নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ, ৩১ অক্টোবর ॥ নওগাঁর ধামইরহাট ও বদলগাছী উপজেলার দুই শিক্ষার্থীর পিঠ ও হাত ব্লেড দিয়ে চিড়ে দিয়েছে বদলগাছী উপজেলার মিঠাপুকুর ইউনিয়নের হাকিমপুর হাফেজিয়া মাদ্রাসার দুই শিক্ষক। নির্যাতিত শিশু শিক্ষার্থীরা হলো- ধামইরহাট উপজেলার চান্দিরা গ্রামের এমাজউদ্দিনের ছেলে মিনারুল (১২) ও তার মামাত ভাই রেজা (১৪)। মিনারুল এখন ধামইরহাট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সোমবার এ ঘটনা ঘটে।
আহত শিক্ষার্থী মিনারুল ইসলাম জানায়, রবিবার মাদ্রাসার শিক্ষক তাকে মারলে গায়ে জ্বর আসে। তখন ছুুটি নিয়ে বাড়ি যেতে চাইলে তাকে বাড়ি যেতে দেয়া হয়নি। মিনারুল আরও বলে, সে মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে বাড়িতে যায় এবং বাবা-মার কাছে মারধরের ঘটনাটি জানায়। সোমবার মিনারুলের বাবা ওই মাদ্রাসা থেকে মিনারুলের ব্যবহৃত কাপড়-চোপর ও বিছানাপত্র আনার জন্য তাকে মাদ্রাসায় পাঠায়। মিনারুল বিছানাপত্র ও কাপড়-চোপর নেয়ার জন্য মাদ্রাসার পাশের গ্রাম গয়েসপুরের মামাত ভাই গয়েসপুর হাই স্কুলের ৮ম শ্রেণীর ছাত্র রেজাকে (১৪) সঙ্গে নিয়ে ওই মাদ্রাসায় যায়। এ সময় মাদ্রাসার পরিচালক ফিরোজ হোসেন ও সহকারী শিক্ষক মোকারম হোসেন মিনারুল ও রেজাকে পিলারের সঙ্গে বেঁধে মারধর করে। একপর্যায়ে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে মিনারুল ও তার মামাত ভাই রেজার হাত ও পিঠ ব্লেড দিয়ে চিড়ে রক্তাক্ত জখম করে এবং তাদের বিরুদ্ধে ৫ হাজার টাকা চুরির অভিযোগ আনা হয়। রেজা জেএসসি পরীক্ষার্থী। সে বদলগাছীতে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে রেজার খালু এমাজউদ্দিন জানান। ধামইরহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সফিউজ্জামান ভুইয়া ন্যক্কারজনক এমন ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান। মিনারুলের বাবা এমাজউদ্দিন ও রেজার বাবা আঃ রাজ্জাক শিশু নির্যাতনকারীদের বিচার দাবি করেছেন।