ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকার দিনরাত

মারুফ রায়হান

প্রকাশিত: ২০:৪১, ১৮ মার্চ ২০২৪

ঢাকার দিনরাত

শিক্ষাঙ্গনে ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করার ঘটনা এই প্রথম নয়

শিক্ষাঙ্গনে ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করার ঘটনা এই প্রথম নয়। প্রশ্ন হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একজন শিক্ষক কিভাবে এই অপকর্মের পক্ষাবলম্বন করেন! অবন্তিকার সহপাঠী বন্ধুরা প্রতিবাদমুখর হয়েছেন। এই অন্যায়ের দ্রুতবিচার সম্পন্ন হওয়া চাই। আর কোনো অবন্তিকা যেন অকালে হারিয়ে না যায় কোনো নরপশুর কারণে

গরমকালে ঢাকায় পানির সংকট নতুন কিছু নয়। রাজধানীতে দেখা দিয়েছে কিছুটা পানি সংকট। রমজান শুরুর পর এ সংকট আরও বেড়েছে। কিছু কিছু এলাকায় পানি দুর্গন্ধযুক্ত বলে অভিযোগ রয়েছে। অবশ্য ঢাকা ওয়াসার তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, রাজধানীতে পানির সংকট নেই। সঞ্চালন লাইনে কাজ করার কারণে কিছু কিছু এলাকায় পকেট সমস্যা হচ্ছে। রাজধানীর মালিবাগ, গুলবাগ, লালবাগ, রায়েরবাগ ও দক্ষিণখান এলাকায় পানির সমস্যা বেশি।

ওয়াসার একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে গণমাধ্যমকে বলেন, রমজানে পানির চাহিদা বেড়ে যাওয়া এবং কয়েকটি এলাকায় চাহিদার তুলনায় গভীর নলকূপ কম থাকায় সমস্যা হচ্ছে। এ ছাড়া শুষ্ক মৌসুমে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় গভীর নলকূপগুলোতেও পানি কম উঠছে। এ কারণে সংকট তৈরি হয়েছে। 

এবার অবন্তিকা
গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কুমিল্লা শহরে নিজেদের বাড়িতে আত্মহত্যা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা (২৪)। তাঁর বাবা প্রয়াত জামাল উদ্দিন সরকারি কলেজের অধ্যাপক ছিলেন। মা তাহমিনা ছিলেন কুমিল্লা পুলিশ লাইনস উচ্চবিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক। 
অবন্তিকার কয়েকজন বন্ধু জানান, তিনি ফেসবুক পোস্টে বিশ্ববিদ্যালয়ের আম্মানের বিরুদ্ধে  হয়রানির অভিযোগ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের বিরুদ্ধে আম্মানের পক্ষ নিয়ে তাঁর (ফাইরুজ) সঙ্গে খারাপ আচরণের অভিযোগও করেছেন।
এ ঘটনায় শুক্রবার রাত ও শনিবার ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশসহ নানা প্রতিবাদী কর্মসূচি পালন করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। দুজনকে গ্রেপ্তারে ১২ ঘণ্টা সময় বেঁধে (আলটিমেটাম) দেন শিক্ষার্থীরা। গত শনিবার রাতে আম্মান সিদ্দিকী ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে আটক করা হয়।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা গত বছরের ১৪ নভেম্বর তৎকালীন প্রক্টরের কাছে সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে উত্ত্যক্ত করা ও হয়রানির অভিযোগ জানিয়েছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে আম্মানের হয়রানি, হুমকির শিকার হচ্ছেন ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন জানিয়ে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে আবেদন করেছিলেন। আইন বিভাগের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে অবন্তিকা ওই আবেদন করেন।

আবেদনপত্রে অবন্তিকা অভিযোগ করেন, প্রথম বর্ষে পড়ার সময় অবন্তিকাকে প্রেমের প্রস্তাব দেন আম্মান। অবন্তিকা তাতে রাজি হননি। এর পর থেকেই আম্মান উত্ত্যক্ত ও হয়রানি শুরু করেন। হুমকি দেন, তিনি এমন পরিস্থিতি তৈরি করবেন, যাতে অবন্তিকাকে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হবে।
শিক্ষাঙ্গনে ছাত্রীদের উত্যক্ত করার ঘটনা এই প্রথম নয়। প্রশ্ন হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একজন শিক্ষক কিভাবে এই অপকর্মের পক্ষাবলম্বন করেন! অবন্তিকার সহপাঠী বন্ধুরা প্রতিবাদমুখর হয়েছেন। এই অন্যায়ের দ্রুতবিচার সম্পন্ন হওয়া চাই। আর কোনো অবন্তিকা যেন অকালে হারিয়ে না যায কোনো নরপশুর কারণে।

বিদায় সাদি মহম্মদ
রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী ও শিক্ষক সাদি মহম্মদের অপ্রত্যাশিত বিদায় মানুষকে কাঁদিয়েছে। শান্তভাবে গান গেয়ে তাঁর সতীর্থরা তাঁকে বিদায় জানান। এমন দৃশ্য ঢাকায় অভূতপূর্ব। মোহাম্মদপুরে সাদি মহম্মদের বাসার সামনের রাস্তায পনের কুড়িজন সংগীতশিল্পী চোখের জল মুছতে মুছতে গান ধরেন, তোমার অসীমে প্রাণমন লয়ে যত দূরে আমি ধাই। গানটি সাদিরও খুব প্রিয় ছিল। এই বেদনাবিধুর বিদায় যে কোনো সংবেদনশীল মানুষেরই চোখে জল এনে দেয়ার মতো। 
সাদির স্বাভাবিক মৃত্যু হলে অন্যরকম প্রতিক্রিয়া হতো, তাতে শুধুই থাকত ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার প্রকাশ, প্রিয়জন হারানোর শোক। কিন্তু শিল্পী নিজেই যখন নিজ জীবনের যবনিকা টেনেছেন, তখন স্বাভাকিভাবেই মানুষ তাঁকে নিয়ে কথা বলছে। এই নষ্টভ্রষ্ট কূপম-ূক সমাজে বহু বছর ধরে যাঁকে মানুষ স্মরণই করেনি বা মনে রাখেনি, আজ তাদের সবার হৃদয়ই বেদনাপ্লুত এবং প্রতিক্রিয়ামুখর।

সমাজের প্রথাগত সংজ্ঞায় তাঁর মৃত্যু আত্মহত্যা হলেও এক্ষেত্রে স্বেচ্ছামৃত্যু কথাটিই যেন বড় হয়ে উঠেছে। কেন এ চরম সিদ্ধান্ত, শিল্পীর অতৃপ্তি, বিষণœতা ও অভিমানের শেকড় এতদূর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছিল যে এ বিশ^কে তাঁর বিদায় জানাতে হবে অকালে!
 অক্লান্ত সাধনায় এই মেধাবী শিল্পী সংগীত পরিবেশনার এমন একটি স্তরে উপনীত হয়েছিলেন যে একটা পর্যায়ে দেশে রবীন্দ্রসংগীতে পুরুষ কণ্ঠ বলতে মানুষ শুধু সাদি মহম্মদকেই বুঝতেন। দশকের পর দশক তিনি তাঁর গায়কী ও শুদ্ধতা দিয়ে রবীন্দ্রসংগীতপ্রেমীদের মুগ্ধ করে রেখেছেন। ব্যক্তিগত ও সাংগঠনিকভাবে তিনি বহু বছর শিক্ষাদান করে গেছেন। যাঁদের তিনি গান শিখিয়েছেন, তাঁদের ভেতর অনেকেই আজ জনপ্রিয় শিল্পী।

বিনয়ী মিষ্টভাষী সাদি মহম্মদ একাত্তরের মার্চে নিজের চোখের সামনে পিতাকে শহীদ হতে দেখেছেন। তৎকালীন বিহারী অধ্যুষিত জনপদ মোহাম্মদপুরের স্বাধীনতাকামী সাহসী পরিবার হিসেবে তার পরিবার পরিচিতি পেয়েছিল। সেটাই হয়েছিল কাল। পাকিস্তানপন্থি বিহারীরা তাঁর পিতাকে নৃশংস উপায়ে হত্যা করেছিল। তাঁদের বাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছিল। সন্তানদের নিয়ে আত্মরক্ষার চেষ্টায় মা পায়ে আঘাত পেয়েছিলেন।

কঠিন জীবন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে জননী তাঁর দশ সন্তানকে মানুষ করে তোলেন। দুটি সন্তান সাদি মহম্মদ ও শিবলি মহম্মদ সংস্কৃতি অঙ্গনে মহাতারকা হয়ে ওঠেন। গত বছর মায়ের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছিলেন কোমলপ্রাণ সাদি। নিঃসঙ্গ নিভৃতচারী মানুষটি আরও একাকী হয়ে পড়েন। 
 স্ব স্ব কমিউনিটিতে ব্যক্তিযোগাযোগ ও সম্প্রীতি বাড়ানো চাই। নিবিড় সংযোগেই জানা যাবে বার্ধক্যে গুণীজনেরা কেমন আছেন, কী তাদের পীড়ন করছে। সাদি মহম্মদকে উজ্জীবিত করার, তাঁকে কর্মমুখী করে তোলার, সর্বোপরি তাঁর অভিমান ও হতাশা দূর করার সুযোগ তাঁর সতীর্থরা, গণমাধ্যম, জাতীয় সংস্থা, এমনকি তাঁর গান শুনে ঋদ্ধ এই আমরাও গ্রহণ করিনি। তাঁর পাশে এসে দাঁড়াইনি। তাঁকে অন্তিম শ্রদ্ধা। তাঁর মতো গুণী শিল্পীদের মৃত্যু নেই।    

সুলভ মূল্যে নিত্যপণ্য
গত বছরের রমজানের মতোই রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সুলভ মূল্যে মাংস, দুধ ও ডিম বিক্রি করছে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে ভ্রাম্যমাণ ২৫টি কেন্দ্রের প্রতিটিতে ১০০ কেজি গরুর মাংস, ড্রেসড ব্রয়লার ৫০ কেজি, খাসির মাংস ১০ কেজি, দুধ ২০০ লিটার ও চার হাজার ডিম বিক্রির কথা রয়েছে। যদিও সব স্থানে এ পরিমাণ পণ্য বিক্রির জন্য নেয়া হয় না। বাজারে তুলনামূলকভাবে দাম বেশি থাকায় দ্রুতই শেষ হয়ে যাচ্ছে সুলভ মূল্যের এসব পণ্য। কোথাও কোথাও দেড় ঘণ্টার মধ্যে বিক্রি শেষ হয়েছে।
লক্ষণীয় হলো এবারের রমজানে বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান সুলভ মূল্যে পণ্য বিক্রি করছে। ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)-এর পর এখন দেশের অন্যান্য বড় সংস্থাগুলোও বাজার দরের তুলনায় কম দামে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য বিক্রি শুরু করেছে।
মেঘনা গ্রুপের বিক্রয়কেন্দ্রে ৯টি পণ্য বাজার দামের চেয়ে কিছুটা ছাড়ে বিক্রি হচ্ছে। যদিও একই স্থানে আগে থেকেই টিকে গ্রুপ ও বসুন্ধরা গ্রুপ ছাড়ে পণ্য বিক্রি শুরু করেছে। টিকে গ্রুপ বিক্রি করছে ২৩টি পণ্য। বসুন্ধরা বিক্রি করছে সেমাই, নুডলডস, বিভিন্ন ধরনের গুড়া মশলা ও চা।
এসব আয়োজনের প্রশংসা প্রাপ্য। আরও বেশি সংখ্যক ব্যবসায়ী গ্রুপ এমন কার্যক্রমে এগিয়ে এলে মহানগরীর স্বল্প আয়ের মানুষেরা উপকৃত হবে।

অসংযমী আচরণ 
সংযমের মাসে অসংযমী আচরণ আর কাণ্ডকারখানা নিয়ে লিখেছেন কথাসাহিত্যিক আনোয়ারা আজাদ। লিখেছেন : 
এটা সংযমের মাস? 
টিভি খুললে তো মনে হয় না। উল্টোটা মনে হয়। অসংযমের মাস মনে হয়। কত ধরনের খাওয়া খাদ্য  তৈরি করে যে দেখায়, বাপরে বাপ! দুপুরবেলায় তৃষ্ণা যখন গলায় খামচি মারে তখনই শুরু করে নানান পদের সরবত বানানোর কেরামতি। মুমিনদের কঠিন পরীক্ষার ভেতর ফেলে দেওয়া আর কি! সরবত বানানো শেষ হতে না হতেই মানে দুপুর দুইটার পর থেকেই চলে দোকানে দোকানে ইফতারের পসরার ধারাভাষ্য! এই যে এখানে দেখুন...।
এটা সংযমের মাস?
লোকজন লাইন দিয়ে যেন ‘এক্ষুণি সব শেষ হয়ে যাবে’র উৎকণ্ঠা নিয়ে চোখমুখ শুকনো করে দাঁড়িয়ে থাকে! বড়পোলা কিনবে নাকি ছোটপোলা সেই অস্থিরতা! 
শুধু পাবলিক হোটেলে বসে ভাত খাচ্ছে এসব চলবে না! এসব চললে পাশ দিয়ে যাওয়া রোজাদারের রোজা হালকা হয়ে যাবে! হোটেলের সামনে গুচ্ছের লোভনীয় খাবার সাজিয়ে রোজাদারের ইমান পরীক্ষা করা ঠিক আছে, সেটাই দস্তুর! কিনতে না পারা মানুষের দীর্ঘশ্বাস বিবেচনায় আনতে নেই! এত্ত কিছু দেখলে ব্যবসা চলে না! ব্যবসাই সব। 
আগে পিঁয়াজু, ঘুঘনি ইত্যাদির ডালি দেখা যেত, এখন ওগুলো কোনায় পড়ে থাকে, এখন খাসির ঠ্যাং, মুরগির ঠ্যাং ইত্যাদির বাহারি সব আয়োজন। দেখলে মনে হয় পুরো এগারো মাস না খেয়ে থেকে এই একমাসেই সব...! 
এটা সংযমের মাস?
খবরে প্রকাশ দিন শেষে সবই বিক্রি হয়ে যায়। তাহলে চুপচাপ কিনে যাচ্ছে কারা? কারা শেষ করছে? যারা কিনছে তাদের জন্যই তাহলে দাম বাড়ছে? কেউ না কিনলে দাম বাড়ানো কোনোভাবেই সম্ভব হতো না।  এই পদের ক্রেতার জন্যই বিক্রেতা দাম ঝুলিয়ে গ্যাট হয়ে বসে থাকে। কে কন্ট্রোল করবে ওদের! বুকের পাটা আছে কারও? সিন্ডিকেট আছে না? আম জনতা কিনতে পারুক আর না পারুক ওদের কি! এই ঈদেই যত পারে মুনাফায় পকেট ভরাতে হবে! 

বসন্তের ফুল শিয়ালকাঁটা
ঢাকার কর্মজীবী নারী কেকা অধিকারী কর্মসূত্রে থাকেন জয়পুরহাটে। বলাবাহুল্য ঢাকার বাইরেই বর্ষা ও বসন্ত ঋতুকে ভালো উপভোগ করা যায়। তিনি বসন্তের সুন্দরী শেয়ালকাঁটা ফুল নামে আমাকে একটি লেখা পড়তে দিয়েছেন। তার কিছু অংশ এই কলামের পাঠকদের সঙ্গে শেয়ার না করে পারছি না। কেকা অধিকারী লিখেছেন : ছোট্ট নিরিবিলি শহর জয়পুরহাট। লাঞ্চ আওয়ারে  স্টেশন রোড ধরে বাসার দিকে হাঁটছি।

সাখিদার বারো ঘাটি বিরাট পুকুর বরাবর রাস্তাটির শেষ প্রান্তে উজ্জ্বল কমলা রঙের ফুল ফুটিয়ে পলাশ গাছটি দাঁড়িয়ে আছে। মাথা সোজা করে হাঁটলে ওর সম্মোহনী রঙে পথিকের চোখ আটকে যাবেই যাবে। আমি হাঁটছিলাম মাথা নিচু করে। উঁচু দেয়ালের পাশ ঘেঁষে রাস্তার পাশের সরু মাটিতে কচু, ভাঁট আর ক্যারট গ্রাসের প্রাধান্য। তার ফাঁকে ফাঁকে আমরুলের খুদে গাছগুলো সবুজ কার্পেট বিছিয়ে রেখেছে। একটা ছাত্রাবাসের গেটের পাশে আসতেই চোখ আটকে গেল অন্য জায়গায়।

দেখলাম ভীষণ কাঁটাযুক্ত ঝোপালো একটা দেড় দুই ফুট উচ্চতার গুল্মজাতীয় গাছের মাথায় সোনালি হলুদ রঙের একটা ফুল ফুটে আছে। কী অদ্ভুত সুন্দর ছয় পাপড়ির ফুল! ফুলটির মাঝখানের ছোট্ট খয়েরি লাল বোতামসদৃশ গর্ভমু-টি হলুদের মধ্যে অনন্য সৌন্দর্য যোগ করেছে। গাঢ় হলুদ পরাগধানী মাথায় করে অসংখ্য পরাগদণ্ড গর্ভমু-কে ঘিরে রেখেছে। 
গাছটির খাঁজকাটা পাতার মাথায় মাথায় লম্বা লম্বা কাঁটা, কাণ্ডেও কাঁটা আছে। এতো কাঁটা তবুও আকর্ষণের এতটুকু কমতি নেই। আমি রাস্তায় দাঁড়িয়ে পড়ে শিয়ালকাঁটা ফুলটিকে দেখছি, না দেখে উপায় নেই বলে। দেখাটাকে স্থায়ী করতে মোবাইল ফোনটা বের করে কয়েকটি ছবি তুলে নিলাম। 

১৭ মার্চ ২০২৪

[email protected]

×