
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুল হক চৌধুরী বলেছেন, “কুমিল্লা শহরে সামান্য বৃষ্টি হলেই দক্ষিণাঞ্চল জলাবদ্ধতায় তলিয়ে যায়। এর মূল কারণ হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে ড্রেনেজ ব্যবস্থার অকার্যকরতা ও নানা অব্যবস্থাপনা। অতীতে যারা দায়িত্বে ছিলেন, তারা কোনো স্থায়ী সমাধান দিতে পারেননি।”
শনিবার (২১ জুন) দুপুরে কুমিল্লার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোডের একটি হোটেলে ‘কুমিল্লা বাঁচাও মঞ্চ দক্ষিণ’ আয়োজিত পরিচিতি ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, “কুমিল্লা ইপিজেড থেকে নির্গত অপরিশোধিত রাসায়নিক বর্জ্য সরাসরি সিটি করপোরেশনের খালে পড়ছে। এটি বন্ধ করতে হবে। ইতোমধ্যে এ কারণে ক্ষতিগ্রস্ত সদর দক্ষিণ উপজেলার ৫৫টি গ্রামের প্রায় ৩ হাজার পরিবার উচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ক্ষতিপূরণের অধিকারী হলেও এখনো তারা তা পায়নি। আমি দাবি জানাই, দ্রুত এই ক্ষতিপূরণ প্রদানে পদক্ষেপ নিতে হবে।”
সভায় সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা বাঁচাও মঞ্চ দক্ষিণের সভাপতি ইউসুফ আলী মীর পিন্টু এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল হালিম মজুমদার।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা বাঁচাও মঞ্চ কেন্দ্রীয় সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম ফারুক, সহ-সভাপতি আলী ফারুক, সদর দক্ষিণ ঐক্য সংহতি পরিষদের সভাপতি ইসমাইল মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুল মোতালেব মজুমদার ও কুমিল্লা মহানগর সদস্য সচিব নাসির উদ্দিন প্রমুখ।
সভা শেষে কুমিল্লা বাঁচাও মঞ্চ দক্ষিণের ১০১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে ইউসুফ আলী মীর পিন্টুকে সভাপতি ও মো. আবদুল হালিম মজুমদারকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।
অনুষ্ঠানে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ ও মহানগর দক্ষিণ বিএনপি এবং এর অঙ্গ সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
নুসরাত