ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

সম্পাদক সমীপে

প্রকাশিত: ০৪:১৯, ৬ অক্টোবর ২০১৫

সম্পাদক সমীপে

ধন্যবাদ জাফর ইকবাল গত ২২ সেপ্টেম্বর জনকণ্ঠ পত্রিকাটি খুলেই ‘চতুরঙ্গ’ পাতায় মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের ‘মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা একটি দীর্ঘশ্বাস’ লেখাটি চোখে পড়ল। লেখাটি পড়ে মনে হয়েছে- তিনি কী করে আমাদের মনের কথাগুলো হুবহু লিখেছেন। আমাদের পরিবারের অবস্থা ঠিক স্যারের লেখার মতোই হয়েছে। তাই বলতে হয়, যে কষ্ট আমরা পাচ্ছি সে কষ্ট যেন অন্যরা না পান। প্রথমেই শ্রদ্ধেয় মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যারকে জানাই ধন্যবাদ। তিনি যেন এমনভাবেই মানুষের কষ্টগুলো দূর থেকে বুঝে নিয়ে সকলের মঙ্গলের জন্য লিখতে পারেন। আমি স্যারের সঙ্গে একমত হয়ে সরকারের কাছে অনুরোধ করছি সত্যটা তদন্ত করে দেখুন। যদি সত্যই প্রশ্ন ফাঁস হয়ে থাকে তাহলে দুর্বৃত্তদের ধরুন এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিন। পরীক্ষা বাতিল করে আবার পরীক্ষার ব্যবস্থা নিন। নয়ন নাটোর, রাজশাহী খ-কালীন চাকরি কিছুদিন আগে টিভি চ্যানেলে দেখলাম অর্থমন্ত্রী সরকারী কর্মচারীদের পে-স্কেল ও বাজেট সম্পর্কে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবের একপর্যায়ে বলেছিলেন অবসরপ্রাপ্ত কর্মক্ষম সরকারী কর্মচারীদের অভাব-অনটন দূর করার জন্য সম্মানজনক কিছু করার চিন্তা-ভাবনা করছেন। অর্থমন্ত্রীর মুখে ওই সংবাদটি শোনার পর আশান্বিত হয়েছিলাম। আমি একজন অসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মচারী। ৫৭ বছর বয়সপূর্তি সাপেক্ষে আমাকে অবসর গ্রহণ করতে হয়। ইতোপূর্বে সরকারী চাকরিবিধিতে খচজ (অবসর প্রস্তুতি ছুটি) ছিল। ওই খচজ-এ থাকা অবস্থায় সকল সরকারী সুবিধা কর্মচারীরা পেয়ে থাকতেন। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে খচজ-কে চজখ (অবসরোত্তর ছুটি) রূপান্তরিত করার ফলে কোন সরকারী সুবিধা কর্মচারীরা পাচ্ছেন না। যার ফলে আমি চজখ থাকায় ওই দুই বছরে চাকরি করার সুবিধা পাইনি। আমার মতো আরও আছেন কেউ তারা পাননি। বর্তমানে সামান্য পেনশনের টাকায় থাকা, খাওয়া ও সন্তানের পড়াশোনার খরচ চালানো কষ্টকর। আমাদের মতো বয়স্ক লোকদের কোন বেসরকারী প্রতিষ্ঠান চাকরি দিতে চায় না। আর বেসরকারী প্রতিষ্ঠান যে পরিশ্রম করায় তাতে এ বয়সে সেটার ধকল সহ্য করা সম্ভব নয়। অর্থমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ, তিনি যেন অনুগ্রহ করে এ অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের দিকে সুনজর প্রদান করেন। আতাউর রহমান খান খিলক্ষেত, ঢাকা অফিস সহকারীর গুরুত্ব বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারের ঘোষিত জাতীয় বেতন স্কেল বাস্তবায়িত হতে চলছে। এজন্য লাখ লাখ শিক্ষক-কর্মচারীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী ও সরকারকে জানাই ধন্যবাদ। নিন্দুকের মুখে চুনকালি পড়ুক যারা সমালোচনা করে বলত যে কিছুই দেবে না। শিক্ষক-কর্মচারীদের বেসরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অফিস সহকারী পদ খুবই গুরুত্বপূণ। এক কথায় বলা চলে বিদ্যালয়ের প্রাণ। সকাল ৮-৯টায় অফিসে এসে তাকে অবিরাম কাজ করতে হয়। অফিসের পাশাপাশি শিক্ষক স্বল্পতার কারণে নিয়মিত ক্লাস নিতে হয়। এছাড়া গ্রীষ্মের বন্ধ রমজানের ছুটি ও অন্যান্য ছুটির সময়ও কাজ করতে হয় কিন্তু দুঃখ হলেও সত্য অফিস সহকারীর বেতন ওই বিদ্যালয় দফতরি-আয়া ঝাড়ুদারের চেয়ে সামান্য বেশি। যেখানে সহকারী শিক্ষক বিএ বিএড পাস করে পান ১৬ হাজার টাকা সেখানে আইএ পাস সঙ্গে কম্পিউটারে পারদর্শী স্কেল রাখা হয়েছে- নাম লিখে বেতন তুলতে পারে তাদের কাছাকাছি। তা হলে কি ধরে নেব এইচএসসি পাসের কোন মূল্য এদেশে নেই। যদি ৮ম শ্রেণীর বেতন স্কেলের কাছাকাছি হয়, তবে অফিস সহকারী তো ৯ম-দশম শ্রেণী হলেই চলবে। তাই মাননীয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন থাকবে একজন অফিস সহকারীর কাজের গুরুত্ব চিন্তা করে তাদের বিশেষ ভাতা ও স্কেল দিয়ে সমাজে সম্মান নিয়ে বেঁচে থাকার সুব্যবস্থা করবেন। মোঃ শাহজাহান তালুকদার টাঙ্গাইল
×