ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২

চাকরি জাতীয়করণের দাবি গ্রাম পুলিশ সদস্যদের

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২২:০৮, ১৬ আগস্ট ২০২৪

চাকরি জাতীয়করণের দাবি গ্রাম পুলিশ সদস্যদের

চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে গ্রাম পুলিশ সমন্বয় কমিটি শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে

বেতন বৈষম্য থেকে মুক্তি ও চাকরি জাতীয়করণ করে পুলিশ সদস্যদের ন্যায় রেশন ও পেনশন সুবিধার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি পালন করেছে ‘বেতন  বৈষম্যবিরোধী গ্রাম পুলিশ সমন্বয় কমিটি’।  শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন ও সমাবেশ করেন তারা।
এরপর বিকেলে বঙ্গভবন এবং রাজউকের সামনের অংশে গ্রাম পুলিশের সদস্যরা জড়ো হয়ে বৈষম্যের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন।

তাদের দাবি, চাকরি জাতীয়করণ করা। আন্দোলনরতদের এ অবস্থা দেখে বঙ্গভবনে প্রবেশের আগে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) এম সাখাওয়াত হোসেন তাদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি গ্রাম পুলিশ সদস্যদের সামনে এসে তাদের দাবি-দাওয়ার সকল কাগজপত্র নেন। এ সময় গ্রাম পুলিশের কয়েকজন সদস্য তাদের দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন। 
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা তাদের উদ্দেশে বলেন, আমি আপনাদের বক্তব্য শুনলাম, আপনাদের লিখিত বক্তব্যগুলো নিয়ে গেলাম। রবিবার অফিসের প্রথম দিকেই আপনাদের বিষয়টি নিয়ে আমি আলাপ- আলোচনা করব। এতটুকু বলতে পারি, আপনাদের সমস্যাগুলো নিয়ে আমরা কাজ করব। সর্বোচ্চ করার চেষ্টা করব। আপনারা এখন রাস্তা ছেড়ে  চলে যান।
গ্রাম পুলিশ সদস্যদের চার দাবি হলো অন্যান্য বাহিনীর ন্যায় বিশেষভাবে পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের ন্যায় গ্রাম পুলিশ সদস্যদের জাতীয় বেতন স্কেল গ্রেড নির্ধারণ এবং পুলিশ এসআইয়ের ন্যায় দফাদারদের জাতীয় বেতন স্কেল গ্রেড নির্ধারণ করতে হবে; পুলিশ সদস্যদের ন্যায় রেশন পেনশনসহ সব সুযোগ-সুবিধা নির্ধারণ করতে হবে; স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে গ্রাম পুলিশ সদস্যদের পরিচালনা করতে হবে এবং ২০০৮-২০১০ সালের প্রজ্ঞাপন ও ২০১১ সালের জাতীয় বেতন স্কেল গেজেট অনুযায়ী ২০০৮ সাল থেকে সমস্ত বকেয়া বেতন পরিশোধ করতে হবে।
প্রেস ক্লাবের সমাবেশে গ্রাম পুলিশের সদস্যরা বলেন, আমরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে মাসে সাড়ে ছয় হাজার টাকা পাই। যেখানে চালের কেজি ৬০/৭০ টাকা। আমরা বছরেও এক কেজি গরুর মাংস কিনতে পারি না। সন্তানদের পড়াশোনা করাতেও কষ্ট হয়।
গ্রাম পুলিশের প্রধান সমন্বয়ক লাল মিয়া বলেন, আমরা সরকারের দেওয়া পোশাক পরে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা অন্যান্য বাহিনীর মতো দায়িত্ব পালন করি। সাতদিনের মধ্যে আমাদের সব দাবি মানতে হবে।

×