ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৪ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

বর্তমানে এশিয়ার সবকটি দেশই জিকা ভাইরাসের ঝুঁকিতে

প্রকাশিত: ০১:৪০, ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

বর্তমানে এশিয়ার সবকটি দেশই জিকা ভাইরাসের ঝুঁকিতে

সংসদ রিপোর্টার ॥ বর্তমানে এশিয়ার সবকটি দেশই জিকা ভাইরাসের ঝুঁকিতে রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত কোন রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। বৃহস্পতিবার দশম জাতীয় সংসদের চতুর্দশ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তরে সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য বেগম লুৎফা তাহেরের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও জানান, জিকা একটি ভাইরাসজনিত রোগ। এটি এডিস মশার কামড়ে ছড়ায়। বিশ্বে এ পর্যন্ত মোট ৮৮টি দেশে জিকা ভাইরাস আছে বলে প্রমাণিত হয়েছে। এর মধ্যে সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ব্রাজিল, বার্মাডোজ, বলিভিয়া, কলম্বিয়া, ডোমিনিকা রিপাবলিক, ইকুয়েডর, এলসালভাডর, গুয়েতেমালা, হাইতি, হন্ডুরাস, মেক্সিকো, পানামা, প্যারাগুয়ে, সুরিনাম, সামওয়া, ভেনেজুয়েলা, ইউএস ভার্জিন ও থাইল্যান্ডে জিকা ভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা বেশী বলে উল্লেখ করেন তিনি। মন্ত্রী জানান, বর্তমানে এশিয়ার সবকটি দেশই জিকা ভাইরাসের ঝুঁকিতে রয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত কোন রোগীর সন্ধান পাওয়া না গেলেও রোগটি নিয়ন্ত্রণে সরকার নানাবিধ উদ্যোগে গ্রহণ করেছে। তিনি জানান, দেশে কোন অবস্থাতেই যাতে জিকা ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি প্রবেশ করতে না পারে সে লক্ষ্যে স্থল, নৌ ও বিমান বন্দরে জিকা ভাইরাস সনাক্তকরণের জন্য সার্ভিলেন্স জোরদারকরণের অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, দেশে বিগত এক বছওে (১ নবেম্বর ২০১৫ হতে ৩১ অক্টোবর ২০১৬ পর্যন্ত) সরকারি ও বেসরকারি ১২৮টি টেস্টিং সেন্টারের মাধ্যমে চূড়ান্তভাবে নতুন ৫৭৮ জন এইডস রোগী সনাক্ত বা সন্ধান হয়েছে। তিনি জানান, চিকিৎসা সেবা ও এইচআইভি সনাক্তকরণ কার্যক্রম সরকারি ১২টি হাসপাতালের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে, যার মধ্যে চারটি সরকারি হাসপাতাল হতে এইডস আক্রান্ত রোগীদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ঔষধ সরবরাহ করা হচ্ছে। ঢাকার মহাখালীতে অবস্থিত সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে ২৪ শয্যাবিশিষ্ট পৃথক ওয়ার্ডের মাধ্যমে এইচআইভি রোগীদের উন্নত চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। সরকারি দলের অপর সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের প্রশ্নোত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যানুসারে সারাবিশ্বে বর্তমানে প্রতিবছর তামাক ব্যবহারজনিত কারণে প্রায় ৬০ লাখ লোক মৃত্যুবরণ করে, যার ৫০ লাখ সরাসরি তামাক ব্যবহারের কারণে এবং প্রায় ৬ লাখ পরোক্ষ ধুমপানের কারনে। সারা বিশ্বের ১০০ কোটি ধূমপায়ীর মধ্যে ৮০ লাখ আবার নি¤œ ও মধ্য আয়ের দেশের মানুষ। তিনি জানান, ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ থেকে সকল প্রকার তামাকজাত দ্রব্যের প্যাকেটের উভয় পাশে ৫০ ভাগ জায়গা জুড়ে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী বাধ্যতামূলকভাবে মুদ্রণ করা হচ্ছে। তিনি জানান, স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রমকে গতিশীল করতে বর্তমান সরকারের আমলে মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মোট ৪২ হাজার ২৩৬ জনকে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। বর্তমানে দেশের উপজেলা হাসপাতালগুলোতে ১৮ হাজার ৬৭৫টি পদ শূন্য রয়েছে।
×