
চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সৈকতে পর্যটকের ঢল
নতুন বছরের প্রথমদিন রবিবার জমজমাট রূপ ধারণ করে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতসহ প্রায় সকল বিনোদন স্পট। বিশেষ করে সৈকতে পর্যটকের সমাগম ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি। দিবসের প্রথম সূর্যের অস্ত দেখতে জড়ো হয় সৌন্দর্যপিপাসু হাজারো মানুষ। দিনটি সরকারি ছুটি না হলেও কর্মব্যস্ত মানুষ বিকেলে সময় বের করে নেয় একান্ত নিজের জন্য। ২০২২ সাল শেষ হয়ে এসেছে ২০২৩।
বিদায়ী বছরটি কারও জন্য সাফল্যের আবার কারও জন্য কষ্ট বা বিষাদের। তবে নতুন বছর যেন সমৃদ্ধি ও স্বাচ্ছন্দ্য এনে দেয় এ কামনা সর্বসাধারণের। বছরের প্রথম দিনটি কে না চায় আনন্দে কাটাতে। প্রতিবারের মতো এ বছরও মানুষ ছিল পর্যটন স্পটগুলোর দিকে ধাবিত। তবে দিনটি ছুটির দিন না হওয়ায় দূরযাত্রা সেভাবে সম্ভব হয়নি। ব্যস্ত নগরের মানুষ ছুটেছে নিকটবর্তী সৌন্দর্যের খোঁজে।
চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত বরাবরই আকর্ষণীয়। এটি সারা বছরের বিনোদন কেন্দ্র। কিন্তু বিশেষ বিশেষ দিনে সে আনন্দ উদ্দামতায় রূপ নেয়। তেমনি একটি দিন যে কোনো বছরের ১ জানুয়ারি। সমুদ্র সৈকত ও সমুদ্রের ঢেউয়ের চেহারা সব সময়ই একই। কিন্তু বিশেষ দিনে তা অবলোকনের আবেগ থাকে আলাদা।
রবিবার সকাল থেকেই পতেঙ্গা অভিমুখে মানুষের ¯্রােত ছিল বেশি। বিকেলে লোকে-লোকারণ্য হয়ে যায় সৈকত এলাকা। সেখানে থাকা অস্থায়ী দোকানপাটগুলোর বিক্রিও হয় বেশি। বছরের শেষদিন ৩১ ডিসেম্বর সৈকত বন্ধ থাকে অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে সৈকতে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি থাকে। ফলে এদিন যাওয়া যায়নি। পরদিন নববর্ষ। মানুষ মনের আনন্দে উপভোগ করেছে প্রকৃতির সৌন্দর্য।
পতেঙ্গা সৈকত ছাড়াও কর্ণফুলীর তীরবর্তী মেরিনার্স রোড, মীরসরাইয়ের মহামায়া লেক, সীতাকুন্ডের গুলিয়াখালী, আনোয়ারার পারকি সৈকতসহ দর্শনীয় স্থানগুলোতে বছরের প্রথম দিনে ছিল পর্যটকদের ভিড়। এমন দিনে মানুষ প্রকৃতির কাছাকাছি থাকতে চায়। ফলে প্রতিটি পর্যটন স্পটে সমাগম ছিল লক্ষণীয়।