
ফেরিঘাটে বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে যাত্রীদের ভিড়
ঈদের ছুটি শেষ। কর্মমুখী হচ্ছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ। এতে দৌলতদিয়া ফেরি ও লঞ্চঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ দেখা যায়। তবে পর্যাপ্ত লঞ্চ ও ফেরি থাকায় দুর্ভোগবিহীন কর্মমুখী হচ্ছে যাত্রীরা ও যানবাহন চালক।
শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দৌলতদিয়া লঞ্চ ও ফেরিঘাট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকে কর্মমুখী মানুষের চাপ দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে। অসংখ্য ফেরি থাকায় যাত্রীরা সহজে ফেরি পার হয়ে গৌন্তব্যে যেতে পারছেন। তবে প্রচ- বৃষ্টিতে কর্মমুখী মানুষের কিছুটা দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এ সময় রাজবাড়ী থেকে যাত্রীবাহী বাস জামান পরিবহনের চালক বলেন, দৌলতদিয়া ফেরিঘাট পর্যন্ত আসতে কোনো প্রকার দুর্ভোগ পোহাতে হয়নি। তবে বৃষ্টিতে যাত্রীদের কিছুটা দুর্ভোগ হয়।
রাবেয়া পরিবহনের যাত্রী বলেন, দুর্ভোগের অপর নাম ছিল দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট। পদ্মা সেতু দিয়ে যানবাহন পারাপার হওয়ার পর থেকে এই নৌরুটে আর কোনো প্রকার দুর্ভোগ নেই। আমরা সহজে নদী পার হয়ে ঢাকায় যেতে পারি।
লঞ্চ ঘাটের ম্যানেজার নুরুল আনোয়ার মিলন জানান, ঈদের ছুটির কারণে যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপ রয়েছে। তবে দুর্ভোগ নেই। যাত্রীরা এসেই নদী পার হতে পারছে। তিনি বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া এবং আরিচা-কাজীরহাট নৌরুটে ৩২টি লঞ্চ পর্যায়ক্রমে চলাচল করে।
বাংলাদেশ অভ্যান্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা বন্দরের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ জানান, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে বর্তমান ছোট-বড় ২০টি ফেরি চলাচল করছে। যে কারণে ঈদের ছুটি শেষে কর্মমুখী যানুষের নদী পারাপার করার জন্য কোনো প্রকার সমস্যা হবে না। তিনি আরও বলেন, যাত্রী ও যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ রয়েছে তবে দুর্ভোগ নেই।