
সামান্য বৃষ্টিতে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পানি
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ে অপর্যাপ্ত পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার কারণে অল্প বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা তৈরি হচ্ছে। দুর্ভোগের কথা জানিয়ে তা নিরসনে কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খাল খনন ও পরিচর্যার অভাবে এ সমস্যা তৈরি হচ্ছে। তবে সিলেট নগরে এ সমস্যা নিরসন না হলে ক্যাম্পাসে সমস্যা থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। তা নিরসনে পদক্ষেপের কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীরা জানান, ‘বুধবার সকালে দুই-তিন ঘণ্টার বৃষ্টিতে ক্যাম্পাসে গত বছরের বন্যার মতো দৃশ্য তৈরি হয়। বৃহস্পতিবারেও একই অবস্থা দেখা যায়। চার-পাঁচ ঘণ্টা পরও পানি সরছে না। ক্লাসে যেতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।’
জানা যায়, বিশ^বিদ্যালয় ও তার পাশর্^বর্তী নয়াবাজার এলাকার বৃষ্টির পানি ক্যাম্পাসের ছোট একটি খাল দিয়ে নিষ্কাশন হয়। এসব পানি তৃতীয় ছাত্রী হলসংলগ্ন খাল দিয়ে বিশ^বিদ্যালয়ের সীমানার বাইরে যায়। তবে খালে হলের ময়লা-আবর্জনা ফেলায় এবং আগাছার কারণে পানি নিষ্কাশনে বাধা তৈরি হচ্ছে। এছাড়া বিশ^বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরের কালভার্টগুলো সংকীর্ণ। এতে বিপুল পরিমাণ পানি নিষ্কাশনের সুযোগ নেই। সেখানে পানি জমে শিক্ষাভবন, ক্যাম্পাসের সড়ক ও খোলা জায়গায় ছড়িয়ে পড়ছে। বিশ^বিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, ভবন নির্মাণের কারণে পানি ধারণ করার মতো ক্যাম্পাসে জলাশয় কিংবা পর্যাপ্ত জায়গা নেই। নিষ্কাশনস্থল থেকেও পানি ফিরে আসছে। বিশ^বিদ্যালয়ের সিভিল এন্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক আজিজুল হক জনকণ্ঠকে বলেন, ‘সময়ে-অসময়ে মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টি, খাল খনন না করা, কেন্দ্রীয় পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা এবং নির্দিষ্ট গন্তব্যস্থল না থাকার কারণে জলাবদ্ধতা তৈরি হচ্ছে।’ এখনি উদ্যোগ গ্রহণ না করলে দীর্ঘমেয়াদি সমস্যার আশঙ্কা করছেন তিনি।
অপরদিকে, সিলেট নগরে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা না কাটলে ক্যাম্পাসে সে সমস্যা থাকবে বলে মনে করছেন শাবি শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি অধ্যাপক চন্দ্রানী নাগ। দীর্ঘদিন জলাবদ্ধতা থাকলে জনজীবনে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়বে বলে জানান বেলার সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়ক শাহ শাহেদা। সার্বিক বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ জনকণ্ঠকে বলেন, ‘জলাবদ্ধতা নিরসনে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া খালগুলো খনন করাসহ আরও উদ্যোগ নিতে বিশ^বিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) কাছে বাজেট চাওয়া হয়েছে।’