ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২

তারেক রহমান ছিলেন স্বৈরাচার পতনের মূল রূপকার:আমিনুল হক

প্রকাশিত: ১০:৫৮, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫; আপডেট: ১৪:২৩, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

তারেক রহমান ছিলেন স্বৈরাচার পতনের মূল রূপকার:আমিনুল হক

সাবেক ফুটবলার এবং ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক আমিনুল হক এক সাক্ষাৎকারে বলেন, "স্বৈরাচারের পতনের মূল রূপকার ছিলেন আমাদের বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।" তাঁর মতে, ১৭ বছরের সংগ্রামের সফলতা ছিল বাংলাদেশের জুলাই এবং আগস্টের গণঅভ্যুত্থান, যা বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের পথে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।

আমিনুল হক আরও বলেন,“বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশকে নতুন ভাবে স্বৈরাচার মুক্ত করার জন্য মানুষের যে আত্মত্যাগ, এটা বাংলাদেশের মানুষ অবশ্যই সারা জীবন স্মরণ রাখবে এবং পাশাপাশি এই আন্দোলন যে রূপরেখা সেই রূপরেখা কিন্তু তৈরি করেছিলেন আমাদের বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান।”

তিনি এও উল্লেখ করেন যে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানই ছিলেন এই আন্দোলনের রূপরেখার প্রধান কারিগর। তাঁর নেতৃত্বে, বাংলাদেশের ছাত্রজনতা একত্রিত হয়ে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে এক দফা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিল।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক তার দলের কর্মকাণ্ডের বিষয়ে জানান, “আমরা ৭১টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলের মাধ্যমে দলের কার্যক্রম চালিয়েছি। এতে অনেক চড়াই-উতরাই, গ্রেফতার এবং মামলার মধ্যে আমরা সংগ্রাম চালিয়ে গেছি।” তিনি আরো বলেন, “স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে এই সংগ্রামে বিএনপির নেতাকর্মীরা সাহসী ভূমিকা রেখেছেন। আমাদের কর্মপরিকল্পনা ছিল, যারা দেশের জন্য, দলের জন্য নিজের জীবনকে বাজি রেখে কাজ করতে পারবে, তাদের মাধ্যমেই আমরা এই সংগ্রাম চালিয়ে গেছি।”

তিনি আরো যুক্ত করেন,কিছু কিছু জায়গায় আমাদের হয়তোবা যে ভাবে চিন্তা করেছিলাম সেভাবে হয়তো সবাই পারফর্ম করতে পারেনি। বাস্তবতা হচ্ছে যে,একটি স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে , একটি ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করে মাঠে টিকে থাকা অনেক কঠিন একটি বিষয়।

তারপরও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রত্যেকটি নেতাকর্মী রাজপথে সাহসী ভূমিকা রেখে ২৮ অক্টোবর থেকে পরবর্তী ৫ই আগস্ট পর্যন্ত যেভাবে ছাত্রজনতার মধ্যখানে আমাদের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রত্যেকটি নেতাকর্মীরা সারা বাংলাদেশের প্রত্যেকটি অঞ্চল এবং ঢাকা মহানগরীতে যেভাবে নিজের জীবনকে বাজি রেখে কাজ করেছে সাহসিকতার সহিত,আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ রেখে কাজ করেছে,এ বিষয়টি আমাদের কাছে মনে হয় যে এটি অত্যন্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় ছিল আমাদের বাংলাদেশের ইতিহাসের জন্য। সেই ইতিহাসের অধ্যায়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রত্যেকটি নেতাকর্মী ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করেছে।

আমিনুল হক বলেন, "২০ জুলাই রাতে আমাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল এবং এরপর আমাদের উপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছিল,স্বৈরাচারের পেটোয়া পুলিশ ডিবি প্রধান হারুন, তারা যখন আমাদেরকে গ্রেফতার করেছে আমার সাথে আমাদের অনেক সিনিয়র নেতা কর্মীদের গ্রেফতার করেছে এবং সেই গ্রেফতারের পর থেকে  আমাদের উপরে মানসিকভাবে,  শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছে এটা আসলে বলার অপেক্ষা রাখে না। ”

আমি  বাংলাদেশ ফুটবল টিমের ক্যাপ্টেন ছিলাম।বাংলাদেশে দীর্ঘ ১৭ বছর খেলেছি। বাংলাদেশের ফুটবলের ইতিহাসে যে রেজাল্টগুলি ছিল- চ্যাম্পিয়নশিপ ,সাফ ফুটবল, সাফ গেমস, আমাদের হাত দিয়ে হয়েছে৷ আমাকেও তাঁরা গায়ে হাত তুলতে এক ফোঁটা  চিন্তা করে নাই।

তিনি আরও বলেন, “এই গণঅভ্যুত্থান এবং এক দফা আন্দোলনের সফলতা ছিল ১৭ বছরের সংগ্রামের ফল, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রত্যেকটি নেতাকর্মী যেভাবে নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হয়ে রাজপথে থেকে এই স্বৈরাচার পতনের জন্য আন্দোলন করেছে, সংগ্রাম করেছে -এই ১৭ বছরের সফলতাই কিন্তু হচ্ছে আমাদের জুলাই আগস্টের এই গণঅভ্যুত্থান। এক দফায় স্বৈরাচারের পতন আমরা চাই, সেই পতনের মূল কারিগর আমাদের বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ।”

সূত্র: https://tinyurl.com/4nsp8fr 

আফরোজা

×