ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১১ মে ২০২৫, ২৮ বৈশাখ ১৪৩২

পাটপণ্যেই স্বাবলম্বী খ্রিস্টান মিশন পল্লীর নারীরা

নিজস্ব সংবাদদাতা, চুয়াডাঙ্গা

প্রকাশিত: ২২:২৮, ১১ আগস্ট ২০২৩

পাটপণ্যেই স্বাবলম্বী খ্রিস্টান মিশন পল্লীর নারীরা

খ্রিস্টান মিশন পল্লীতে কাজ করে স্বাবলম্বী তারা

পাটজাত সামগ্রী তৈরি করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন চুয়াডাঙ্গার কার্পাসডাঙ্গা খ্রিস্টান মিশন পল্লীর নারীরা। এদের অধিকাংশই অসহায় ও দুস্থ। গৃহস্থালীর কাজের অবসরে এ কাজ করে তারা প্রতি মাসে সাত থেকে আট হাজার টাকা রোজগার করছেন।
১৯৭৬ সালে ইতালি থেকে কার্পাসডাঙ্গায় ধর্ম প্রচার করতে আসেন ফাদার জন। তিনিই তাদের এ কাজে সম্পৃক্ত করেন। সড়ক দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হলেও এ কাজ থেমে যায়নি। চাহিদা মোতাবেক পাট দিয়ে তৈরি করা হয় গিফট ব্যাগ, ফটো অ্যালবাম, ফটোফ্রেম, গিফট বক্স, খেলনা, ওয়ালম্যাট, ক্রিসমাস ডেকোরেশন, টেবিল ম্যাট, ঘরের আড়ায় টাঙানো শিকা ও তার ভেতরকার বক্স, পাখি, মাছ, মেয়েদের ব্যবহৃত হাত ব্যাগ, বালতি, ফুলদানি, জায়নামাজ, জুয়েলারি বক্সসহ হাজারো পণ্য। কার্পাসডাঙ্গা মিশন বেইজ কর্মী চায়না মন্ডল বলেন, এ কাজ করে আমি চার মাস পর পর ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা আয় করি। বর্তমানে আমি স্বাবলম্বী।
সীরা মন্ডল নামে আরেক কর্মী বলেন, বছর দুয়েক হলো এ কাজ শুরু করেছি। প্রথমে কষ্ট মনে হলেও এখন ভালোই লাগে। কাজ শেষে যখন হাতে টাকা আসে তখন কষ্ট আর কষ্ট মনে হয় না। ওই উপার্জিত টাকা দিয়ে ছেলেমেয়ের লেখাপড়াসহ সংসারের ছোটখাটো কাজ করতে পারছি।
কার্পাসডাঙ্গা মিশন বেইজ মহিলা সমিতির সাধারণ সম্পাদিকা বুলবুলি মন্ডল বলেন, আমরা একেকজন একেকটি কাজ করি। কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাস জানান, এখানকার মেয়েরা পাটজাত পণ্য তৈরি করে যাতে লাভবান হয় সেদিকে আমার নজর আছে। দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা বলেন, কার্পাসডাঙ্গা মিশন পল্লীর মেয়েরা পাটজাত পণ্য তৈরি করছেন তা প্রশংসনীয়। হস্তশিল্পের সম্প্রসারণ ও বিকাশ ঘটানোর জন্য তারা কোনো সরকারি সাহায্য-সহযোগিতার জন্য আবেদন করেনি। যদি সহায়তা চায়, তাহলে অবশ্যই করা হবে।

×