
রাস্তার কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় জনগণের দুর্ভোপ চরমে
পটুয়াখালীর দুমকিতে মাত্র ৬শ’ মিটার রাস্তা অসম্পন্ন থাকায় তিন তিনটি কার্পেটিং সড়কের সুফল পাচ্ছে না এলাকাবাসী। উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়নের পঞ্চায়েত বাজার সংযোগের তিন দিক থেকে আসা কার্পেটিং সড়ক তিনটির অগ্রভাগে ২শ’ মিটার করে মোট ৬শ’ মিটার রাস্তার কাজ না হওয়ায় যানবাহন চলাচল বন্ধে দুর্ভোগের পড়েছেন বাজারের ব্যবসায়ীসহ এলাকাবাসী। জনদুর্ভোগ লাগবে শীঘ্রই অসম্পন্ন সড়কটুকু কার্পেটিংয়ের দাবি করছেন বাজারের ব্যবসায়ীসহ স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ২০২১-২০২২ অর্থবছরে উপজেলার দুমকি-বাউফল আরএইডি সড়কের তালতলী বাজার থেকে পঞ্চায়েত বাজার সড়কে ১ কিমি মজুমদার বাড়ি লঞ্চঘাট থেকে ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা হয়ে পঞ্চায়েত বাজার এবং মুরাদিয়া হাইস্কুল থেকে এরশাদ রাজ্জাকের বাড়ি হয়ে পঞ্চায়েত বাজার সংযোগের ১ কিমি করে কার্পেটিং সড়ক নির্মিত হয়।
উল্লিখিত তিনটি কার্পেটিং সড়কের সংযোগস্থল পঞ্চায়েত বাজার হলেও কাকতালীয়ভাবে প্রতিটি সড়কের অগ্রভাগে অন্তত: ২শ’ মিটারের কাজ অসম্পন্ন রয়েছে। বর্ষা মৌসুমে অসম্পন্ন সড়কে খানাখন্দ আর অসংখ্য গর্তে কাদা পানিতে একাকার হয়ে যানবাহন চলাচল তো দূরে থাক, হেঁটে চলাচলও দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। পঞ্চায়েত বাজারের মুদি দোকানি আ. সোবাহান রাঢ়ী জানান, বাজার সংলগ্ন তিনটি কার্পেটিং সড়কের ২শ’ মিটার রাস্তার কাজ বাকি থাকায় কোনো যানবাহনই বাজারে আসতে পারছে না। যে কারণে ব্যবসায়ীদের মালামাল পরিবহনে ভোগান্তি হচ্ছে। বাজার থেকে কাদাপানি মাড়িয়ে পাকা সড়কে গিয়ে অটোবাইক, রিস্কা-ভ্যানে মালামাল আনা নেওয়ায় বাড়তি খরচের পাশাপাশি দুর্ভোগের অন্ত নেই। একই অভিযোগ চা দোকান্দার ফিরোজ খান, মজিবুর রহমান হওলাদারসহ অনেকের।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. ফোরকান হাওলাদার জানান, মাত্র ৬ মিটার রাস্তা পাকা না হওয়ায় সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত তিন তিনটি কার্পেটিং সড়কের সুবিধা বঞ্চিত হচ্ছে এলাকার সাধারণ মানুষ। তা ছাড়া বাজারটির উন্নয়নও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। কাদাপানি ভেঙে মানুষ নিত্য কৃষিপণ্য-শাক সব্জি নিয়ে এ বাজারে না এসে পার্শ্ববর্তী বোর্ড অফিস কিম্বা তালতলী বাজারে চলে যায়। এতে বাজারও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই জনস্বার্থে ও পঞ্চায়েত বাজারের উন্নয়নের জন্য যতশীঘ্র সম্ভব অসম্পন্ন সড়কের কার্পেটিং কাজ সম্পন্নের দাবি জানিয়েছেন।
মুরাদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান সিকদার বলেন, প্রতিটি কার্পেটিং সড়কের কাজ সম্প্রসারণের জন্য উপজেলা পরিষদের উন্নয়ন সভায় ইতোমধ্যে প্রস্তাব করা হয়েছে। বরাদ্দ প্রাপ্তি সাপেক্ষে সড়কগুলোর কাজ করা হবে বলে উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ থেকে আশ্বস্ত করেছে। উপজেলা প্রকৌশলী আজিজুল হক জানান, মুরাদিয়া পঞ্চায়েত বাজার পর্যন্ত সংযোগ সড়কের কার্পেটিং কাজের প্রকল্প প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে অবশ্যই যথাযথ নিয়মে কাজ করা হবে।
রাস্তা নিয়ে ভোগান্তি
স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী থেকে জানান, নীলফামারীর ডোমারের সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানপাড়ার বাইপাস দিয়ে মহাসড়কে ওঠার সড়কটি ভেঙে গিয়ে চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
স্থানীয়রা জানান, ‘মহাসড়ক হওয়ার পর থেকেই এটি ব্যস্ত সড়কে পরিণত হয়েছে। গত এক সপ্তাহ পূর্বে টানা তিনদিনের বৃষ্টির পানির তোড়ে ২২ সেপ্টেম্বর রাস্তাটি ভেঙে যায়। রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় যাতায়াতে পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ।’ শুক্রবার ওই এলাকার নাজমুল ইসলাম বলেন, প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে রাস্তা ভেঙে গেছে। রাস্তার পাথর উঠে গেছে। এটি দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন। ভ্যান চালক আব্দুর রহমান বলেন, মহাসড়কের পাশে রয়েছে ইটভাটা। সবসময় এই রাস্তা দিয়ে শ্রমিকেরা রিক্সা-ভ্যানে করে এই রাস্তা দিয়ে যাওয়া-আসা করে।
এক সপ্তাহ হয়ে গেলেও রাস্তা ঠিক করতে এখন পর্যন্ত কেউ এলো না। শ্রমিক রাজ্জাক হোসেন বলেন, রাস্তা ভাঙা থাকায় সারাদিনে অনেকেই এসে গাড়ি নিয়ে ঘুরে যাচ্ছে। দ্রুত এই রাস্তা সংস্কার করা না হলে রাতের আঁধারে দুর্ঘটনায় পড়তে পারেন মানুষ। ডোমার সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুম আহমেদ জানান, রাস্তাটি সংস্কারের দায়িত্ব এলজিইডির। বিষয়টি তাদেরকে অবগত করা হয়েছে। ডোমার উপজেলা প্রকৌশলী মোস্তাক আহমেদ বলেন, রাস্তা ভাঙার ব্যাপারে আমাদের কেউ অবগত করেনি। তবে খোঁজ-খবর নিয়ে রাস্তাটির সংস্কার করা হবে।