ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

হিতে বিপরীতের শঙ্কায় লোকজন

সিএএ আইনে নাগরিকত্ব পেতে কেউ আবেদন করেননি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ২১:২১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

সিএএ আইনে নাগরিকত্ব পেতে কেউ আবেদন করেননি

সিএএ আইনে নাগরিকত্ব পেতে কেউ আবেদন করেননি

ভারতের বিতর্কিত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) অধীনে গত দেড় মাসে একজনও সরকারের কাছে আবেদন করেননি। ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। মোদি সরকার চলতি বছরের ১১ মার্চ সিএএ চালুর বিজ্ঞপ্তি জারি করে। সেদিন থেকেই নাগরিকত্ব পেতে অনলাইন আবেদনের সুযোগ দেওয়া হয়। ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর আইনটি জারির পাঁচ বছর পর চলতি বছরে তা বলবৎ করা হয়। তবে এখন পর্যন্ত সারাদেশে একজনও নাগরিকত্ব পেতে আবেদন করেননি।

বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে অত্যাচারিত হয়ে যেসব হিন্দু, খ্রিস্টান, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন ও পারসি ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ভারতে এসেছেন, এই আইনে তাদের  নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ওই তিন রাষ্ট্রের অত্যাচারিত মুসলমান নাগরিকরা অবশ্য এই আইনে ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্য নন। খবর বিবিসি অনলাইনের। 
এই আইন প্রণয়নের পর ভারতজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। ধর্মীয় কারণে নাগরিকদের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টির অভিযোগ তোলা হয় বিজেপির বিরুদ্ধে। বিজেপির দাবি, এই আইনে নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের এক অধিকারকর্মী বলেন, ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত ওই আইনে একজনও নাগরিকত্ব পেতে সরকারের কাছে আবেদন করেননি।

অর্থাৎ বিজ্ঞপ্তি জারির ৪৫ দিন কেটে গেলেও আবেদনের সংখ্যা শূন্য। এই আইনে নাগরিকত্ব পেতে গেলে প্রথমেই আবেদনকারীকে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে, তিনি বিদেশী। ভারতের নাগরিক নন। তারপর আবেদনপত্র কোনো কারণে খারিজ হয়ে গেলে এত কাল ধরে পেয়ে আসা যাবতীয় নাগরিক অধিকার আর তিনি পাবেন কি না, সে বিষয়টি স্পষ্ট নয়।

এই অনিশ্চয়তার ব্যাখ্যা বিজেপি তার মতো করে দিয়ে আশ্বস্ত করতে চাইলেও আইনের চোখে তা কত দূর গ্রাহ্য হবে, সেই প্রশ্ন উঠেছে। নাগরিকত্বের দাবিদাররা ভাবছেন, আবেদন করে শেষ পর্যন্ত হিতে বিপরীত হবে কি না। বিদেশী চিহ্নিত হয়ে অনিশ্চয়তার জীবন কাটাতে হবে কি না। সম্ভবত সেই কারণেই এখনো কেউ সিএএ আইনে নাগরিকত্ব পেতে উৎসাহিত হচ্ছেন না।

×