের ছেলে ব্যারিস্টার আবু হেনা মোস্তফা কামাল, সন্ত্রাসী হামলায় নিহত বড়াইগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান সানাউল্লা নূর বাবুর সহধর্মিণী মহুয়া নূর কচি, বড়াইগ্রামের সাবেক পৌর মেয়র ইসাহাক আলী, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক জন গোমেজ, বড়াইগ্রাম উপজেলা বিএনপি সভাপতি আব্দুল কাদের মিয়া মনোনয়ন চাইবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। এ ছাড়া এই আসনে জাপা থেকে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন জাপার কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক স¤পাদক ও সাবেক এমপি আবুল কাসেম সরকার। অন্যদিকে জেলা জামায়াতের সহসভাপতি অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন খান, জাসদের জেলা সাধারণ সম্পাদক ডিএম আলম সম্ভাব্য মনোনয়নপ্রত্যাশীর তালিকায় রয়েছেন।