ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩, ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০

তরুণী, তিন ছাত্রী ও কিশোরী ধর্ষিত

প্রকাশিত: ০৬:৩৮, ৩১ মে ২০১৫

তরুণী, তিন ছাত্রী ও কিশোরী ধর্ষিত

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ বাউফলে তরুণী, মুন্সীগঞ্জে স্কুলছাত্রী ও ঠাকুরগাঁওয়ে কিশোরী, নওগাঁয় কলেজ ছাত্রী ও বাগেরহাটে স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এদিকে মুন্সীগঞ্জ ও ঠাকুরগাঁওয়ে ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতাদের পাঠানো খবর- বাউফল ॥ বাউফলে হতদরিদ্র এক তরুণীকে (১৭) ধর্ষণ করেছে মাদ্রাসার সুপার। শনিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে নওমালা ইউপির পূর্ব নওমালা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। ধর্ষিতা অভিযোগ করেন, তিনি ভোর সারে ৬টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে একই গ্রামের সেকান্দার মিয়ার বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করার জন্য যাচ্ছিলেন। পথে নওমালা মাদ্রাসার সাবেক সুপার মাওলানা আবদুর রহমান তাকে ফুসলিয়ে পাশের পরিত্যক্ত নির্জন জায়গায় নিয়ে ধর্ষণ করে। ঘটনাটি এলাকার কিছু লোকজন দেখে ফেলায় তিনি পালিয়ে যান। মুন্সীগঞ্জ ॥ গজারিয়া স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক জুয়েলকে দুই সহযোগীসহ পুলিশ শুক্রবার গ্রেফতার করেছে। গজারিয়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতারকৃত বাকি দু’জন রফিক ও হিমু। উপজেলার নয়ানগর আদর্শ গ্রামে বৃহস্পতিবার রাতে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী ধর্ষিত হয়। তার শারীরিক অবস্থা খুবই নাজুক হওয়ায় মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ধর্ষিতার বাবা জানান, তিনি তার স্ত্রীকে নিয়ে তার এক আত্মীয়ের বিয়েতে গেলে মেয়েটিকে একা পেয়ে বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে দক্ষিণ ফুলদী গ্রামের আঃ রশিদের বখাটে ছেলে জুয়েল ও তার চার সহযোগী পারভেজ, রফিক, হিমু, কাউছার সহায়তায় ধর্ষণ করে। ঠাকুরগাঁও ॥ ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা জগন্নাথপুর ইউনিয়নের বাউন্ডারি পাড়া এলাকায় এক কিশোরী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ চার জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো জগন্নাথপুর এলাকার শাহজাহান আলীর ছেলে রুবেল, ফকির পাড়া এলাকার জাবেদ আলী ছেলে জুয়েল আলী, নায়েব আলী ছেলে নাজমুল হক ও ফকিরপাড়া চানমাড়ীপাড়ার তারা মিয়ার ছেলে আমির হোসেন। নওগাঁ ॥ শুক্রবার রাতে নওগাঁর পতœীতলায় বিয়ের প্রলোভন দিয়ে কথিত প্রেমিকা এইচএসসি পরীক্ষার্থিনী এক কলেজ ছাত্রীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। প্রেমিক নামে পাষ- সারোয়ার রহমান বাবু এবং তার সহযোগী চার বন্ধু মিলে ওই কলেজ ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে। এ সময় কলেজ ছাত্রীর চিৎকারে গ্রামবাসী চার বখাটেকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। তবে ঘটনার মূল নায়ক পাষ- প্রেমিক সারোয়ার রহমান বাবু পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে পতœীতলা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আটক বখাটেরা হলো, পতœীতলা উপজেলার ধোরপট গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে মিন্টু হোসেন, মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে আব্দুল ওবাইদুল, ছোট মোহরন্দী গ্রামের হারেজ উদ্দীন (২৩) ও মান্দাইন গ্রামের মৃতঃ রহিম উদ্দীনের ছেলে ছাইফুল। তবে প্রেমিক নামের পাষ- ধর্ষক পতœীতলা উপজেলার ধোরপট গ্রামের আব্দুল আওয়ালের ছেলে সারোয়ার রহমান বাবু কৌশলে পালিয়ে যায়। জানা গেছে, নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার মাদ্রাসার ছাত্রী এইচএসসি পরীক্ষার্থিনী ও সারোয়ার রহমান বাবুর মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এক বছর আগে। এই সম্পর্কের সূত্র ধরে ওই ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় মোটর সাইকেলে পতœীতলা উপজেলার মান্দাইন বাজারে নিয়ে আসে সারোয়ার রহমান বাবু। রাত ১০টায় বিয়ের প্রলোভনে বাজারের উত্তর পার্শ্বের ডিপ টিউবয়েল ঘরের মধ্যে সারোয়ার রহমান বাবু ও তার চার বন্ধু তাকে ধর্ষণ করে। বাগেরহাট ॥ বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার তেলিগাতী গ্রামে ১০ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে বখাটে মামুন শেখ ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সহযোগিতা করার অভিযোগে বখাটের ছোট ভাই মিঠু শেখকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। শনিবার ভিকটিমকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পুলিশ বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এলাকাবাসী ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফিরছিল ঐ ছাত্রী। এ সময় একই গ্রামের সরোয়ার শেখের ছেলে মামুন শেখ ছাত্রীকে ধরে নিয়ে বাড়ির মধ্যে ধর্ষণ করে। পরে রান্নাঘরে আটকে রেখে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ছাত্রীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে তার পিতা এনসান শেখ বাদী হয়ে শুক্রবার মোরেলগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।