
ছবি: সংগৃহীত
বর্তমান সরকার কাঠামো হলো একটি স্বৈরতান্ত্রিক কাঠামো। এই কাঠামোর মধ্যে দিয়ে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি যে ই ক্ষমতায় আসুক না কেন; তারা হবে একটি স্বৈরতান্ত্রিক সরকার। বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলের আলোচনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে যেন আর কোনো স্বৈরতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা না আসতে পারে সেজন্য সংস্কার প্রয়োজন। স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও আমরা একটি ন্যায়বিচার ও সমতা নিশ্চিত করে এমন কাঠামো পাইনি। এখন যে সরকার ব্যবস্থা চলমান, তা একটি স্বৈরতান্ত্রিক কাঠামো।
সংস্কারের নামে নির্বাচনকে প্রলম্বিত করা হচ্ছে কি না এই প্রশ্নের উত্তরে নাসিরুদ্দিন বলেন, বেসিক জায়গা হলো কনস্টিটিউশন। তার মূল বিষয়গুলো যদি ঠিক করা যায়, তাহলে সেই অনুযায়ী বাকি বিষয়গুলোর সংস্কার সম্ভব। কনস্টিটিউশনের তিনটি মূল অংশ আইনসভা, শাসন বিভাগ, বিচার বিভাগ ও তিনটি গুরুত্বপূর্ন পদ এখনো স্বৈরতান্ত্রিক কাঠামোতেই পরিচালিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, এই কাঠামোগত বিন্যাসগুলো পরিবর্তন না করলে যে ই নির্বাচিত হোক সেই হবে স্বৈরশাসক। অর্থাৎ, বিশ্বমঞ্চে দেখানো হচ্ছে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোটে একটি সরকার নির্বাচিত হচ্ছে। কিন্তু, যে ক্ষমতায় আসবে সে হবে স্বৈরতান্ত্রিক। সুতরাং, বর্তমান কাঠামোর মধ্যে দিয়ে নির্বাচন হলে তা আবার স্বৈরতন্ত্রে ফেরত যাবে।
মায়মুনা