
ফেনীতে সম্ভাব্য বন্যা পরিস্থিতি, বাঁধ রক্ষা ও আন্তঃদেশীয় পানি ব্যবস্থাপনায় জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে "ফেনী নাগরিক কোয়ালিশন (ফেনাকো)" দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, বীর প্রতীক বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেছে।
ঢাকায় উপদেষ্টার দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদান করেন ফেনাকো’র একটি প্রতিনিধি দল। এতে অংশ নেন সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স এন্ড ডেভেলপমেন্ট (সিজিডি)-এর নির্বাহী পরিচালক সাইদুল ইসলাম, গ্লোবাল নলেজ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মুহাম্মদ ওমর ফারুক এবং সমাজকর্মী রাউফু রাসুলুন জ্যোতি।
স্মারকলিপিতে ফেনীকে একটি কৌশলগত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করে বন্যা ও বাঁধ-সংক্রান্ত সংকট মোকাবিলায় ১১ দফা কার্যক্রম দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়।
প্রস্তাবিত ১১ দফার মধ্যে রয়েছে— ফেনীর জন্য নির্ভরযোগ্য ও নিরবিচ্ছিন্ন বন্যা পূর্বাভাস ব্যবস্থা চালু, ভারত থেকে পানি ছাড়ার সম্ভাবনা থাকলে ৭২ ঘণ্টা আগেই বাংলাদেশ সরকারকে অবহিত করার ব্যবস্থা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিউনিটি ফ্লাড রেসপন্স টিম (CFRT) গঠন, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় স্মার্ট অ্যালার্টিং সিস্টেম চালু এবং ফেনী নদীসহ ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে টেকসই ও মানসম্পন্ন বাঁধ নির্মাণ।
এছাড়া বাঁধ অবকাঠামোর মানোন্নয়নে গবেষণাভিত্তিক ইঞ্জিনিয়ারিং সমাধান প্রয়োগ, বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণে স্থায়ী টাস্কফোর্স গঠন, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে যৌথ পানি ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন, উন্নত দেশগুলোর সহায়তায় ‘ইন্টিগ্রেটেড ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট মাস্টার প্ল্যান’ প্রণয়ন এবং ড্রোন ও স্যাটেলাইট প্রযুক্তির মাধ্যমে নজরদারির ব্যবস্থা চালুর প্রস্তাব করা হয়।
স্মারকলিপিতে আরও উল্লেখ করা হয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বন্যা-প্রস্তুতি বিষয়ক শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এবং স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রস্তুত রাখতে হবে।
ফেনী নাগরিক কোয়ালিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সময়মতো কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে ফেনীর মানুষ আগামী বর্ষায় মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে পারে। তাই এই ১১ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য দ্রুত নীতিগত ও প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
এম.কে.