ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার খালেদা জিয়ার সঙ্গেও বৈঠক করা উচিত ছিল: এ্যানী

ফরহাদ হোসেন, লক্ষ্মীপুর

প্রকাশিত: ১৬:২৬, ২৫ জুন ২০২৫

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার খালেদা জিয়ার সঙ্গেও বৈঠক করা উচিত ছিল: এ্যানী

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও লক্ষ্মীপুর জেলা আহ্বায়ক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত ছিল দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করা। দশ মাস পেরিয়ে গেলেও তারা তা করেনি। শুধু সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে কিছু কথা হয়েছিল। অথচ আমাদের প্রত্যাশা ছিল, রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে সরাসরি তার সঙ্গে আলোচনা হোক—আগামী দিনের দেশ পরিচালনা, শেখ হাসিনার বিচার, রাষ্ট্রীয় সংস্কার এবং জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কথা হোক। যদিও তা হয়নি, তবে আমরা আশাবাদী, আগামী দিনে অন্তর্বর্তী সরকার সে দায়িত্ব পালন করবে।

বুধবার (২৫ জুন) দুপুরে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার চরশাহী ইউনিয়ন বিএনপির প্রতিনিধি নির্বাচনী কার্যক্রম পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

এ্যানী চৌধুরী আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস একজন সজ্জন ব্যক্তি। সম্প্রতি তিনি লন্ডনে গিয়েছিলেন এবং সেখানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ওই বৈঠকে নির্বাচন, সংস্কারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এতে শুধু বিএনপি নয়, সারাদেশের জনগণও আশান্বিত হয়েছে। তারেক রহমানের সঙ্গে বিদেশে বসে আলোচনা হয়েছে—এটা কোনো অপরাধ নয়, বরং আরও আগে হওয়া উচিত ছিল। কারণ, বিএনপি একটি বড় দল, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের দল, আপসহীন নেত্রী খালেদা জিয়ার দল। সেই দলের শীর্ষ নেতার সঙ্গে কথা বলা স্বাভাবিকই।

তিনি বলেন, কিছু লোক লন্ডনের ওই বৈঠক মেনে নিতে পারছে না। প্রশ্ন তুলছে, কেন বিদেশে তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। আমি বলবো, এটা বলা তাদের ঠিক হয়নি। আমাদের সবাই মিলে ফ্যাসিবাদের পতনের জন্য আন্দোলন করেছি, জেল খেটেছি, ত্যাগ স্বীকার করেছি—তারই ধারাবাহিকতায় লন্ডনের বৈঠক হয়েছে দেশের কল্যাণে।

আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে এ্যানী চৌধুরী বলেন, স্বাধীনতার পর রক্ষীবাহিনী দিয়ে মানুষকে দমন করেছে আওয়ামী লীগ। দুর্নীতি, দুঃশাসন আর দুর্ভিক্ষ ছিল তাদের শাসনামলে। গত ১৭ বছরেও তারা সেই পথেই হাঁটছে—লুটপাট, নির্যাতন, বিরোধী মত দমন অব্যাহত রেখেছে। সাধারণ মানুষের কল্যাণে তারা কখনো রাজনীতি করেনি। বরং ক্ষমতা ধরে রাখতে সবসময় জুলুম করেছে। এরা খুন-সন্ত্রাসের রাজনীতির ধারক। এজন্যই জুলাইয়ের আন্দোলনে মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়েছে, তাদের বিতাড়ন করেছে। এখন শুধু শেখ হাসিনাদের বিচারের অপেক্ষায় রয়েছে জনগণ।

চরশাহী ইউনিয়ন বিএনপির প্রতিনিধি নির্বাচন পরিদর্শনে আরও উপস্থিত ছিলেন—বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ও বিএনপি নেতা ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপী, জেলা বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান, চন্দ্রগঞ্জ থানা বিএনপির আহ্বায়ক বেল্লাল হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম সরওয়ার, সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন, জেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল, ছাত্রদল নেতা দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়া বাবু, মো. খালেদসহ আরও অনেকে।

সানজানা

×