ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মেসেঞ্জার গ্রুপে নকল সরবরাহ, পাঁচ পরীক্ষার্থী বহিষ্কার

নিজস্ব সংবাদদাতা, চাঁদপুর 

প্রকাশিত: ২১:১৮, ২৭ মে ২০২৩

মেসেঞ্জার গ্রুপে নকল সরবরাহ, পাঁচ পরীক্ষার্থী বহিষ্কার

মতলব জেবি সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়।

চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলা সদরের জেবি সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের কেন্দ্রে মোবাইল মেসেঞ্জার গ্রুপের মাধ্যমে নকল সরবরাহ ও অসদুপায় অবলম্বন করায় পাঁচ এসএসসি পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

শনিবার (২৭ মে) দুপুরে পরীক্ষার শেষ সময়ে এসে পাঁচ ডিজিটাল নকলবাজ ধরা পড়ে। মোবাইল ম্যাসেঞ্জারে নকল সরবরাহের মাধ্যমে পুরো পরীক্ষা পার করেছেন তারা। শেষ রক্ষা আর হয়নি তাদের। ধরা পড়লো সহকারী কমিশনার (ভুমি) এর তাসনিম আক্তার হাতে। আজ সন্ধ্যায় বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাসনিম আক্তার।

বহিষ্কার হওয়া পাঁচ পরীক্ষার্থী হলেন- ওমর ফারুক, ইব্রাহীম খলিল, ফারদিন ইসলাম, মাহবী হাসান মুহিন। এদের মধ্যে মশিউর রহমান বোয়ালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের, আর বাকি চারজন মতলবগঞ্জ জেবি পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাসনিম আক্তার জানান, পরীক্ষার শুরু থেকে এই পাঁচজন পরীক্ষার্থী ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে পুরো পরীক্ষা নকল করে দিয়ে আসছিল। তাদের পাঁচজনের কাছে স্মার্টফোন থাকতো। আর এই পাঁচজনের মধ্যে একটা গ্রুপ ম্যাসেঞ্জার ছিল। বাইরে থেকে তাদেরকে ওই মোবাইলের ম্যাসেঞ্জারে নকল সরবরাহ করা হতো। চারজনের একটা গ্রুপ বাইরে থেকে তাদেরকে নকল সরবরাহ করতো। তাদেরকেও আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান নির্বাহী মাজিস্ট্রেট।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হলে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার প্রশ্ন দেয়ার পর পরই এই প্রশ্নের ছবি তুলে তারা বাহিরে পাঠিয়ে দিতো। পরে তাদেরকে ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে একটা একটা করে উত্তর সরবরাহ করতো। এভাবেই তারা পুরো পরীক্ষা পার করেছে।

এদিন ছিল পদার্থ বিজ্ঞান বিষয় পরীক্ষা। পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজস্ট্রেট তাসনিম আক্তার গোপন সূত্রে এমন একটি চাঞ্চল্যকর নকলের খবর পান। তিনি দুপুর ১২টার দিকে পরীক্ষার হলে গিয়ে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ১নম্বর কক্ষে গিয়ে পরীক্ষার্থী মাহবী হাসান মুহিনকে চ্যালেঞ্জ করেন। আর তখনই তার কাছ থেকে একটি স্মার্টফোন উদ্ধার করা হয় এবং পুরো নকলের বিষয়টি বের হয়ে আসে।

এসিল্যান্ড যখন তল্লাশি শুরু করলেন তখন এই পাঁচজনের একজন তার সাথে থাকা মোবাইলটি ময়লার ঝুঁড়িতে ফেলে দেয়। সেটি একজন কক্ষ পরিদর্শক উদ্ধার করেন। আর বাকি তিনজনের কাছে তল্লাশি করে মোবাইল সেই পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে তল্লাশির সময় তারা কৌশলে জানালা দিয়ে ফেলে দিয়েছে। এ ঘটনার পর পর তাদেরকে বহিষ্কার করা হয়।

এমএইচ

×