
ছবিঃ সংগৃহীত
আওয়ামী লীগের প্রশ্ন অমীমাংসিত রেখে বাংলাদেশে সামনে কোনো নির্বাচন হবে না—এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন।
আজ শুক্রবার (০২ মে) রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেট থেকে আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত, রেজিস্ট্রেশন বাতিল এবং বিচারিক প্রক্রিয়া চলাকালীন তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আখতার হোসেন বলেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলতে চাই—আপনারা অতীতের মতো কোনো সুশীল তত্ত্বাবধায়ক সরকার নন, আপনারা গণঅভ্যুত্থানের সরকার। গণঅভ্যুত্থানের ম্যান্ডেট নিয়ে যারা উপদেষ্টা হয়েছেন, তাদের কাছে প্রশ্ন—আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে গণহত্যা চালিয়েছে, সেই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধা কোথায়? আজ সাধারণ জনগণের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে সবকিছু। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, ৫ই আগস্ট বাংলাদেশের জনগণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে—‘আওয়ামী লীগ’, ‘নৌকা মার্কা’ বা ‘মুজিববাদী আদর্শ’ নামক কোনো রাজনৈতিক সত্তা এ দেশে চলবে না।”
তিনি আরও বলেন, “আওয়ামী লীগের দোসর জাতীয় পার্টি—যারা ৯০-এর স্বৈরাচার প্রতিষ্ঠা করেছিল—তারা এখন আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে স্বৈরাচারের দোসর রাজনীতি হিসেবে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে। তাদের হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, শুধু আওয়ামী লীগ নয়, আওয়ামী লীগের প্রত্যেক দোসর—তারা রাজনৈতিক দল হতে পারে, সুশীল সমাজের কেউ হতে পারে, সাংবাদিক হতে পারে কিংবা বিচারপতিও—যারা আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে ন্যূনতম স্পেস দেওয়ার চেষ্টা করবে, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা দুর্গ গড়ে তুলবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের প্রত্যেক শরিককে জানাতে চাই—আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধের প্রশ্নে এই দায় শুধু জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-র নয়; এই দায় বিএনপির, জামায়াতের, ইসলামী আন্দোলনের, গণঅধিকার পরিষদের, গণসংহতির—বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদবিরোধী প্রতিটি পক্ষের। আমরা প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানাই, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে একযোগে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। আওয়ামী লীগের প্রশ্ন অমীমাংসিত রেখে বাংলাদেশে সামনে কোনো নির্বাচন হবে না, হবে না, হবে না!”
ইমরান