ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সর্বোচ্চ বিনিয়োগ টেলিকমিউনিকেশন খাতে;###;বাংলাদেশী কোম্পানিগুলোকে আরও বেশি বিদেশে বিনিয়োগের সুযোগ দিতে চায় সরকার;###;নীতিমালা ঠিক করতে কমিটি গঠন

বিদেশী বিনিয়োগ বাড়ছে ॥ গত বছর এসেছে ১৮ হাজার ৬৬২ কোটি টাকা

প্রকাশিত: ০৫:২৬, ১ মে ২০১৭

বিদেশী বিনিয়োগ বাড়ছে ॥ গত বছর এসেছে ১৮ হাজার ৬৬২ কোটি টাকা

রহিম শেখ ॥ বাড়ছে বিদেশী বিনিয়োগ। ২০১৬ সালে দেশে সরাসরি নিট বিদেশী বিনিয়োগ (এফডিআই) এসেছে ২৩৩ কোটি ২৭ লাখ ডলার, যা বাংলাদেশী মুদ্রায় ১৮ হাজার ৬৬২ কোটি টাকা। ২০১৫ সালে নিট এফডিআই এসেছিল ২২৩ কোটি ৫৩ লাখ ডলার। ফলে গত বছরে নিট এফডিআই বেড়েছে প্রায় ৯ কোটি ৭৩ লাখ ডলার বা ৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্ভে প্রতিবেদনে দেখা গেছে, সর্বোচ্চ বিনিয়োগ এসেছে টেলিকমিউনিকেশন খাতে। আর সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ করেছে সিঙ্গাপুর। এদিকে বাংলাদেশী কোম্পানিগুলোকে আরও বেশি বিদেশে বিনিয়োগের সুযোগ দেয়ার কথা ভাবছে সরকার। এ ক্ষেত্রে নীতিমালা ঠিক করা নিয়ে একটি কমিটি গঠন করেছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। জানা গেছে, বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে বর্তমানে অন্তত ১৭টি খাতে কর অবকাশ সুবিধা পাচ্ছেন বিদেশীরা। তাদের মুনাফা প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রেও বিধি-বিধান শিথিল করা হয়েছে। মুনাফাসহ শতভাগ মূলধন ফেরত নেয়ার পাশাপাশি নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠায় যন্ত্রপাতির অবচয় সুবিধা, শুল্কমুক্ত যন্ত্রাংশ আমদানি এবং রফতানি উন্নয়ন তহবিল থেকে কম সুদে ঋণ নেয়ার সুযোগ পাচ্ছেন বিদেশীরা। পাশাপাশি রয়েছে সস্তা শ্রমের সহজলভ্যতা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসব সুযোগ-সুবিধার জন্যই বিদেশীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগে ঝুঁকছেন। বিশেষ করে তারা টেলিকমিউনিকেশন, টেক্সটাইল, জ্বালানি, গ্যাস ও বিদ্যুত এবং ব্যাংক-বীমায় বেশি বিনিয়োগে আগ্রহী হচ্ছেন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণে বাংলাদেশ এখনও অনেক পিছিয়ে রয়েছে। এ জন্য রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, জমি সঙ্কট, গ্যাস ও বিদ্যুতের অভাব, অবকাঠামো সমস্যা, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, দুর্নীতি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিকে দায়ী করেন তারা। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সার্ভে প্রতিবেদনে শীর্ষে থাকা ২০ দেশের নাম ও সর্বোচ্চ বিনিয়োগ আসা ২০টি খাতের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এতে দেখা যায়, গত বছর দেশে যে পরিমাণ বিদেশী বিনিয়োগ এসেছে, তার অর্ধেকেরও বেশি হয়েছে বহুজাতিক কোম্পানির পুনর্বিনিয়োগ হিসেবে। এর পরিমাণ ১২১ কোটি ৫৩ লাখ ডলার। ২০১৫ সালে এর পরিমাণ ছিল ১১৪ কোটি ৪৭ লাখ ডলার। এ সময় একদম নতুন বিনিয়োগ এসেছে (ইক্যুইটি মূলধন) ৯১ কোটি ১৩ লাখ ডলার। ২০১৫ সালে এর পরিমাণ ছিল ৬৯ কোটি ৬৬ লাখ ডলার। এছাড়া গত বছর আন্তঃকোম্পানি ঋণ হিসেবে বিদেশী বিনিয়োগ এসেছে ২০ কোটি ৫৯ লাখ ডলার। ২০১৫ সালে এর পরিমাণ ছিল ৩৯ কোটি ৩৯ লাখ ডলার। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৬ সালেও রফতানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চলের (ইপিজেড) চেয়ে অ-রফতানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চলে বেশি বিদেশী বিনিয়োগ এসেছে। এ সময় ইপিজেড এলাকায় বিনিয়োগ এসেছে ৪১ কোটি ৬৭ লাখ ডলার। ২০১৫ সালে যার পরিমাণ ছিল ৪০ কোটি ৬৬ লাখ ডলার। অন্যদিকে ২০১৬ সালে নন-ইপিজেড এলাকায় বিদেশী বিনিয়োগ এসেছে ১৯১ কোটি ৫৯ লাখ ডলার। ২০১৪ সালে যার পরিমাণ ছিল ১৮২ কোটি ৮৭ লাখ ডলার। প্রতিবেদনে আরও দেখা যায়, গত বছর সবচেয়ে বেশি বিদেশী বিনিয়োগ এসেছে টেলিকমিউনিকেশন খাতে। এর পরিমাণ ছিল ৫৭ কোটি ২৭ লাখ ডলার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৬ কোটি ৪৪ লাখ ডলার এসেছে টেক্সটাইল খাতে। তৃতীয় সর্বোচ্চ ২৬ কোটি ৭৯ লাখ ডলার এসেছে বিদ্যুত খাতে। এছাড়া গ্যাস ও জ্বালানি খাতে ১৬ কোটি ৬৩ লাখ, ব্যাংকিং খাতে ১৬ কোটি ৬০ লাখ, ট্রেডিং খাতে ৮ কোটি ৮৩ লাখ, খাদ্য খাতে ৮ কোটি ৬৫ লাখ, সিমেন্ট খাতে ৪ কোটি ৩৯ লাখ, কেমিক্যাল ও ওষুধ খাতে ৪ কোটি ৩৭ লাখ, কৃষি ও মৎস্য খাতে ৪ কোটি ৩১ লাখ, বীমা খাতে ২ কোটি ৬২ লাখ, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য খাতে ২ কোটি ৫২ লাখ, তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে ২ কোটি ২০ লাখ, নির্মাণ খাতে ৫৫ লাখ, সার খাতে ৫৩ লাখ এবং অন্যান্য খাতে ৪০ কোটি ৫০ লাখ ডলারের বিদেশী বিনিয়োগ এসেছে। অন্যদিকে গত বছর সর্বোচ্চ বিদেশী বিনিয়োগ এসেছে সিঙ্গাপুর থেকে। এর পরিমাণ ৬৩ কোটি ৩০ লাখ ডলার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৩ কোটি ডলার এসেছে যুক্তরাজ্য থেকে। আর তৃতীয় সর্বোচ্চ ২১ কোটি ৭৭ লাখ ডলার এসেছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। এছাড়া নরওয়ে থেকে ১৬ কোটি, দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ১৫ কোটি ১৩ লাখ, হংকং থেকে ৯ কোটি ৮৪ লাখ, নেদারল্যান্ডস থেকে ৮ কোটি ৮৮ লাখ, ভারত থেকে ৭ কোটি ৯২ লাখ, চীন থেকে ৬ কোটি ১৪ লাখ, জাপান থেকে ৪ কোটি ৮২ লাখ, তাইওয়ান থেকে ৪ কোটি ৫৮ লাখ, মালটা থেকে ৪ কোটি ৪৭ লাখ, ব্রিটিশ ভার্জিন দীপপুঞ্জ থেকে ৪ কোটি ১৯ লাখ, মালয়েশিয়া থেকে ৩ কোটি ৮৬ লাখ, থাইল্যান্ড থেকে ৩ কোটি ৫১ লাখ, মরিশাস থেকে ৩ কোটি ২৩ লাখ, সুইজারল্যান্ড থেকে ২ কোটি ৬৩ লাখ, জার্মানি থেকে ২ কোটি ১৮ লাখ, সৌদি আরব থেকে ১ কোটি ৮২ লাখ, ফ্রান্স থেকে ১ কোটি ৩৭ লাখ এবং অন্যান্য দেশ থেকে ১০ কোটি ৫০ লাখ ডলারের বিদেশী বিনিয়োগ এসেছে। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জা আজিজুল ইসলাম জনকণ্ঠকে বলেন, বিদেশী বিনিয়োগ বেড়েছেÑএটি দেশের জন্য ভাল খবর। তবে এতে অতি উৎসাহী হওয়ার কিছু নেই। ছোট একটি দেশের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, কম্বোডিয়ার মতো দেশে বছরে ৭০০ থেকে ৮০০ কোটি ডলারের বিদেশী বিনিয়োগ আসে, সেখানে বাংলাদেশে আসছে ১৫০ থেকে ২০০ কোটি ডলার। তাছাড়া বিদেশী বিনিয়োগ ইয়ার টু ইয়ার একটু বেশি ভেরিয়েশন হয়। এ জন্য আগামীতে কী হয়, সেটিই দেখার বিষয়। তিনি মনে করেন বিদ্যমান অবকাঠামো সমস্যার সমাধান, দুনীতি রোধ ও জমির সহজপ্রাপ্যতা নিশ্চিত করা গেলে আগামীতে বিদেশী বিনিয়োগ বাড়বে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গবর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশের বিনিয়োগ পরিবেশের খুব উন্নতি হয়েছে তা নয়। তারপরও বিদেশী বিনিয়োগ বেড়েছে, যা দেশের জন্য ইতিবাচক। তিনি আরও বলেন, বিদেশী বিনিয়োগ বাড়লে দেশী বিনিয়োগও বাড়ার কথা। কিন্তু দেশী বিনিয়োগে সে রকম গতি আসছে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০১১ সালে দেশে বিদেশী বিনিয়োগ প্রথমবার ১০০ কোটি ডলার অতিক্রম করে। ওই বছর এর পরিমাণ ১১৩ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যায়। পরের ৩ বছরও প্রবৃদ্ধি বজায় থাকলেও তা শত কোটি ডলারের ঘরেই আটকে ছিল। এরপরের বছর ২০১৪ সালে এফডিআই প্রায় ৪ শতাংশ কমে যায়। তবে ২০১৫ সালে রেকর্ড পরিমাণ বাড়ে এবং প্রথমবার ২০০ কোটি ডলারের ঘর অতিক্রম করে। ২০১৫ সালে নিট বিদেশী বিনিয়োগ আসে প্রায় ২২৪ কোটি ডলার, যা ২০১৪ সালের চেয়ে ৪৪ শতাংশ বেশি। ২০১৬ সালেও এফডিআই প্রবৃদ্ধির হার ইতিবাচক ধারায় ছিল। এদিকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিদেশী বিনিয়োগ (এফডিআই) পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবছর প্রতিবেদন প্রকাশ করে জাতিসংঘের সহযোগী সংস্থা ইউনাইটেড নেশনস কনফারেন্স অন ট্রেড এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আঙ্কটাড)। সর্বশেষ গত বছরের ২২ জুন ‘ওয়ার্ল্ড ইনভেস্টমেন্ট রিপোর্ট ২০১৫’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, ২০১৪ সালের চেয়ে ২০১৫ সালে বাংলাদেশের নিট এফডিআই বেড়েছিল প্রায় ৪৪ শতাংশ। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ পরিমাণ বিদেশী বিনিয়োগ নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। এবারও চলতি বছরের জুনে ‘ওয়ার্ল্ড ইনভেস্টমেন্ট রিপোর্ট ২০১৬’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হতে পারে। ওই প্রতিবেদনে বাংলাদেশের বিদেশী বিনিয়োগ আগের বছরের চেয়ে বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। এদিকে বাংলাদেশী কোম্পানিগুলোকে বিদেশে বিনিয়োগের সুযোগ দেয়ার কথা ভাবছে সরকার। এ ক্ষেত্রে নীতিমালা ঠিক করা নিয়ে একটি কমিটি গঠন করেছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। বর্তমানে বাংলাদেশী কোম্পানির বিদেশে বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক রক্ষণশীল। আর এ বিষয়ে সরকারকে উদার করার পক্ষে বড় ভূমিকা পালন করছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গত ১৪ মার্চ বিদেশে বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠানসমূহের বিনিয়োগ নীতিমালা প্রণয়ন বিষয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় বিডার নির্বাহী সদস্য অজিত কুমার পালকে সমন্বয়ক করে একটি কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটিকে ‘বিদেশে বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠানসমূহের বিনিয়োগ নীতিমালা’র বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে প্রয়োজনীয়তা নিরূপণ করতে এক মাস সময় দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিডার চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল ইসলাম জনকণ্ঠকে বলেন, বাংলাদেশে বিশ্বমানের কিছু উদ্যোক্তা সৃষ্টি হয়েছে। এটা বিদ্যুতের ক্ষেত্রে হয়েছে, ওষুধের ক্ষেত্রে হয়েছে এবং নিঃসন্দেহে তৈরি পোশাকের ক্ষেত্রে হয়েছে। উদ্যোক্তাদের নতুন প্রজন্ম অনেক সক্ষম ও প্রতিভাবান। তাদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের বাইরে নিয়ে যাওয়া যায়। তিনি বলেন, ভারত ও অন্যান্য দেশ এ সুযোগ নিচ্ছে। আমরাও বিষয়টাকে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে দেখতে পারি। সরকার যেভাবে সিদ্ধান্ত নেয়, সেই সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে সম্ভাবনাটাকে কাজে লাগাতে পারি। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেখা গেছে, ২০১৩ সালের পর এখন পর্যন্ত রফতানি প্রত্যাবাসন কোটা (ইআরকিউ) থেকে সাত প্রতিষ্ঠানকে বিদেশে বিনিয়োগের সুযোগ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তার মধ্যে তৈরি পোশাক খাতের ডিবিএল গ্রুপ ইথিওপিয়ায় একটি পোশাক কারখানা নির্মাণ শুরু করেছে। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে তারা সেই কারখানায় উৎপাদন শুরু করতে চায়। ডিবিএলকে বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যায়ক্রমে ৯৫ লাখ ডলার সেখানে নেয়ার অনুমোদন দিয়েছে। এ ছাড়া মবিল যমুনা মিয়ানমারে একটি প্রতিষ্ঠানে ৫ লাখ ১০ হাজার ডলার বিনিয়োগের অনুমতি পেয়েছে। এসিআই হেলথকেয়ার যুক্তরাষ্ট্রে ৪ লাখ ৪৭ হাজার ডলার ও স্কয়ার ফার্মা ৫০ লাখ ডলার নেয়ার অনুমতি পেয়েছে। ২০১৪ সালে এস্তোনিয়ায় বিনিয়োগের অনুমতি পায় ইনসেপ ফার্মাসিউটিক্যালস। যুক্তরাজ্যেও ১০ হাজার ব্রিটিশ পাউন্ড বিনিয়োগে একটি নিজস্ব সাবসিডিয়ারি খুলেছে কোম্পানিটি। আফ্রিকার দেশ কেনিয়ায় ইস্পাত কারখানা খোলার অনুমতি পেয়েছে বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম স্টিল। প্রতিষ্ঠানটিকে শর্ত সাপেক্ষে রফতানি প্রত্যাবাসন কোটা (ইআরকিউ) থেকে ৪৬ লাখ ৭০ হাজার ডলার কেনিয়ায় বিনিয়োগের অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। স্পেকট্রাম ইঞ্জিনিয়ারিং পেয়েছে সিঙ্গাপুরে বিনিয়োগের অনুমতি। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, আকিজ জুট মিলস মালয়েশিয়ায় দুটি কোম্পানি অধিগ্রহণ করার জন্য ২ কোটি ডলার বিদেশে নিতে চায়। হা-মীম গ্রুপ হাইতিতে পোশাক কারখানা করতে ১ কোটি ডলার নিতে চায়। নিটল-নিলয় গ্রপ গাম্বিয়ায় ব্যাংক স্থাপনের জন্য ৭০ লাখ ডলার বিনিয়োগ করতে চায়। বাংলাদেশ ব্যাংকে আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বিদেশে বিনিয়োগের আবেদন করেছে, যা এখনও নিষ্পত্তি হয়নি। এর মধ্যে সিঙ্গাপুরে শিপইয়ার্ড কারখানা স্থাপনের অনুমোদন চেয়ে সামিট গ্রুপের একটি আবেদন রয়েছে। কম্বোডিয়ায় জমি কিনে শিল্প স্থাপনের অনুমোদন চেয়েছে মেঘনা গ্রুপ। এ ছাড়া ভারতে কোম্পানি খোলার জন্য প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে আবেদন করা হয়েছিল। বিদেশে আখ নির্ভর চিনিকল স্থাপনের জন্য দেশবন্ধু গ্রপ অর্থ নেয়ার অনুমতি চেয়েছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী, একজন রফতানিকারক ব্যবসা বাড়াতে অন্য দেশে লিয়াজোঁ বা সহযোগী অফিস খোলা ও ব্যয় নির্বাহের জন্য বছরে ৩০ হাজার ডলার পর্যন্ত নিতে পারেন।
×