
ছবি: সংগৃহীত
জিমে না গিয়ে ফিট থাকা কি আদৌ সম্ভব? হ্যাঁ, একদম সম্ভব। এমন অনেকেই আছেন যাঁদের শরীর ছিপছিপে, শক্তিশালী ও আত্মবিশ্বাসে ভরপুর, কিন্তু তাঁরা কখনোই জিমমুখো হন না। তাঁদের রহস্য? কঠোর ব্যায়াম নয়, বরং দৈনন্দিন জীবনের কয়েকটি সহজ কিন্তু ধারাবাহিক অভ্যাস।
জেনে নিন সেই ৮টি অভ্যাস যা আপনাকে জিম ছাড়াই ফিট থাকতে সহায়তা করবে:
১. বেশি হাঁটাচলা করেন
তারা যেখানেই যান, হাঁটেন। অফিসে, বাজারে কিংবা সন্ধ্যার ভ্রমণে। হাঁটা তাঁদের জীবনের অংশ হয়ে গেছে। হার্ভার্ড হেলথ অনুযায়ী, প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে, মেজাজ ভালো থাকে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
২. শরীরকে ব্যবহার করেন কাজের জন্য, সাজানোর জন্য নয়
বাগান করা, রান্নার সময় নাচা, ঘর পরিষ্কার করা বা বাচ্চাদের সঙ্গে খেলা—এই সবই তাঁদের শরীরচর্চার অংশ। ফিট থাকা মানে শুধু মেদ ঝরানো নয়, বরং জীবনে সক্রিয় থাকা।
৩. ডায়েট নয়, সচেতন খাওয়া
তাঁরা ট্রেন্ডি ডায়েটে না গিয়ে খেয়াল রাখেন, কী খেলে শরীর ভালো থাকে। অল্প খাওয়া, রাতের খাবার হালকা রাখা এবং নিজের শরীরের সংকেত বোঝা—এই হচ্ছে তাঁদের মূলনীতি।
৪. শরীরচর্চাকে উপভোগ করেন
নিয়মিত জোর করে শরীরচর্চা নয়, বরং যেটা আনন্দ দেয়—সেটাই করেন। কেউ পাহাড়ে হাঁটেন, কেউ নাচেন, কেউ আবার বাগান করেন। এতে মনও ভালো থাকে, শরীরও।
৫. বিশ্রামকে অগ্রাধিকার দেন
ভালো ঘুম না হলে ওজন বাড়ে, খিদে বেড়ে যায় এবং শক্তি কমে যায়। তাই তাঁরা পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রামকে গুরুত্ব দেন। বিশ্রামই তাঁদের শক্তি জোগায়।
৬. প্রক্রিয়াজাত খাবার নয়, প্রকৃত খাবার খান
তাজা ফল, সবজি, ডাল, বাদাম—এগুলোই তাঁদের খাদ্যতালিকার মূল অংশ। ঘরে রান্না করা খাবারেই মেলে পুষ্টি ও আত্মবিশ্বাস।
৭. শরীর নিয়ে সচেতন, কিন্তু উদ্বিগ্ন নন
“আমি মোটা হয়ে যাচ্ছি” নয়, বরং “আজ শরীর ক্লান্ত লাগছে”—এই দৃষ্টিভঙ্গি তাঁদের মানসিকভাবে সুস্থ রাখে। শরীরকে ভালোবাসা মানে, তার প্রয়োজন বুঝে চলা।
৮. ছোট ছোট অভ্যাসে নিয়মিত থাকেন
প্রতিদিন ৫ মিনিট স্ট্রেচিং, এক গ্লাস পানির বদলে এক গ্লাস লেবুর পানি, হেঁটে বাজার করা—এসব ছোট কাজই দীর্ঘমেয়াদে বড় পরিবর্তন আনে।
ফিটনেস মানে শুধু শরীরচর্চা নয়, বরং জীবনের ছন্দের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা। আপনি কোন অভ্যাসটি আজ থেকে শুরু করতে পারেন? ছোট করে শুরু করুন, নিয়মিত থাকুন—শরীর আপনাকে ধন্যবাদ জানাবে।
আঁখি