
ছবিঃ সংগৃহীত
এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুর। এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচকে ঘিরে সমর্থকদের মাঝে ব্যাপক আগ্রহ থাকলেও, স্টেডিয়ামে প্রবেশ ও ভেতরের ব্যবস্থাপনা নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেক দর্শক।
দর্শকদের অভিযোগ, স্টেডিয়ামের অভ্যন্তরীণ অবস্থা ছিল চরম অব্যবস্থাপনার শিকার। এক দর্শক বলেন, “ভেতরের পরিস্থিতি জঘন্য। পানির ব্যবস্থা নেই, খাবার নেই, প্রতিটি সিটে পানি জমে আছে। টিকিটের সিট নম্বর অনুযায়ী বসারও কোনো ব্যবস্থা নেই। এটা একটা আন্তর্জাতিক ম্যাচ, অথচ এমন বাজে ব্যবস্থাপনা সত্যিই অবিশ্বাস্য।”
তিনি আরও জানান, টিকিট বিক্রি অনেক আগে থেকেই শুরু হলেও মাঠে আগত দর্শকদের জন্য কোনো পরিকল্পিত ব্যবস্থাপনা ছিল না। “ম্যাচ সন্ধ্যা সাতটায়, অথচ গেট পাঁচটায় বন্ধ করে দেওয়া হয়। হাজার হাজার মানুষ তখন স্টেডিয়ামের ভেতরে আটকা পড়ে চার ঘণ্টা কাটায়। আমার নিজের ১৪ বছর বয়সী সন্তানকে স্টেডিয়ামে রেখে বাইরে বের হয়ে এসেছি, কিন্তু এখন আর ভেতরে ঢুকতে পারছি না। ও এক ঘণ্টা ধরে পানির জন্য কাঁদছে,”— বলেন ওই দর্শক।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, “আমরা যখন গেটে ঢুকছিলাম, তখনও আধা ঘণ্টার মতো যুদ্ধ করতে হয়েছে। শরীর ভিজে একাকার। অথচ যারা এমন ম্যাচের দায়িত্বে, তারা এসি রুমে বসে অর্ডার করে খাচ্ছেন।”
এছাড়া পানির দাম নিয়েও চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে। “স্টেডিয়ামের ভিতরে ২ লিটারের এক বোতল পানির দাম ৬০০ টাকা চাওয়া হয়েছে। এটা কিভাবে সম্ভব?”
দর্শকদের মতে, এমন অব্যবস্থাপনার মূল কারণ হলো অদক্ষ ম্যানেজমেন্ট। “এটা একটা এশিয়ান কোয়ালিফাইং ম্যাচ, ফ্রেন্ডলি না। অথচ ম্যানেজমেন্ট সেই মান অনুযায়ী প্রস্তুতি নেয়নি। তারা ভেবেছে আগের ম্যাচের মতো এবারও চালিয়ে দেওয়া যাবে,”— মন্তব্য করেন এক অভিভাবক।
তিনি জানান, স্টেডিয়ামে টিকিট ছাড়া অনেক দর্শক ঢুকে পড়েছেন, অথচ টিকিটধারীদের নানা রকম ‘অতিরিক্ত’ বিধিনিষেধের মুখে পড়তে হয়েছে। “যদি কিছু নিয়ে ঢোকা নিষেধ থাকে, সেটা আগে থেকেই টিকিটের পেছনে স্পষ্ট করে লেখা উচিত ছিল। প্রেসিডেন্ট বাপু ভাই গতকাল বলেছেন মোবাইল আর মানিব্যাগ ছাড়া কিছু নিয়ে ঢোকা যাবে না। আমি তো বাধ্য নই তার কথা শুনতে। আমি আজকের টিকিট নিয়ে এসেছি, পেছনে এসব নিষেধের কিছুই লেখা নেই।”
পুরান ঢাকা থেকে আসা দর্শকরা বলছেন, “আমাদের দেশে সব কিছুই সম্ভব। কিন্তু এই ধরনের ম্যাচে এমন ব্যবস্থাপনা আশা করিনি।”
মারিয়া