
সংবাদদাতা, বোয়ালমারী, ফরিদপুর ॥ ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বিলুপ্তপ্রায় বন্যপ্রাণী ভুতুম পেঁচা আহত অবস্থায় উদ্ধার করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।
রবিবার (৩১ অক্টোবর) সকালে উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের কানখড়দি বাসস্ট্যান্ড এলাকার কুমার নদীর পাড় থেকে অসুস্থ অবস্থায় ভুতুম পেঁচাটি উদ্ধার করা হয়।
কানখড়দি গ্রামের বাসিন্দা ও ব্যাবসায়ী মোঃ হাসান মিয়া জনকণ্ঠকে বলেন, আমি সকালে ঘুম থেকে উঠে বাড়ির সামনে কুমার নদীর পাড়ে অসুস্থ অবস্থায় ভুতুম পেঁচাটিকে পড়ে থাকতে দেখি। এসময় তার পুরো শরীর ভেজা ছিল। অসুস্থ অবস্থায় ঝিমাতে দেখে পেঁচাটি উদ্ধার করি। এরপর শুকনো কাপড় দিয়ে শরীরটা মুছে দিয়ে, কিছু সময় রৌদ্রে রাখার পরে কানখড়দি বাজারে এনে একটা টোং দোকানে চালের উপর রাখি।
খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিমের নির্দেশে উপজেলা প্রাণী সম্পদ দফতর ও ভ্যাটেনারি হাসপাতালের এলএসএ মোঃ বাশার ও ফুডারগার্ড সবুর মোল্লা পেঁচাটি উদ্ধার করে। এরপর উপজেলা প্রাণী সম্পদ ও ভ্যাটেনারি হাসপাতালে এনে পেঁচাটিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এ ব্যপারে বোয়ালমারী উপজেলার প্রাণী সম্পদ দফতর ও ভ্যাটেনারি হাসপাতালের প্রধান কর্মকর্তা ডাঃ নারায়ণ চন্দ্র সরকার জনকণ্ঠকে বলেন, পেঁচাটিকে আনা হয়েছে। অসুস্থতার কারন নির্ণয় করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ রেজাউল করিম জনকণ্ঠকে বলেন, বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে প্রাণী ও পশু সম্পদ কর্মকর্তাকে পেঁচাটিকে উদ্ধার ও চিকিৎসা দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। তার শারিরীক অবস্থা বিবেচনা করে সুস্থতার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে ফরিদপুর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ কবির হোসেন পাটোয়ারি বলেন, কয়েক বছর আগেও আমাদের দেশে যেভাবে পেঁচা দেখা যেতো এখন আর তেমন দেখা যায় না। দিন দিন আমাদের দেশে পেঁচার সংখ্যা কমে যাচ্ছে। কীট-পতঙ্গ, সাপ, ব্যাঙ পেঁচার খাদ্য। পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে পেঁচার ভূমিকা অতুলনীয়। তিনি আরও জানান, উদ্ধারকৃত ভুতুম পেঁচাটিকে আগে সুস্থ করে তোলা হোক। তারপর আমাদের সহায়তা চাইলে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত দেওয়া যাবে।