সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক রাজনীতির উত্তাল সময়ে ইরান বারবারই আলোচনার কেন্দ্রে উঠে আসে। পশ্চিমা বিশ্বের কঠোর নিষেধাজ্ঞা ও কূটনৈতিক চাপের মুখেও বেশ কিছু শক্তিধর দেশ ইরানকে সরাসরি বা কৌশলগতভাবে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। এতে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি যেমন পাল্টে যাচ্ছে, তেমনি তৈরি হচ্ছে নতুন বিশ্ব মেরূকরণ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ইরানকে সমর্থন করে এমন দেশের সংখ্যা কম নয়। কেউ সরাসরি পাশে আছে, আবার কেউ কৌশলগত কারণে ইরানকে সমর্থন জানিয়ে আসছে।
রাশিয়া ও চীন দীর্ঘদিন ধরেই ইরানের ঘনিষ্ঠ মিত্র। রাশিয়া সিরিয়ায় ইরানের সঙ্গে একসাথে সামরিক অভিযান চালিয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার হাতে ইরানের তৈরি ড্রোন পৌঁছেছে বলে পশ্চিমাদের অভিযোগ রয়েছে। অন্যদিকে, চীন ২৫ বছরের কৌশলগত অর্থনৈতিক চুক্তির মাধ্যমে ইরানে বিপুল বিনিয়োগ করছে।
সিরিয়া, লেবানন ও ইরাকেও রয়েছে ইরানের দৃঢ় প্রভাব। বাশার আল-আসাদ সরকারের প্রতি ইরান সবসময়ই শক্ত অবস্থানে ছিল। লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠী ইরানের অর্থ ও অস্ত্রে পরিচালিত হয়। ইরাকের শিয়া মিলিশিয়ারা সরাসরি ইরানের সমর্থনে সক্রিয়।
এছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারও কিছু ইস্যুতে ইরানের ঘনিষ্ঠ ভূমিকা রাখছে। ধর্মীয়ভাবে শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ গোষ্ঠী যেমন ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা বা বাহরাইনের শিয়া আন্দোলনকারীরাও ইরানের আদর্শকে অনুসরণ করে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরানকে কেন্দ্র করে যে মেরূকরণ তৈরি হয়েছে, তা শুধু মধ্যপ্রাচ্যে নয়, গোটা বিশ্ব রাজনীতিতেই বড় ধরনের প্রভাব ফেলছে।
বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সঙ্গে ইরানের এই সম্পর্ক ভবিষ্যতের অনেক কূটনৈতিক সমীকরণ বদলে দিতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
চোখ রাখুন বিশ্ব রাজনীতির পাল্টে যাওয়া চিত্রে—ইরান এখন আর একা নেই।
হ্যাপী
