
ছবিঃ সংগৃহীত
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সাম্প্রতিক বক্তব্য নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন রাশেক রহমান। দীর্ঘ নয় মাস পর প্রকাশ্যে বক্তব্য দিয়ে কাদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে আসলেও, তার বক্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে সমালোচনা ও বিতর্ক। এই পরিস্থিতিতেই রাশেক রহমান এক লাইভ অনুষ্ঠানে কাদেরের বক্তব্যকে ‘বেহুদা ও হতাশাজনক’ বলে আখ্যায়িত করেন।
রাশেক বলেন, “নয় মাস পর কথা বললেন, অথচ দেশের সাধারণ মানুষ, তৃণমূল নেতাকর্মীদের কণ্ঠস্বর তার মুখে শুনতে পেল না। এ বক্তব্যে জাতির কোনো কল্যাণ হয়নি, বরং বিভ্রান্তি ও বিদ্রূপের জন্ম দিয়েছে।”
‘ওলি-পীরের’ সঙ্গে তুলনা, ‘বাথরুম’ থেকে বেরিয়ে ভারত যাত্রার ইঙ্গিত
তিনি আরও বলেন, “তিনি নিজেকে যেন একজন অলির পর্যায়ে নিয়ে গেছেন, যাকে সাধারণ মানদণ্ডে বিচার করা যায় না। এই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমন সময় বাথরুমে লুকিয়ে ছিলেন—এমন গল্প আজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরছে। এরপর তাকে ‘সম্মানের সাথে’ ভারতের ট্যাক্সিতে তোলা হয়েছে—এটা শুনেই মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে।”
রাশেক রহমান প্রশ্ন তোলেন, “এমন সংকটকালে যখন দেশের বহু নেতা-কর্মী নির্যাতিত, নিপীড়িত হচ্ছেন, তখন একজন অভিজ্ঞ নেতা কীভাবে এমন কথা বলতে পারেন?”
রাশেক রহমান কাদেরের সাক্ষাৎকার গ্রহণকারী সাংবাদিককেও দোষারোপ করেন। তিনি বলেন, “সাংবাদিক ভাইকে আমি বলেছি, আপনি ইন্টারভিউটা একটু ভিন্নভাবে নিতে পারতেন। আমাদের দলের অনেক কর্মীর হৃদয়ে আঘাত লেগেছে।”
তিনি মনে করিয়ে দেন, “এই আওয়ামী লীগ নেতাকে এক সময় হাজারো কর্মী ভালোবাসতেন, অথচ আজ তাকে নিজের স্ত্রীর সঙ্গে বাথরুমে লুকাতে হয়! এটা যদি সত্যি হয়, তাও প্রকাশ্যে বলা কতটা যুক্তিসঙ্গত?”
তিনি আরও বলেন, “মানুষ এখন ভাবছে—এই মুহূর্তে কি শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই তিনি দিল্লি গিয়েছেন, না কি তাকে ‘উদ্ধার’ করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে? দেশের ইতিহাস, বঙ্গবন্ধুর নাম ও আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য এই ধরনের কল্পকাহিনির মাধ্যমে বিকৃত করা হচ্ছে।”
‘আওয়ামী লীগের সংগ্রামকে প্রহসনে পরিণত করা হচ্ছে’
তিনি মন্তব্য করেন, “আওয়ামী লীগের আসল সংগ্রাম, আত্মত্যাগ এখন যেন একটি বিনোদনের উৎসে পরিণত হয়েছে। কাদের সাহেবের এই বক্তব্য আগামী ১০০০ বছর ধরে ইন্টারনেটে থেকে যাবে। কেউ এ নিয়ে এআই দিয়ে ভিডিও তৈরি করছে, কেউ ব্যঙ্গ করছে। এটা দুঃখজনক ও অনভিপ্রেত।”
আলোচনার একপর্যায়ে রাশেক রহমান বলেন, “আল্লাহ যেন আওয়ামী লীগকে রক্ষা করেন, নেত্রীকে রক্ষা করেন, বাংলাদেশকে রক্ষা করেন। তবে সত্য বলার জায়গাটা যেন আমাদের থাকে। আর দলীয় সংকটকে যেন কেউ ব্যক্তিগত নাটকে পরিণত না করেন।”
আলীম