
ছবি : সংগৃহীত
আগে ছিল হচ্ছে আওয়ামী লীগ, এখন আপনারাই দেখতে পাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ সমন্বয়ক। এই বিপ্লব পরবর্তী সময়ে ছাত্রদল এবং বিএনপি যা করছে, তাদের উচিত কি ছিল আমাদেরকে এবং এই দেশকে নতুন করে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এই সরকারকে সহযোগিতা করা।
কোন জায়গাগুলোতে বিএনপি এবং ছাত্রদলের, কোন বক্তব্য বা তাদের কর্মকাণ্ডতে আপনারা সন্তুষ্ট হতে পারছেন না এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যদি আমি ডাকসু ইলেকশনের কথা বলি সেখানে প্রকাশ্যে ছাত্রদল বিরোধিতা করতেছে, কেন বিরোধিতা করতেছে তারা? যদি বলেন কি প্রশ্নে বিরোধিতা দেখেন, আমরা একটা বিশ্ববিদ্যালয় সে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের প্রতিনিধি সেটি কিভাবে চলে ডাকসুর মাধ্যমে। ডাকসু ইলেকশনের মাধ্যমে আমরা যে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে যে প্রতিনিধি আসে, তারা বিশ্ববিদ্যালয়কে ছাত্রদের প্রতিনিধিত্ব করে। সেই জায়গাতে একটা এত বড় একটা প্লাটফর্ম ডাকসুর মত একটা ইলেকশনের জায়গা সেই জায়গাতে ছাত্রদল বিরোধিতা করতেছে। কেন বিরোধিতা করতেছে তাদের বিরোধিতার কারণ কি? কারণ তারা আরো সময় চায়। এখন দেখেন তারা সময় কেন চাচ্ছে এটা আমিও জানিনা।
তারা কেন সময় চাচ্ছে এটা আমিও জানিনা কিন্তু এই বিপ্লব পরবর্তী সময়ে ৫ আগস্টের পরবর্তী সময়ে আমার কাছে যেটা মনে হয়েছিল সর্বপ্রথম সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন দেওয়া কিন্তু সেইটা এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে শুরু করেনি।
কেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শুরু করতে হবে নির্বাচনের প্রশ্নে বিএনপির হাই কমান্ড কি চায় জানা আছে আপনার এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এইটা আমি জানিনা বিএনপির হাই কমান্ড কি চায়। এখন দেখেন আপনি ছাত্রদল চালায় কারা? উপর থেকে চালায়, তো তাদের থেকে যদি নির্দেশনা না আসে ছাত্রদল নিজে থেকে কোন কিছু তো করার সাহস রাখে না। তাহলে অপেক্ষা কার স্বার্থে এখন দেখেন অপেক্ষা বলতে আপনি যেটা করতেছেন এখন আপনি নির্বাচন ধীরগতিতে করার চেষ্টা করতেছেন যাতে আরো পরে হয়। যাতে আরো পরে কেন হয় এটা আমি জানিনা কিন্তু তাদের উপর থেকে যে হাই কমান্ড বলছে যাতে ডাকসু ইলেকশন আরো পরবর্তীতে দেওয়া হয় এবং এটা নির্বাচনে পরে দেওয়া হয়।
এ নির্বাচন ছাড়া আর কি আছে আপনি বললেন যে ছাত্রদল এবং বিএনপির যে কর্মকাণ্ড গুলোতে আপনারা সমস্যা দেখেছেন, এ প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমাদের হচ্ছে হলের এসএম সৌরভ নামে এক ছেলে সাংবাদিকতা করে তাকে ছাত্রদলের যারা আছে, তারা সাংবাদিক যখন সংবাদ সংগ্রহ করতে যায় তারা তখন তাকে আটকিয়ে রাখে। কখন চাঁদাবাজি করতেছে সেই সময় সংবাদ সংগ্রহ করতে গেছে, সেই সময় তারা কি করছে তাকে আটকিয়ে রাখছে।
এই যে ব্যাপারগুলো এটা ঢাকার আশেপাশের ব্যাপার, সারাদেশে দেখেন কি অবস্থা চলতেছে। আগে ছিল হচ্ছে আওয়ামী লীগ, এখন আপনারাই দেখতে পাচ্ছেন।
সূত্র : https://www.youtube.com/watch?v=hZ4BwMirMis&ab_channel=RtvNews
মো. মহিউদ্দিন