ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৬ জুন ২০২৫, ১৩ আষাঢ় ১৪৩২

ভিয়েতনাম থেকে চীনা প্রযুক্তি ছেঁটে ফেলতে চায় যুক্তরাষ্ট্র – শুরু হয়েছে নতুন ঠান্ডা যুদ্ধ

প্রকাশিত: ২১:২৫, ২৫ জুন ২০২৫; আপডেট: ২১:২৭, ২৫ জুন ২০২৫

ভিয়েতনাম থেকে চীনা প্রযুক্তি ছেঁটে ফেলতে চায় যুক্তরাষ্ট্র – শুরু হয়েছে নতুন ঠান্ডা যুদ্ধ

চীনা প্রযুক্তির ওপর নতুন করে কড়াকড়ি আরোপ করেছে তাইওয়ান ও যুক্তরাষ্ট্র। তাইওয়ান সরকার চীনের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি কোম্পানি হুয়াওয়ে এবং সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্টারন্যাশনাল কর্পোরেশন (SMIC)-কে তাদের রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ তালিকায় যুক্ত করেছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য প্রশাসনের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, অস্ত্র বিস্তার রোধ এবং জাতীয় নিরাপত্তার দৃষ্টিকোণ থেকে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার অর্থ, এখন থেকে তাইওয়ানের কোম্পানিগুলোকে SMIC বা হুয়াওয়ের মতো প্রতিষ্ঠানে উচ্চ প্রযুক্তিপণ্য রপ্তানির আগে সরকারের অনুমতি নিতে হবে। গত ১০ জুন আপডেট করা এই তালিকায় রাশিয়া, পাকিস্তান, ইরান, মায়ানমার এবং চীনের আরও ৬০০-এর বেশি প্রতিষ্ঠান যুক্ত হয়েছে।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় চিপ প্রস্তুতকারক টিএসএমসি তাইওয়ানে অবস্থিত, যারা NVIDIA-র মতো কোম্পানিকে এআই চিপ সরবরাহ করে থাকে। অন্যদিকে হুয়াওয়ে ও SMIC বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চিপ তৈরির প্রতিযোগিতায় সামনের সারিতে।

এদিকে, চীনা প্রযুক্তি থেকে বিশ্ববাজারকে আলাদা করতে ভিয়েতনামের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে যুক্তরাষ্ট্র। বিশেষ করে অ্যাপল, স্যামসাং, মেটা ও গুগলের মতো মার্কিন সহযোগী সংস্থাগুলোকে এখন চাপ দেওয়া হচ্ছে যেন তারা চীনা উপাদানের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে আনে। এইসব সংস্থা ভিয়েতনামে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হেডসেট, স্মার্টফোনসহ নানান প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদন করে থাকে।

ভিয়েতনাম এখন নিজস্ব উৎপাদনের অংশীদার খুঁজছে এবং স্থানীয় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বৈঠক করছে। তবে বিশ্লেষকদের মতে, এটি বাস্তবায়নে সময়, প্রযুক্তি এবং অর্থনৈতিক কাঠামোর উন্নয়ন প্রয়োজন। পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে ট্রাম্প প্রশাসনের ৪৬ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের হুমকি, যা ভিয়েতনামের মার্কিন রপ্তানি প্রবেশাধিকার ব্যাহত করতে পারে।

২০২৪ সালে চীন ভিয়েতনামে প্রায় ৪৪ বিলিয়ন ডলারের প্রযুক্তিপণ্য রপ্তানি করেছে, যা দেশটির মোট রপ্তানির প্রায় ৩০ শতাংশ। অপরদিকে, ভিয়েতনাম একই বছর ৩৩ বিলিয়ন ডলারের পণ্য পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। এই চেইন রিঅ্যাকশন এশিয়ার প্রযুক্তি সরবরাহ ব্যবস্থাকে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

 

রাজু

×